জোডি ফস্টার
মার্কিন অভিনেত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যালিশিয়া ক্রিস্টিয়ান "জোডি" ফস্টার (ইংরেজি: Jodie Foster, জন্ম: ১৯ নভেম্বর ১৯৬২)[1] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করেন। তাকে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী বলে অভিহিত করা হয়।[2][3] ফস্টারের পেশাদারী কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৫ সালে মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু মডেল হিসেবে, এবং দুই বছর পরে সিটকমের টেলিভিশন ধারাবাহিক মেবেরি আর.এফ.ডি.তে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তার টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয়। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে তিনি কয়েকটি প্রাইমটাইম টেলিভিশন ধারাবাহিকে এবং প্রধান শিশু অভিনেত্রী হিসেবে কয়েকটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ফস্টারের প্রথম সাফল্য আসে মার্টিন স্কোরসেজি পরিচালিত ট্যাক্সি ড্রাইভার (১৯৭৬) দিয়ে, এতে তিনি একজন কিশোরী যৌনকর্মী চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। কিশোর অভিনেত্রী হিসেবে তার অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্র হল সঙ্গীতধর্মী বাগসি ম্যালোন (১৯৭৬), থ্রিলারধর্মী দ্য লিটল গার্ল হু লিভস ডাউন দ্য লেন (১৯৭৬) এবং তিনি ডিজনি'র ফ্রিকি ফ্রাইডে (১৯৭৬), ক্যান্ডলশু (১৯৭৭), এবং ফক্সেস (১৯৮০) চলচ্চিত্র দিয়ে জনপ্রিয় কিশোর অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন।
জোডি ফস্টার | |
---|---|
Jodie Foster | |
জন্ম | অ্যালিশিয়া ক্রিস্টিয়ান ফস্টার (1962-11-19) নভেম্বর ১৯, ১৯৬২ (বয়স ৬১) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৬৫–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | আলেক্সান্দ্রা হেডিসন (বি. ২০১৪) |
সঙ্গী | সিডনি বার্নার্ড (১৯৯৩–২০০৮) |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
স্বাক্ষর | |
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর ফস্টার কিশোর অভিনেত্রী থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী চরিত্রে অভিনয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক চরিত্রে তার প্রথম সফলতা আসে দি অ্যাকিউস্ড (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোবসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জয় করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারধর্মী দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস (১৯৯১) চলচ্চিত্রে সিরিয়াল খুনের তদন্তকারী এফবিআইয়ের শিক্ষানবিশ ক্লেরিস স্টারলিং চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। একই বছর ফস্টারের পরিচালনায় অভিষেক হয় লিটল ম্যান টেট চলচ্চিত্র দিয়ে, এবং পরের বছর ১৯৯২ সালে তিনি তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এগ পিকচার্স প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র হল নেল (১৯৯৪), এতে ফস্টার নাম ভূমিকায় অভিনয় করে তার চতুর্থ একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হোম ফর দ্য হলিডেজ (১৯৯৫) ব্যবসাসফল হয় নি এবং সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে। ১৯৯০ এর দশকের তার অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল নাট্যধর্মী সমারসবি, পশ্চিমা ধাঁচের হাস্যরসাত্মক মাভেরিক (১৯৯৪), বিজ্ঞান কল্পকাহিনীধর্মী কনট্যাক্ট (১৯৯৭) এবং নাট্যধর্মী অ্যানা অ্যান্ড দ্য কিং (১৯৯৯)।
২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে একটি চলচ্চিত্রের কাজ পরিত্যক্ত হওয়া ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়াসহ নানাবিধ বিপত্তির পর ফস্টার চারটি থ্রিলার চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রগুলো হল প্যানিক রুম (২০০২), ফাইটপ্ল্যান (২০০৫), ইনসাইড ম্যান (২০০৬) এবং দ্য ব্রেভ ওয়ান (২০০৭)। ২০১০ এর দশকে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায় মনোযোগ দেন এবং দ্য বিভার (২০১১) ও মানি মনস্টার (২০১৬) চলচ্চিত্র,[4] এবং নেটফ্লিক্স এর ওরেঞ্জ ইজ দ্য নিউ ব্ল্যাক ও হাউজ অব কার্ড্স টেলিভিশন ধারাবাহিকের কয়েকটি পর্ব নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে তিনি ইলিসিয়াম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দুটি একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও ফস্টার তিনটি বাফটা পুরস্কার, তিনটি গোল্ডেন গ্লোব ও গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি ডিমিল পুরস্কার, একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেন।