![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/c/c2/Portrait_of_Jahangir_Beg%252C_Jansipar_Khan.jpg/640px-Portrait_of_Jahangir_Beg%252C_Jansipar_Khan.jpg&w=640&q=50)
জাহাঙ্গীর কুলী বেগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
জাহাঙ্গীর কুলী বেগ(ফার্সি: لاله بیگ) জাহাঙ্গীর কুলী খান (ফার্সি: جهانگیر قلي خان) পরে বাংলার সুবাহদার ছিলেন। তিনি ১৬০৭ সাল থেকে ১৬০৮ সাল পর্যন্ত বাংলার সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তিনি বিহারের শাসনকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[1] তার প্রকৃত নাম ছিল লালা বেগ।[2]
জাহাঙ্গীর কুলী বেগ | |
---|---|
![]() জাহাঙ্গীর কুলি বেগের ছবি | |
বাংলার সুবাহদার | |
কাজের মেয়াদ ১৬০৭ – ১৬০৮ | |
পূর্বসূরী | কুতুবউদ্দিন খান কোকাহ |
উত্তরসূরী | ইসলাম খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | ১৬০৮ |
জাহাঙ্গীর কুলী বেগের পিতা নিযাম ছিলেন মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের রাজকীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক।[2] লালা বেগ কাবুলের শাসনকর্তা শাহজাদা মির্জা হাকিমের ব্যক্তিগত পরিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[2] পরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের অধীনে চাকরি গ্রহণ করেন। তাকে শাহজাদা সেলিমের (জাহাঙ্গীর) ভৃত্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।[2] এভাবে, তিনি জাহাঙ্গীর কুলী (বাংলা: জাহাঙ্গীরের ভৃত্য) নামে পরিচিতি পান।[2] পরে বেগ থেকে খান পদবীতে উন্নত হন।[3]:৩০৮ নিজের যোগ্যতাবলে পদোন্নতি পেয়ে তিনি দিল্লির রাজসভার আমির পদে অধিষ্ঠিত হন এবং সাড়ে চার হাজারী মনসব লাভ করেন। বাংলার সুবাহদার পদে নিয়োগ লাভের পূর্বে তিনি বিহারের শাসনকর্তা ছিলেন।[2]
বাংলার সুবাহদার হিসেবে তার কার্যক্রম সম্পর্কে তেমন কিছ জানা যায় না। অনেক বৃদ্ধ বয়সে তিনি বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বাংলার জলবায়ুর সাথে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন নি। এর দরুন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ও সুবাহদারি লাভের পরের বছরে মৃত্যুবরণ করেন।[2]