জীবাশ্ম বংশাণুবিজ্ঞান

জীবাশ্ম বংশাণুবিজ্ঞান (Paleogenetics) হল প্রাচীন জীবদেহের অবশেষ থেকে সংরক্ষিত বংশাণুগত উপাদান পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে অতীত নিয়ে গবেষণা করার বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র।^[1][2] ১৯৬৩ সালে এমিলে সুকারকান্ডল ও লিনুস কার্ল পাউলিং এই পরিভাষাটি প্রবর্তন করেন। এর অনেক পরে ডিএনএ অনুক্রম নির্ণয় করার কাজ শুরু হয়। তারা অতীত জীবদের সাথে সঙ্গতিবিশিষ্ট পলিপেপ্টাইড অনুক্রমের সম্ভাব্য পুনর্নির্মাণের ব্যাপারটিকে নির্দেশ করতে এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন।^[3] জীববিজ্ঞানী অ্যালান উইলসনের নেতৃত্বে একটি বিজ্ঞানীর দল ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো একটি প্রাচীন ডিএনএ অনুক্রম প্রকাশ করেন, যেটি একটি বিলুপ্ত কুয়াগার জাদুঘর নিদর্শন থেকে পৃথক করা হয়।^[4]

জীবাশ্ম বংশাণুবিজ্ঞানীরা প্রকৃত জীবদের পুনর্সৃজন করেন না। বরং তারা প্রাচীন ডিএনএ অনুক্রমগুলির খণ্ডগুলিকে বিভিন্ন বিশ্লেষণী পদ্ধতি ব্যবহার করে জোড়া লাগান।^[5] জীবাশ্মগুলি হল "বিলুপ্ত প্রজাতি ও বিবর্তনীয় ঘটনাবলীর একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী"।^[6] তাই ঐসব জীবাশ্মের মধ্যে ডিএনএ খুঁজে বের করার মাধ্যমে ঐসব প্রজাতি সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য উন্মোচন করা সম্ভব, এমনকি তাদের পূর্ণাঙ্গ শারীরতত্ত্ব ও শারীরস্থান সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া সম্ভব।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন ডিএনএ অনুক্রম আবিষ্কারের ঘটনাটির প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এটি ছিল আজ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে বরফে জমাট বেঁধে যাওয়া একটি সাইবেরীয় ম্যামথ নামক জীবের দাঁত।^[7][8]

আরও দেখুন

• পূর্বপুরষ পুনর্নির্মাণ
• পূর্বপুরুষ অনুক্রম পুনর্নির্মাণ
• প্রাচীন ডিএনএ
• প্রাচীন রোগজীবাণুর বংশাণুসমগ্রবিজ্ঞান
• প্রত্নবংশাণুবিজ্ঞান
• আণবিক ঘড়ি
• জীবাশ্ম-প্রাণরসায়ন
• জীবাশ্ম-ভাইরাসবিজ্ঞান

তথ্যসূত্র

1. Brown TA, Brown KA (অক্টোবর ১৯৯৪)। "Ancient DNA: using molecular biology to explore the past"। BioEssays। 16 (10): 719–726। এসটুসিআইডি 27567988। ডিওআই:10.1002/bies.950161006। পিএমআইডি 7980476।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
2. Pääbo S, Poinar H, Serre D, Jaenicke-Despres V, Hebler J, Rohland N, ও অন্যান্য (২০০৪)। "Genetic analyses from ancient DNA"। Annual Review of Genetics। 38: 645–679। ডিওআই:10.1146/annurev.genet.37.110801.143214। পিএমআইডি 15568989।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
3. Pauling L, Zuckerkand E, Henriksen T, Lövstad R (১৯৬৩)। "Chemical Paleogenetics: Molecular "Restoration Studies" of Extinct Forms of Life"। Acta Chemica Scandinavica। 17 (supl): 9–16। ডিওআই:10.3891/acta.chem.scand.17s-0009 ।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
4. Higuchi R, Bowman B, Freiberger M, Ryder OA, Wilson AC (১৯৮৪)। "DNA sequences from the quagga, an extinct member of the horse family"। Nature। 312 (5991): 282–284। এসটুসিআইডি 4313241। ডিওআই:10.1038/312282a0। পিএমআইডি 6504142। বিবকোড:1984Natur.312..282H।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
5. Gibbons A (ডিসেম্বর ২০১০)। "Tiny time machines revisit ancient life"। Science। 330 (6011): 1616। ডিওআই:10.1126/science.330.6011.1616। পিএমআইডি 21163988। বিবকোড:2010Sci...330.1616G।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link) "Paleogenetics: Unlocking the secrets from DNA of long ago"। SciTechStory। মার্চ ৬, ২০১১। ২০১৫-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
6. Geigl EM (২০০৮)। "Palaeogenetics of cattle domestication: Methodological challenges for the study of fossil bones preserved in the domestication centre in Southwest Asia"। Comptes Rendus Palevol। 7 (2–3): 99–112। ডিওআই:10.1016/j.crpv.2008.02.001।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
7. Hunt K (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "World's oldest DNA sequenced from a mammoth that lived more than a million years ago"। CNN News। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
8. Callaway E (ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Million-year-old mammoth genomes shatter record for oldest ancient DNA"। Nature। 590 (7847): 537–538। ডিওআই:10.1038/d41586-021-00436-x । পিএমআইডি 33597786 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)