জোঁক
From Wikipedia, the free encyclopedia
রক্তচোষা জোঁক ও তাদের জাতভাইরা কেঁচোর মত এনিলিডা পর্বের জীব। এরা এনিলিডা পর্বের হিরুডিনিয়া উপপর্ব গঠন করে।
জোঁক সময়গত পরিসীমা: সিলুরিয়ান–বর্তমান | |
---|---|
Hirudinaria medicinalis | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | Annelida |
শ্রেণী: | Clitellata |
উপশ্রেণী: | Hirudinea Lamarck, 1809 |
Infraclasses | |
Acanthobdellidea |
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/fd/Leech_in_water.jpg/640px-Leech_in_water.jpg)
কেঁচোর মত এদেরও ক্লাইটেলাম আছে ও গমনাঙ্গ সিটে (setae)।
আদিকাল থেকে রক্তচোষা জোঁকেদের (যেমন হিরুডিনারিয়া মেডিসিনালিস) রক্ত জমাট বাঁধা (blood cloting) বন্ধ করার জন্য চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে। তঞ্চন বন্ধ করার জন্য রক্তচোষা জোঁকের লালায় হিরুডিন নামক রক্ত জমাট রোধক(anticoagulant) পেপটাইড ক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাসস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাড়ল-দুম্বা বা ভেড়ার পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারণা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।