তুলনামূলক ইতিহাস
From Wikipedia, the free encyclopedia
তুলনামূলক ইতিহাস হলো একই সময়কালে বিদ্যমান ছিল বা অনুরূপ সাংস্কৃতিক অবস্থা বিনিময় করেছিল এমন বিভিন্ন সমাজের তুলনাকরণ।
অষ্টাদশ শতাব্দীর জ্ঞান বিতরণ যুগে মঁতেস্কিয়ে, ভলতেয়ার, অ্যাডাম স্মিথ এবং অন্যান্য কিছু বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সমাজের তুলনামূলক ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। উনবিংশ শতকের সমাজবিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদরা প্রায়শই তুলনামূলক ইতিহাস অন্বেষণ করেন, উদাহরণস্বরূপ আলেক্সি দ্য তোকভিল, কার্ল মার্কস এবং মাক্স ভেবার।[1]
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, জার্মানির জনসাধারণের একটি বৃহৎ পাঠক অংশ অসভাল্ট স্পেংলা, পিতিরিম সোরোকিন এবং আর্নল্ড জোসেফ টয়েনবির তুলনামূলক ইতিহাস অনুসরণ করেছিল।[2][3][4] যদিও ১৯৫০ এর দশক থেকে তুলনামূলক ইতিহাস জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং এখন এটি শুধু কিছু স্বাধীনভাবে কাজ করা বিশেষায়িত পণ্ডিতদের গবেষণার ক্ষেত্র।[5]
উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ছাড়াও, তুলনামূলক ইতিহাসের সাম্প্রতিককালের বিখ্যাত বিশারদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন ঐতিহাসিগণ হার্বার্ট ইউজিন বোল্টন ও ক্যারল কুইগলি এবং ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জিওফ্রে ব্যারাক্লো। ব্যারিংটন মুর জুনিয়র, শমুইল আইসেনস্টাট, সেইমুর মার্টিন লিপসেট, চার্লস টিলি এবং মাইকেল ম্যানসহ বেশ কিছু সমাজবিজ্ঞানীও এই ক্ষেত্রে বিশিষ্ট।[6][7][8]
তুলনামূলক ইতিহাসে ঐতিহাসিকেরা সাধারণত বিভিন্ন সমাজের বিশেষ প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংকিং, নারীর অধিকার, জাতিগত পরিচয়) তুলনাটি গ্রহণ করেন, কিন্তু যেহেতু ১৯৫০-এর দশকে ঐতিহাসিকদের মধ্যে টয়েনবির মতামতের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাই সাধারণত সারা বিশ্বে বিস্তৃত অথবা অনেক শতাব্দী ধরে প্রচলিত তুলনামূলক গবেষণায় ব্যাপক মনোযোগ দেওয়া হয় না।[9]