ডাভিড হিলবের্ট
জার্মান গণিতবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ডাভিড হিলবের্ট[টীকা 1] (জার্মান: David Hilbert ডাভ়িট্ হিল্বেয়াট্, জানুয়ারি ২৩, ১৮৬২ - ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৯৪৩) একজন জার্মান গণিতবিদ, যাঁকে ঊনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের সবচেয়ে প্রভাবশালী গণিতবিদদের অন্যতম হিসাবে গণ্য করা হয়। ফরাসি গণিতবিদ অঁরি পোয়াঁকারের সাথে হিলবের্টকে গাণিতিক বিশ্বজনীনবাদীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।[4]
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
ডাভিড হিলবের্ট | |
---|---|
জন্ম | (১৮৬২-০১-২৩)২৩ জানুয়ারি ১৮৬২ ক্যোনিগসবের্গ অথবা ভেলাউ, প্রুশিয়া সাম্রাজ্যে অবস্থিত প্রুশিয়ার প্রদেশ (বর্তমানে রাশিয়ায় কালিনিনগ্রাদ অথবা নামেন্সক, কালিনিগ্রাদ ওবলাস্ত) |
মৃত্যু | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩(1943-02-14) (বয়স ৮১) |
জাতীয়তা | জার্মান |
শিক্ষা | ক্যোনিগসবের্গ বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি) |
পরিচিতির কারণ | হিলবের্টের ভিত্তি উপপাদ্য হিলবের্টের স্বতঃসিদ্ধতা হিলবের্টের সমস্যা হিলবের্টের প্রোগ্রাম আইনস্টাইন-হিলবের্ট কাজ হিলবের্ট স্থান এপসিলন ক্যালকুলাস |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্যাথি জেরোস্ক |
সন্তান | ফ্রাঞ্জ (জন্ম. ১৮৯৩) |
পুরস্কার | লোবাচেবস্কি পুরস্কার (১৯০৩) বলিয়াই পুরস্কার (১৯১০) ForMemRS[1] |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গণিত, পদার্থবিদ্যা এবং দর্শন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ক্যোনিগসবের্গ বিশ্ববিদ্যালয় গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | বিশেষ দ্বিমিক রূপের অপরিবর্তনশীল বৈশিষ্টের ওপরে, বিশেষত বৃত্তীয় অপেক্ষকের ওপর (১৮৮৫) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | ফের্ডিনান্ড ফন লিন্ডমান[2] |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | উইলহেম আকারম্যান হেইনরিখ বেহ্ম্যান ফেলিক্স বার্নস্টিন অটো ব্লুমেন্থাল অ্যান বসওয়ার্থ ওয়ার্নার বয় রিচার্ড কোরান্ট হাস্কেল কারি ম্যাক্স ডেন রুডলফ ফুয়েটার পল ফাঙ্ক কুর্ট গ্রেলিং আলফ্রেড হার এরিক হেকে আর্ল হেড্রিক আর্ন্সট হেলিঙ্গার ওয়ালি হুরউইট্জ মার্গারেট কান অলিভার কেলগ হেলমুথ নেজার রবার্ট কনিগ ইমানুয়েল লাস্কার লারা লবেন্স্টিন চার্লস ম্যাক্স ম্যাসন এরহার্ড স্মিড্ট কুর্ট শ্যুট আন্ড্রিস স্পিজার হুগো স্টেনহস গ্যাব্রিয়েল সুদান তেইজি তাকাগি হেরমান ভাইল এর্নস্ট জারমেলো |
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | এডওয়ার্ড কাসনার জন ভন নিউম্যান |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | ইমানুয়েল কান্ট[3] |
হিলবের্ট গণিতের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছেন, যেমন অব্যয় তত্ত্ব (Invariant theory), হিলবের্টের প্রস্তাবনা, এবং হিলবার্ট জগতের ধারণা। তিনি বিশুদ্ধ গণিতের বিভিন্ন শাখা যেমন বীজগণিত, সংখ্যাতত্ত্ব, জ্যামিতি, ব্যবকলন সমীকরণসমূহ ও ব্যবকলনীয় বিশ্লেষণ, যুক্তিবিজ্ঞান ও গণিতের ভিত্তি, ইত্যাদিতে অবদান রাখেন। তিনি প্রমাণ তত্ত্ব ও গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞানের অন্যতম স্রষ্টা এবং গেয়র্গ কান্টরের সেট তত্ত্বের সমর্থক। ১৮৯৯ সালে তিনি গ্রুন্ডলাগেন ডের গেওমেট্রিক ("জ্যামিতির মৌলিক ধারণাসমূহ") নামের একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে ১৯শ শতকের শেষে জ্যামিতি অধ্যয়নে যে পরিবর্তনগুলি এসেছিল, তা লিপিবদ্ধ আছে। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ২৩টি অমীমাংসিত গাণিতিক সমস্যার একটি তালিকা প্রদান করেন, যার নাম হিলবের্টের সমস্যাতালিকা। তালিকাটি বিংশ শতকের গাণিতিক গবেষণার দিক নির্দেশনা করেছে। এগুলির অনেকগুলির জন্য আজও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি।[4]
হিলবের্ট তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ব্যাপারেও আগ্রহী ছিলেন। হিলবের্ট ও তার ছাত্ররা কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান ও সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্যবহৃত গণিত উদ্ভাবন করে গেছেন। হিলবের্ট পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির স্বতঃসিদ্ধ নির্মাণের যে প্রকল্পটি পরিচালনা করেন, তার ফলে গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে যোগসূত্র রচিত হয়। হিলবের্ট ও আইনস্টাইনের মধ্যে আলোচনার সূত্র ধরেই ১৯১৫ সালে মহাকর্ষের ক্ষেত্র সমীকরণগুলির সূত্রায়ন সম্ভব হয়।[4]
হিলবের্ট ১৮৬২ সালে ভেলাউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ক্যোনিগসবের্গ ও হাইডেলবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৮৮৫ সালে তিনি ডক্টরেট সনদ লাভ করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি গোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৩০ সালে অবসরগ্রহণের আগ পর্যন্ত সেখানেই কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।[4]