Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
তুলুনি রাজবংশ মুসলিম মিশরের প্রথম স্বাধীন রাজবংশ। এই রাজবংশ ৮৬৮ থেকে শুরু করে ৯০৫ সাল পর্যন্ত মিশর ও সিরিয়ার অনেক অংশ শাসন করেছিল। এসময় আব্বাসীয়রা তুলুনি শাসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তুলুনি রাজবংশ طولونيون (আরবি) | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৮৬৮–৯০৫ | |||||||||
আধুনিক আরব বিশ্বের সীমানায় তুলুনি রাজবংশের মানচিত্র | |||||||||
অবস্থা | আব্বাসীয় খিলাফতের অনুগত রাজ্য | ||||||||
রাজধানী | আলা কাতাই | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | ধ্রুপদি আরবি (প্রধান), তুর্কীয় (সেনাবাহিনী) | ||||||||
ধর্ম | ইসলাম (প্রধান), কপ্টিক খ্রিষ্টান | ||||||||
সরকার | আমিরাত | ||||||||
আমির | |||||||||
• ৮৬৮–৮৮৪ | আহমেদ ইবনে তুলুন | ||||||||
• ৮৮৪–৮৯৬ | খুমারাওয়াহ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ৮৬৮ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ৯০৫ | ||||||||
আয়তন | |||||||||
900 est. | ১৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৫,৮০,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||
মুদ্রা | দিনার | ||||||||
|
৯ম শতাব্দীতে আব্বাসীয়দের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ সংঘাত সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করে তোলে এবং ৮৬৮ সালে তুর্কি বংশোদ্ভূ অফিসার আহমেদ ইবনে তুলুন নিজেকে মিশরের স্বাধীন গভর্নর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। কেন্দ্রীয় আব্বাসীয় সরকারের কাছ থেকে তিনি মৌখিক স্বায়ত্তশাসনও লাভঁ করেছিলেন। তিনি ও তার উত্তরসুরিদের সময় তুলুনিদের শাসন অঞ্চলে জর্ডান অববাহিকা, হেজাজ, সাইপ্রাস ও ক্রিটের অন্তর্ভুক্তি হয়। আহমেদ ইবনে তুলুনের পর তার ছেলে খুমারাওয়াহ শাসনভার লাভ করেন যার সামরিক ও কূটনৈতিক অর্জন তাকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করে তোলে। আব্বাসীয়রা তাদেরকে আইনসংগত শাসক হিসেবে ও খিলাফতের অধীন রাজ্য হিসেবে গণ্য করে নেয়। খুমারাওয়াহর মৃত্যুর পর শাসনভার লাভ করা তার উত্তরসুরি আমিররা অযোগ্য ছিলেন ফলে তাদের তুর্কি ও কৃষ্ণাঙ্গ দাস সৈনিকরা রাষ্ট্রীয় বিষয় তদারকির দায়িত্ব পায়। ৯০৫ সালে তুলুনিরা আব্বাসীয়দের একটি আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। আব্বাসীয়রা সিরিয়া ও মিশরকে সরাসরি খিলাফতের অধীনে নিয়ে আসে।[1][2]
তুলুনি যুগে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত হয়। আহমেদ ইবনে তুলুন কর সংগ্রহ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেন। তিনি তুলুনি সেনাবাহিনীও প্রতিষ্ঠা করেন। ফুসতাত থেকে আল কাতাইয়ে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হয়। এসময় ইবনে তুলুন মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শাসনতান্ত্রিক নাম | ব্যক্তিগত নাম | শাসন | |
---|---|---|---|
আব্বাসীয় খিলাফতের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ | |||
আমির أمیر |
আহমেদ ইবনে তুলুন أحمد بن طولون |
৮৬৮ - ৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ | |
আমির أمیر আবুল জাইশ ابو جیش |
খুমারাওয়াহ ইবনে আহমেদ ইবনে তুলুন خمارویہ بن أحمد بن طولون |
৮৮৪ - ৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ | |
আমির أمیر আবুল আশির ابو العشیر আবুল আসাকির ? |
জাইশ ইবনে খুমারাওয়াহ جیش ابن خمارویہ بن أحمد بن طولون |
৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ | |
আমির أمیر আবু মুসা ابو موسی |
হারুন ইবনে খুমারাওয়াহ ہارون ابن خمارویہ بن أحمد بن طولون |
৮৯৬ - ৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ | |
আমির أمیر আবুল মানাকিব ابو المناقب |
শাইবান ইবনে আহমেদ ইবনে তুলুন شائبان بن أحمد بن طولون |
৯০৪-৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ | |
সেনাপতি মুহাম্মদ ইবনে সুলাইমান কর্তৃক সরাসরি আব্বাসীয় খিলাফতের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.