কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বৃহত্তম ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্লান্টেশন সেন্টার। এখানে রয়েছে হাসপাতাল, ল্যাব, ডায়ালাইসিস এবং কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সেন্টার। এটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৩ থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়।[1] এখানে রয়েছে ল্যাব টেষ্টসহ ইনডোর এবং আউটডোর সুবিধা। এই ফাউন্ডেশন দেশের আপামর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কিডনী রোগ, ডায়েবেটিক্স এবং হাইপারটেনশন রোগ সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার উপর বিভিন্ন গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
গঠিত | জুন ২০০২ |
---|---|
সদরদপ্তর | প্লট # ৫/২, সড়ক # ০১, সেকশন # ০২ মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ |
যে অঞ্চলে | বাংলাদেশ |
চেয়ারম্যান | প্রফেসর হারুন আর রশীদ |
ম্যানেজিং ডিরেক্টর | টিনি রশিদ |
ওয়েবসাইট | www.kidneyfoundationbd.com |
অবস্থান
কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্লট # ৫/২, সড়ক # ০১, সেকশন # ০২ মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।[2]
এক নজরে
- ডায়ালাইসিস ইউনিটে মোট বেড সংখ্যা ২০টি।
- ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশন থিয়েটার ২টি।
- আই সি ইউ (ট্রান্সপ্লান্ট) ৪টি।
- সুবিস্তৃত ল্যাব সুবিধার মধ্যে রয়েছে বায়োকেমেস্ট্রি (Biochemistry), মাইক্রোবায়োলজি (Microbiology), ইউরিন স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি (Urine Specific Gravity)।
- ইনডোর সুবিধায় বেড সংখ্যা ৩০টি।
হেমো ডায়ালাইসিস
কিডনী ফাউন্ডেশন ৩২ রকমের ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে থাকে। হেপাটিটিস সি রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। জরুরী ভিত্তিতে রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কিডনী ফাউন্ডেশনে হেমো ডায়ালাইসিস করার ব্যবস্থা রয়েছে। ডায়ালাইসিস ইউনিটে মোট ২৬টি বেড রয়েছে। এখানে প্রতি মাসে ১২০০০ থেকে ১৩০০০ ডায়ালাইসিস হয়ে থাকে। প্রতিদিন তিনটি শিফটে ডায়ালাইসিস হয়ে থাকে। রোগীর ডায়ালাইসিস চার্জ ৬৫০ টাকা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্ভিস
২০০৬ সাল থেকে ফাউন্ডেশনটি কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্জারী করে আসছে। ২০০৬ এর পরিসংখ্যান মতে ২১৬ জন রোগীর কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশনে শতকরা ৯৮ ভাগ সফলতা এসেছে। কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্জারী আইসিইউ সুবিধাসহ মোট খরচ ২,৩০,০০০ টাকা। কিডনী প্রদানকারীর জন্য ২৫,০০০ টাকা এবং সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ পৃথকভাবে পরিশোধ করতে হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইউনিট
ইনডোর ইউনিট
কিডনী ফাউন্ডেশনের হাসপাতালের ইনডোর ইউনিটে ১৫০টি বেড রয়েছে। তন্মধ্যে ১৬টি বেড আইসিইউ ট্রান্সপ্লান্টেশন সুবিধাযুক্ত, অপারেশন পরবর্তী ব্যবহারের জন্য রয়েছে ১৬টি বেড, নেফ্রোলজী আইসিইউ এর জন্য রয়েছে ৪টি বেড এবং ডায়ালাইসিস ইউনিটের জন্য রয়েছে ৪০টি বেড। এছাড়া এখানে ১৪টি কেবিন রয়েছে। এখানে রয়েছে ইন্টারভেনশনাল নেফ্লোলজী ইউনিট এবং রেডিওলজী এন্ড ইমেজিং ইউনিট। ইমার্জেন্সী ডিপার্টমেন্টে সার্বক্ষনিক ডাক্তার কর্তব্যরত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আউটডোর ইউনিট
কিডনী ফাউন্ডেশনের হাসপাতালের আউটডোর ইউনিট সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিশেষভাবে কনসাল্টেশন সার্ভিসটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮পর্যন্ত খোলা থাকে। ওপিডি বিভাগটি প্রতি শনিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই ইউনিটে কিডনী রোগ, ডায়েবেটিস, হাইপারটেনশন, ইউরোলজীক্যাল এবং স্টোন সমস্যা, ডায়ালাইসিস এবং কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্ভিস প্রদান করা হয়। এছাড়া ডায়ালাইসিস এর রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ল্যাবরেটরী সুবিধা
এখানে ল্যাবরেটরীতে সকল ডায়াগনষ্টিক টেষ্ট করা হয়। সকল টেষ্টে ৩০% ডিসকাউন্ট রয়েছে। বিশেষ করে ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্লান্ট রোগীদের জন্য ৫০% ছাড় রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রোগী ভর্তির নিয়মাবলী
হাসপাতালে রোগী ভর্তির জন্য প্রথমে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হয়। ডাক্তারের মতামতের ভিত্তিতে রোগী হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। রোগী ভর্তির পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরন করতে হয়। রোগী যদি ওয়ার্ডে থাকেন সেক্ষেত্রে ৫,০০০ টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হয়। রোগী যদি কেবিনে থাকেন সেক্ষেত্রে ১৫,০০০ টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.