জল্লাদখানা বধ্যভূমি বা পাম্পহাউজ বধ্যভূমি ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি বধ্যভূমি।[1] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালিদের নির্যতনের পর এখানেই গণকবর দেওয়া হয়েছিল। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিগুলোর একটি।

Thumb
জল্লাদখানা বধ্যভূমির সম্মুখভাগ

ঘটনা

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মিরপুরের বিহারী অধ্যুষিত এলাকাগুলো সাধারণত বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙ্গালিদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর বিহারি, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস ,তাদের ট্রেনিং প্রাপ্ত জল্লাদ দিয়ে জবাই করে বড় বড় সেফটি ট্যাঙ্কির ভিতরে ফেলে রাখত।

এ বধ্যভূমি থেকে ৭০টি মাথার খুলি, ৫৩৯২টি অস্থিখণ্ড, মেয়েদের শাড়ি, ফ্রক, ওড়না, অলংকার, জুতা, তসবিসহ শহীদদের ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।[2]

বর্তমান অবস্থা

Thumb
ফলক

১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকার দেশের বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিতকরণ ও সংস্কারের প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ১৯৯৯ সালের ১৫ই নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-এর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড এর সহযোগিতায় মিরপুরের দুটি জায়গায় খননকাজ চালায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও দুটি বধ্যভূমি আবিষ্কার করে। এরপর এ দুটিসহ পুরো মিরপুরে মোট চারটি বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়।

২০০৮ সালে তৎকালীন সরকার পুনরায় জল্লাদখানা কর্মসূচি শুরু করে এবং স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন এর সার্বিক পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয় জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ।[3] এর পূর্বপাশে রয়েছে টেরাকোটা ইট ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি শিল্পী রফিকুন নবী ও মুনিরুজ্জামান এর যুগ্মভাবে করা একটি ভাস্কর্য “জীবন অবিনশ্বর”।[4] ২০০৭ সালের ২১ জুন এই স্থাপনাটির দ্বার উন্মোচন করা হয়।

চিত্রশালা

Thumb
জল্লাদখানা বধ্যভূমি, মিরপুর, ঢাকা

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.