গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২
From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (ইংরেজি: Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2) বা সংক্ষেপে সার্স-কোভি-২ (SARS-CoV-2),[1][2] একটি ধনাত্মক দিকমুখী একক-সূত্রবিশিষ্ট আরএনএ ভাইরাস।[3][4] এটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে একটি রোগের সৃষ্টি করে, যার নাম করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯। এই ভাইরাসঘটিত রোগটি ২০২০ সালে চলমান একটি বৈশ্বিক মহামারীর সৃষ্টি করেছে।[5][6] ভাইরাসটিকে প্রথমদিকে সাময়িকভাবে "২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস" (অর্থাৎ "২০১৯ নতুন করোনাভাইরাস", সংক্ষেপে "2019-nCoV") নাম দেওয়া হয়েছিল।[7][8][9]
Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 | |
---|---|
সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের কণাসমূহের ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ আলোকচিত্র, যাতে ভাইরাসগুলির মুকুট বা করোনা দৃশ্যমান | |
একটি সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ত্রিমাত্রিক প্রতিমা চিত্র | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
শ্রেণীবিহীন: | ভাইরাস |
পর্ব: | incertae sedis |
বর্গ: | Nidovirales |
পরিবার: | Coronaviridae |
গণ: | Betacoronavirus |
উপগণ: | Sarbecovirus |
প্রজাতি: | Severe acute respiratory
syndrome coronavirus |
strain | |
Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 | |
প্রতিশব্দ | |
2019-nCoV |
সার্স-কোভি-২ ভাইরাসটির সাথে বাদুড়ের দেহে বাহিত করোনাভাইরাসগুলির ঘনিষ্ঠ বংশাণুগত সাদৃশ্য রয়েছে এবং এগুলির কোনও একটি থেকেই হয়ত বিবর্তনের মাধ্যমে এই ভাইরাসটির উৎপত্তি ঘটেছে।[10][11][12] ধারণা করা হচ্ছে একটি অন্তর্বর্তী প্রাণী যেমন আঁশযুক্ত পিপীলিকাভুক বা প্যাঙ্গোলিনের মাধ্যমে মানবদেহে এই ভাইরাস প্রথম প্রবেশ করে।[13][14] শ্রেণিবিন্যাসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সার্স-কোভি-২ ভাইরাসটিকে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস (SARSr-CoV) নামক ভাইরাস-প্রজাতির (species) একটি প্রকার (strain) হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে।[1]
এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটিকে সর্বপ্রথম মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে শনাক্ত করা হয়। এজন্য কদাচিৎ এটিকে "উহান ভাইরাস", "উহান করোনাভাইরাস" কিংবা "চীনা করোনাভাইরাস" নামেও উল্লেখ করা হতে পারে।[15][16][17][18] তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাম্প্রতিককালে ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে জীবাণুসমূহের নামকরণকে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[13][19][20] এছাড়া সার্স ("গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি", ইংরেজিতে Severe Acute Respiratory Syndrome) নামের পুরাতন কিন্তু কাছাকাছি একটি মারাত্মক রোগের সাথে যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাইরাসটিকে "কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস" কিংবা "কোভিড-১৯ ভাইরাস" নামগুলি ব্যবহার করছে।[21] সাধারণ জনসাধারণ প্রায়শই এই ভাইরাস ও তার সৃষ্ট সংক্রামক রোগ, উভয়কেই "করোনাভাইরাস" এমনকি আরও সংক্ষেপে "করোনা" বলে ডেকে থাকে, তবে বিজ্ঞানী ও বেশিরভাগ সাংবাদিক সাধারণত বিশেষ পরিভাষা ব্যবহার করেন।[22]