![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/36/Multiply_4_bags_3_marbles.svg/langbn-640px-Multiply_4_bags_3_marbles.svg.png&w=640&q=50)
গুণ (গণিত)
গণিতের চারটি মৌলিক ক্রিয়ার একটি / From Wikipedia, the free encyclopedia
অঙ্কশাস্ত্রের চারটি মৌলিক ক্রিয়ার মধ্যে গুণ (বা গুণন) একটি, যেখানে অন্য তিনটি ক্রিয়া হলো যোগ, বিয়োগ এবং ভাগ)। গুণকে সচরাচর আড়াআড়ি ক্রশ চিহ্ন
দ্বারা সূচিত করা হয়। এছাড়া গুণে ব্যবহৃত সংখ্যা বা চলকগুলোর অভ্যন্তরে বিন্দু
বসিয়ে, চলকের ক্ষেত্রে একে অপরকে পাশাপাশি বসিয়ে এবং কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সংখ্যার মধ্যে তারাচিহ্ন
বসিয়ে গুণকে নির্দেশ করা হয়ে থাকে। সংখ্যার গুণন ক্রিয়ায় যে ফল বের হয় তাকে বলা হয় গুণফল।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/36/Multiply_4_bags_3_marbles.svg/320px-Multiply_4_bags_3_marbles.svg.png)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d3/Multiply_scaling.svg/640px-Multiply_scaling.svg.png)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/02/Multiplication_as_scaling_integers.gif/320px-Multiplication_as_scaling_integers.gif)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/02/Multiplication_scheme_4_by_5.jpg/320px-Multiplication_scheme_4_by_5.jpg)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/fc/Multiply_field_fract.svg/640px-Multiply_field_fract.svg.png)
দুইটি পূর্ণ সংখ্যার গুণকে পৌনঃপুনিক যোগ হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে, যেখানে গুণফল হলো সংখ্যা দুটির যেকোনো একটিকে অপর সংখ্যার মান যত তত বার যোগ করার সমান। অর্থাৎ দুইটি পূর্ণ সংখ্যা "ক" এবং "খ"-এর মধ্যকার গুণ হচ্ছে, "ক"-এর যে সংখ্যামান আছে, ততটি "খ"-কে তার নিজের সাথে যোগ। এক্ষেত্রে "ক"-কে গুণ্য, "খ"-কে 'গুণক এবং গুণ ক্রিয়ার ফলাফলকে গুণফল বলা হয়। গুণনে অংশগ্রহণকারী "ক" এবং "খ"-এর উভয়কেই এই গুণফলের গুণজ বা গুণনীয়ক বা উৎপাদক বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ৩ দিয়ে ৪-এর গুণকে সচরাচর ৩ × ৪ এর আকারে লেখা হয় এবং ইংরেজিবলয়ে একে থ্রি টাইমস ফোর পড়া হয়, যার অর্থ দাড়ায়, ৪-কে ৩ বার যোগ। ফলতঃ ৩ × ৪ এর গণনা ৪-এর তিনটি অনুলিপির একত্রে যোগের মাধ্যমে করা যেতে:
- ৩ × ৪ = ৪ + ৪ + ৪ = ১২
এখানে ৩ (গুণক) ও ৪ (গুণ্য) হলো গুণনীয়ক এবং ১২ হলো গুণফল।
গুণের প্রধান একটি ধর্ম হলো এর বিনিময়যোগ্যতা, যা এ কথাই বলে যে, ৪-এর তিনটি অনুলিপির যোগের যে ফলাফল বের হবে, ৩-এর চারটি অনুলিপির যোগেও সেই ফলাফলই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, "৩ দিয়ে ৪-কে গুণ" এবং "৪ দিয়ে ৩-কে গুণ" করা সমার্থক।
- ৪ × ৩ = ৩ + ৩ + ৩ + ৩ = ১২
এই কারণে, গুণ্য ও গুণকের সংজ্ঞা বা অভিধা কী হলো না হলো তা গুণফলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।[1]
এই মৌলিক সংজ্ঞার যে পদ্ধতিগত সাধারণীকরণগুলো রয়েছে সেগুলো দিয়েই ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা, পূর্ণসংখ্যা, মূলদ সংখ্যাসহ সকল বাস্তব সংখ্যার গুণকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
এছাড়া গুণকে একটি আয়তক্ষেত্র কতটি পূর্ণ সংখ্যক বস্তু দিয়ে সাজানো রয়েছে সেই সংখ্যা গণনারূপে করা কল্পনা করা যেতে পারে। অথবা একে কল্পনা করা যেতে পারে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বাহুযুক্ত একটি আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সাথে। কোন বাহুটি প্রথমে পরিমাপ করা হলো আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল তার উপর নির্ভর করে না - যা গুণের বিনিময় বৈশিষ্ট্যেরই অনুসারী।
দুটি রাশির গুণনের ফলে একটি নতুন ধরনের রাশি বের হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি আয়তক্ষেত্রের দুই বাহুর দৈর্ঘ্যকে গুণ করলে এর ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়, যেখানে দৈর্ঘ্য ও ক্ষেত্রফল পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও এরা সম্পূর্ণভাবে আলাদা দুটি রাশি বা পরিমাপ। এই ধরনের একটি গুণ মাত্রা সমীকরণের আলোচনার বিষয়।
গুণের বিপরীত প্রক্রিয়া হলো ভাগ। উদাহরণস্বরূপ, ৪-কে ৩ দ্বারা গুণ ১২-এর সমান হওয়ায়, ১২-কে ৩ দ্বারা ভাগ করলে ৪-এর সমান হয়। প্রকৃতপক্ষে, ৩ দ্বারা ভাগ অনুসারে, ৩ দ্বারা গুন করলে মূল সংখ্যা পাওয়া যায়।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] ০ ব্যতীত অন্য যেকোনো সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা দিয়েই ভাগের ফল হবে ১।
জটিল সংখ্যার ন্যায় অন্যান্য সংখ্যার ক্ষেত্রেও, উপরন্তু ম্যাট্রিক্সের মতো আরও বিমূর্ত কাঠামোর জন্যেও গুণকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই ধরনের আরও কিছু কিছু বিমূর্ত কাঠামোর ক্ষেত্রে অপারেন্ডগুলোর পারস্পরিক গুণন যে ক্রমানুসারে চালনা করা হয় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (গণিতে অপারেন্ড হলো সেসব সংখ্যা বা রাশি যাদের ওপর গাণিতিক ক্রিয়া নির্বাহ করা হয়। যেমন: ৫২-এ ৫ হলো অপারেন্ড এবং এর ওপর যে গাণিতিক ক্রিয়াটি প্রয়োগ করা হয়েছে তার নাম বর্গীকরণ।) গণিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গুণফলের একটি তালিকা গুণফল (গণিত) -এ দেওয়া হয়েছে।