গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক
পূর্ব ইউক্রেনীয় ওব্লাস্ত দোনেৎস্কের একটি স্ব-ঘোষিত আধা-রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক হল পূর্ব ইউক্রেনীয় ওব্লাস্ত দোনেৎস্কের একটি স্ব-ঘোষিত আধা-রাষ্ট্র। এটিকে শুধুমাত্র আংশিকভাবে স্বীকৃত দক্ষিণ ওশেতিয়া ও প্রতিবেশী লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিক (এলপিআর) স্বীকৃতি প্রদান করেছে। দোনেৎস্ক রাজধানী শহর ও ডিপিআর-এর বৃহত্তম শহর। দিনিস পুশিলিন ২০১৮ সাল থেকে ডিপিআর রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[8][9]
গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক
| |
---|---|
ডিপিআর-এর ঘোষিত (হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ) ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল (গাঢ় সবুজ) | |
ইউক্রেনের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক | |
অবস্থা | বিতর্কিত |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | দোনেৎস্ক |
সরকারি ভাষা | রুশ[2] |
সরকার | এককেন্দ্রিক সাংবিধানিক গণতন্ত্র |
• প্রধান | দিনিস পুশিলিন[3] |
• প্রধানমন্ত্রী | ভ্লাদিমির পাশকভ |
• গণপরিষদের চেয়ারম্যান | ভ্লাদিমির বিডিওভকা |
আইন-সভা | গণপরিষদ |
স্বাধীনতা ইউক্রেন থেকে | |
• প্রতিষ্ঠিত | ৭ এপ্রিল ২০১৪ |
• স্বাধীনতার ঘোষণা | ১২ মে ২০১৪[4] |
আয়তন | |
• মোট | ৮,৯০২ কিমি২ (৩,৪৩৭ মা২) |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৮ আনুমানিক | ২৩,০২,৪৪৪[5] (ক্রম করা হয়নি) |
মুদ্রা | রুশ রুবল[6] |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+৩ (মস্কো সময়[7]) |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় বিপ্লবের পর লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিক ও ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের পাশাপাশি ডিপিআর ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ইউক্রেন ও ডিপিআর ও এলপিআর-এর মধ্যে একটি চলমান সশস্ত্র সংঘাত তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হয়। এলপিআর ও ডিপিআর রাশিয়া থেকে সহায়তা পেয়েছে।[10][11] ন্যাটো ও ইউক্রেনের মতে, রাশিয়া ডিপিআর বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তাও দিয়েছিল, তবে দাবিটি রাশিয়া অস্বীকার করেছিল।[12] ইউক্রেন ডিপিআর ও এলপিআর উভয়কেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে,[13] যদিও এই উপাধিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বা সরকার (ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সহ) দ্বারা সমর্থিত নয়।[14]
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত মিন্স্ক চুক্তির (ডিপিআর, এলপিআর, রাশিয়া, ওএসসিই এবং ইউক্রেন দ্বারা স্বাক্ষরিত) লক্ষ্য সংঘাত বন্ধ করা ও উক্ত এলাকার জন্য আরও স্বায়ত্তশাসনের বিনিময়ে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিকে ইউক্রেনে পুনঃসংহত করা ছিল,[15][16] কিন্তু চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।[17]
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়া ডিপিআর দ্বারা জারি করা পরিচয় নথি, ডিপ্লোমা, জন্ম-মৃত্যু ও বিবাহ-শংসাপত্র এবং গাড়ির নিবন্ধন প্লেটগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে যে মিন্স্ক চুক্তির উপর ভিত্তি বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে "পরিস্থিতির রাজনৈতিক নিষ্পত্তি" না হওয়া পর্যন্ত এটি তারা চালিয়ে যাবে।[18][19] ন্যাটো, ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, যে নিয়মিত রাশিয়ান ইউনিটসমূহ ডিপিআর ও এলপিআর'কে সহায়তা করছে, যা আধুনিক রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ও আর্টিলারি পরিচালনা করে।[12] রাশিয়া উক্ত দাবি অস্বীকার করে, তবে বলেছে যে রাশিয়ান স্বেচ্ছাসেবকরা ডিপিআর ও এলপিআর'কে সাহায্য করছে।[12]
ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে দোনেৎস্ক পিপল'স রিপাবলিককে – লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিক, ক্রিমিয়ার স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ও সেভাস্তোপোলের পাশাপাশি – ইউক্রেনের চারটি অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চলের একটি হিসাবে বিবেচনা করে।[20][21]
ডিপিআর ও ইউক্রেনীয় সরকার অনুমান করে, যে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ – দোনেৎস্ক ওব্লাস্তের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি – ডিপিআর-অধিষ্ঠিত অঞ্চলে বাস করে। যদিও বিদ্রোহীরা দোনেৎস্ক ওব্লাস্তের বেশিরভাগ এলাকা শাসন করে না, শুধুমাত্র ৭,৮৫৩ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, তারা দোনেৎস্ক (রাজধানী) ও হরলিভকার মতো বড় শহরগুলি দখল করেছে।[22] রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দোনেৎস্ককে স্বীকৃতি প্রদান করেন।[23]