জাপান সাম্রাজ্য
১৮৬৮ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা একটি শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
জাপান সাম্রাজ্য ১৮৬৮ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা একটি শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্র ছিল। ১৮৬৮ সালে মেইজি পুনর্গঠন এর মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর পর জাপানের নতুন সংবিধান গৃৃহিত হলে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। সাম্রাজ্যটি জাপানের মূল ভূখণ্ড এবং উপনিবেশ, আশ্রিত রাষ্ট্র, প্রথম বিশ্বযুদ্ধত্তোর প্রাপ্ত অঞ্চলসমূহ ও অন্যান্য অধীনস্থ ভূখণ্ড নিয়ে অনেকটা বিস্তৃত হয়েছিল।
জাপান সাম্রাজ্য 大日本帝国 দাই ঞিপ্পন্ তেইকোকু দাই ঞিহন্ তেইকোকু | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৮৬৮-১৯৪৭ | |||||||||||||
নীতিবাক্য:
| |||||||||||||
জাপান সাম্রাজ্য (১৯৪২ সালে) | |||||||||||||
রাজধানী | কিয়োতো (১৮৬৮-১৮৬৯) টোকিও (১৮৬৯-১৯৪৭) | ||||||||||||
বৃহত্তম নগরী | টোকিও | ||||||||||||
সরকারি ভাষা | জাপানি ভাষা | ||||||||||||
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা | আইনু ভাষা রুশ ভাষা ওকিনাওয়ান ভাষা | ||||||||||||
ধর্ম | ধর্মনিরপেক্ষতা (দে জুরি) শিন্তৌ ধর্ম (দে ফাক্তো) | ||||||||||||
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | জাপানি | ||||||||||||
সরকার | এককেন্দ্রিক পূর্ণ রাজতন্ত্র (১৮৬৮–১৮৮৯)[3] এককেন্দ্রিক সংসদীয় আধা-সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (১৮৮৯–১৯৪৭)[4] | ||||||||||||
সম্রাট | |||||||||||||
• ১৮৬৮-১৯১২ | মেইজি | ||||||||||||
• ১৯১২-১৯২৬ | তাইশো | ||||||||||||
• ১৯২৬-১৯৪৭ | শোয়া | ||||||||||||
প্রধানমন্ত্রী | |||||||||||||
• ১৮৮৫-১৮৮৮ (প্রথম) | ইতৌ হিরোবুমি | ||||||||||||
• ১৯৪৬-১৯৪৭ (শেষ) | শিগেরু ইয়োশিদা | ||||||||||||
আইন-সভা | ডায়েট | ||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | মেইজি যুগ • তাইশো যুগ • শোয়া যুগ | ||||||||||||
৩ জানুয়ারি ১৮৬৮ | |||||||||||||
• মেইজি সংবিধান | ১৮৮৯ | ||||||||||||
১৮৯৪ | |||||||||||||
১৯০৪ | |||||||||||||
১৯১৪ | |||||||||||||
• মুকদেন ঘটনা | ১৯৩১ | ||||||||||||
১৯৩৭ | |||||||||||||
১৯৪১ | |||||||||||||
১৯৪৫ | |||||||||||||
• নতুন সংবিধান প্রণীত | ৩ মে ১৯৪৭ | ||||||||||||
মুদ্রা | জাপানি ইয়েন | ||||||||||||
| |||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | জাপান রাশিয়া |
জাপানি সাম্রাজ্য | |||||
জাপানি নাম | |||||
---|---|---|---|---|---|
কাঞ্জি | 大日本帝国 | ||||
হিরাগানা | だいにっぽんていこく だいにほんていこく | ||||
কিউজিতাই | 大日本帝國 | ||||
|
মেইজি পুনর্গঠন এর পর জাপান খুব দ্রুতই রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে তৎকালীন চীন, রাশিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, রিউকিউসহ অনেক দেশের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঞ্চল অধিকার করে নেয়। অবশেষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধতে মিত্রশক্তির সাথে ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধতে অক্ষশক্তির সাথে যোগ দিয়ে জাপান এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশাল অংশের মালিকানা লাভ করে। এভাবেই জাপান বিশাল বড় সাম্রাজ্য তৈরি করে।
দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ (১৯৩৭-১৯৪৫)'র পর প্রাথমিকভাবে আন্তঃযুদ্ধ যুগ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে জাপান বিরাট আকারের সামরিক সাফল্য অর্জন করে ছিল। তবে ১৯৪২ সালের দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিডওয়ে যুদ্ধ (পার্ল হারবার আক্রমণ এর প্রতিশোধসরূপ জাপান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগর মিডওয়ে দ্বীপে পরিচালিত আমেরিকার একটি সামরিক অভিযান) ও গুয়াদানকানাল ক্যাম্পেইনের সময় জাপান প্রতিরক্ষামূকল অবস্থান গ্রহণে বাধ্য হয়। ধীরে ধীরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে এবং যুদ্ধের সময় জাপান যেসব অঞ্চল অধিকার করেছিল তা আস্তে আস্তে হারাতে শুরু করে। অবশেষে জাপানের মূল ভূখণ্ড সুরক্ষিত রেখে আমেরিকা জাপানের ইওয়ো জিমা ও ওকিনাওয়া দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল দখল করে নেয়। এরপর হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা হামলা ও জাপানের আত্মসমর্পণ এর মধ্যে দিয়ে জাপান পুরোপুরি মিত্রশক্তির অধিনে চলে আসে।
১৯৪৭ সালে আমেরিকার হস্তক্ষেপে জাপানের নতুন সংবিধান গৃহীত হয় এবং জাপান সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে অবসান ঘটে। তবে যুদ্ধত্তোর পুনর্গঠন ১৯৫২ সাল অবধি অব্যাহত ছিল যার ফলে বর্তমান সাংবিধানিক রাজতন্ত্রবাদী জাপান এর জন্ম হয়।
জাপান সাম্রাজ্যের তিনজন সম্রাট ছিলেন, যদিও হিরোহিতোর শাসনামল শেষ হওয়ার পূর্বেই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। তারা তিনজন হলেন- সম্রাট মেইজি (১৯৬৭-১৯১২) (মুৎসুহিতো), সম্রাট তাইশো (১৯১২-১৯২৬) (ইয়োশিহিতো) ও সম্রাট শোয়া (১৯২৬-১৯৮৯) (হিরোহিতো)।