খুশকি
From Wikipedia, the free encyclopedia
খুশকি ত্বকের বিশেষ একটি অবস্থাকে বুঝায়, যা মূলত মাথার খুলিতে বেশি দেখা যায়।[1] এতে চর্মরেণু মাথার ত্বক থেকে আঁশের মত উঠে উঠে আসে, এবং ঝরে পড়ে।[1][2] খুশকি আত্মসম্মানের এমনকি সামাজিক সমস্যাও তৈরী করতে পারে।[4] এ অবস্থার আরও ভয়াবহ রূপ হলো সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানিপ্রবণ অবস্থা।[1]
খুশকি | |
---|---|
প্রতিশব্দ | পাইটিরিয়াসিস ক্যাপিটি, পাইটিরিয়াসিস সিচকা[1] |
মানুষের মাথার খুশকির একটি অণুবীক্ষণ চিত্র | |
বিশেষত্ব | ত্বকবিজ্ঞান |
লক্ষণ | মাথার খুলির ত্বক উঠে যাওয়া ও ঝরে পড়া[1][2] |
রোগের সূত্রপাত | বয়ঃসন্ধি[1] |
কারণ | জিনগত এবং পরিবেশগত কারণ[1] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | লক্ষণের উপর ভিত্তি করে[3] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | সোরিয়াসিস, ডার্মাটাইটিস, টিনিয়া ক্যাপাইটিস[1][2] |
ঔষধ | অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম (কেটোকোনাজোল, স্যালিসিলিক অ্যাসিড[1][2] |
সংঘটনের হার | প্রাপ্তবয়স্করদের প্রায় ৫০%[1] |
খুশকির স্পষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও, ধারণা করা হয় জিনগত ও পরিবেশগত কারণে খুশকি হতে পারে।[1] শীতকালে যেটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।[5] খুশকির পেছনে কারণ হিশেবে অপরিচ্ছন্নতাকে দায়ী করা হলেও, মূলত তার সাথে এর সম্পর্ক নেই। [6] ত্বকের কোষের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে খুশকি হয়ে থাকে।[5] লক্ষণের উপর ভিত্তি করে খুশকির রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়।[3]
খুশকির কোন সাধারন প্রতিকার নেই। [7] অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।[1][2] প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেকই এ অবস্থার স্বীকার, যেখানে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে আক্রান্তর হার বেশি। [1] পৃথিবীর প্রায় সব জায়গার লোকই খুশকিতে আক্রান্ত হয়।