প্রাকৃতিক সম্পদ
মানবজাতির কর্ম ছাড়াই বিদ্যমান সম্পদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাকৃতিক সম্পদ হলো এমন সম্পদ যা সরাসরি প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয় এবং সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে মানব ব্যবহারোপযোগী করা হয়। এতে বাণিজ্যিক ও শিল্প ব্যবহার, নান্দনিক কদর, বৈজ্ঞানিক আগ্রহ এবং সাংস্কৃতিক কদরের মতো মূল্যবান বৈশিষ্ট্যের উৎস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পদের মধ্যে সূর্যের আলো, বায়ুমণ্ডল, পানি, ভূমি, সমস্ত উদ্ভিদকূলসহ সমস্ত খনিজ এবং প্রাণিজীবন অন্তর্ভুক্ত।[1][2][3][4]
প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে পারে বা অভরায়ণ্যে সুরক্ষিত থাকতে পারে। বিশেষ অঞ্চল (যেমন- সুন্দরবন) প্রায়ই তাদের বাস্তুতন্ত্রে জীববৈচিত্র্য ও ভূবৈচিত্র্য প্রদর্শন করে। প্রাকৃতিক সম্পদ বিভিন্ন উপায়ে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক সম্পদ হলো বস্তু ও উপাদান (এমন কিছু যা ব্যবহার করা যেতে পারে) যা পরিবেশের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়। প্রতিটি মানবসৃষ্ট পণ্য প্রাকৃতিক সম্পদ দ্বারা গঠিত (তার মৌলিক স্তরে)।
একটি প্রাকৃতিক সম্পদ একটি পৃথক সত্তা হিসাবে বিদ্যমান থাকতে পারে, যেমন- বিশুদ্ধ পানি, বায়ু, সেইসাথে মাছের মতো যেকোনো জীবন্ত প্রাণী; অথবা এটি নিষ্কাশন শিল্প দ্বারা একটি অর্থনৈতিকভাবে উপযোগী আকারে রূপান্তরিত হতে পারে যেটিকে অবশ্যই সম্পদ প্রাপ্তির জন্য প্রক্রিয়া করতে হবে, যেমন- ধাতব আকরিক, বিরল মৃত্তিকা মৌল, পেট্রোলিয়াম, কাঠ ও অধিকাংশ শক্তি। কিছু সম্পদ হলো পুনর্নবীনীকরণযোগ্য বা নবায়নযোগ্য সম্পদ, যার অর্থ হলো সেগুলো একটি নির্দিষ্ট হারে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়ায় তাদের পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে, পক্ষান্তরে অধিকাংশ নিষ্কাশন শিল্প অপুনর্নবীনীকরণযোগ্য বা অনবায়নযোগ্য সম্পদের উপর অধিক পরিমাণে নির্ভর করে যা শুধুমাত্র একবারই আহরণ করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক সম্পদের বণ্টন দেশসমূহের মাঝে ও অভ্যন্তরে অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের কেন্দ্রে হতে পারে। এটি ক্রমবর্ধমান অভাব এবং ঘাটতির সময়কালে সত্য (সম্পদ হ্রাস ও অতিরিক্ত ব্যবহার)। সম্পদ আহরণও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পরিবেশগত ক্ষতির একটি প্রধান উৎস। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়সূচিসমূহ প্রায়শই আরও টেকসই সম্পদ নিষ্কাশন তৈরির উপর আলোকপাত করে, কিছু বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অর্থনৈতিক মডেল তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেন, যেমন- বৃত্তাকার অর্থনীতি, যা সম্পদ আহরণের উপর কম নির্ভর করে এবং পুনঃব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও নবায়নযোগ্য সম্পদের উপর বেশি নির্ভর করে। যা টেকসইভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে।