Loading AI tools
ভারতীয় অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কার্তিক আরিয়ান তিওয়ারি[1] (হিন্দি: कार्तिक आर्यन; জন্ম: ২২ নভেম্বর ১৯৯০[2]) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কার্তিকের জন্ম ও বেড়ে ওঠে গোয়ালিয়র শহরে। পরে জৈবপ্রযুক্তিতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি চলে আসেন নবি মুম্বইতে। পড়াশোনার পাশাপাশি শখ হিসাবে তিনি মডেলিং করতে থাকেন এবং সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতে কর্মজীবন শুরু করার চেষ্টাও চালাতে থাকেন। তিন বছর চেষ্টার পর ২০১১ সালে কার্তিক পেয়ার কা পাঞ্চনামা নামে একটি বাডি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। এই ছবিটির মূল উপজীব্য ছিল তিন যুবকের প্রণয়ঘটিত কষ্ট। ছবিটি পরিচালনা করেন লব রঞ্জন এবং এই ছবিতে কার্তিকের বিপরীতে অভিনয় করেন নুসরত ভরুচা।
কার্তিক আরিয়ান | |
---|---|
জন্ম | কার্তিক তিওয়ারি ২২ নভেম্বর ১৯৯০ গোয়ালিয়র, মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
শিক্ষা | ডি ওয়াই পাতিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, নবি মুম্বই |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০১১ – বর্তমান |
তারপর আকাশ বাণী (২০১৩) ও কাঞ্চী: দি আনব্রেকেবল (২০১৪) ছবিতে কার্তিক প্রধান নারী চরিত্রগুলির প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন। কিন্তু এই দু’টি ছবির মাধ্যমে তিনি বিশেষ কোনও সাফল্য অর্জনে সক্ষম হননি। এরপর তিনি আবার লব রঞ্জনের পরিচালনায় এবং নুসরত ভরুচার বিপরীতে পেয়ার কা পাঞ্চনামা ২ (২০১৫) ও সোনু কে টিটু কি সুইটি (২০১৮) নামে দু’টি বাডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবি দু’টি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করলেও এগুলির নারীবিদ্বেষী বিষয়বস্তুর জন্য সমালোচিতও হয়। শেষোক্ত ছবিটি কার্তিককে অভিনেতা হিসাবে বিশেষ পরিচিতি দান করে। এরপর তিনি অভিনয় করেন লুকা ছুপি (২০১৯) নামে একটি রোম্যান্টিক কমেডি ছবিতে।
অভিনয় ছাড়াও কার্তিক বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচার এবং দু’টি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৯০ সালের ২২শে নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়র শহরে কার্তিক তিওয়ারি[lower-alpha 1] জন্মগ্রহণ করেন।[3][4] তাঁর বাবা-মা দু’জনেই চিকিৎসক।[5] তাঁর বাবা একজন শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ এবং মা মালা একজন স্ত্রীরোগবিশারদ। কার্তিক নবী মুম্বইতে আসেন সেখানকার ডি. ওয়াই. পাতিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ জৈবপ্রযুক্তিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের জন্য। কিন্তু তাঁর মনে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার একটি গোপন উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল।[6][7] তিনি বলেছেন যে, ক্লাস কামাই করে দুই ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তিনি অডিশন দিতে যেতেন।[8][9] বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই কার্তিক মডেলিং করতে শুরু করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিন বছর ধরে বারংবার অডিশন দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ক্রিয়েটিং ক্যারাক্টারস ইনস্টিটিউটে একটি অভিনয় পাঠক্রমে ভর্তি হন। প্রথম ছবিতে সাক্ষর করার আগে তিনি তাঁর বাবা-মার কাছে অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেননি।[6][10]
কার্তিক যখন লব রঞ্জন পরিচালিত পেয়ার কা পাঞ্চনামা (২০১১) নামে একটি বন্ধুত্ব-বিষয়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন, সেই সময় তিনি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এই ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দিব্যেন্দু শর্মা, রায়ো এস বাখিরতা ও নুসরত ভরুচা। ছবির গল্পটির বিষয়বস্তু তিন যুবকের প্রণয়ঘটিত কষ্ট।[11][12] ফেসবুকে একটি কাস্টিং কল পাওয়ার পর ছয় মাস অডিশন দিয়ে তিনি এই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান।[6] সেই সময় তাঁর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিল না। বারো জন অন্য উঠতি অভিনেতার সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন কার্তিক এবং তাঁদের জন্য রান্না করে অর্থ উপার্জন করতেন।[6][13] পেয়ার কা পাঞ্চনামা ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রটির একটি চার মিনিটের স্বগতোক্তি রয়েছে। এটি সেই সময় পর্যন্ত হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম একক শটগুলির অন্যতম।[14] রিডিফ.কম ওয়েবসাইটে সেটি পর্যালোচনা করা সময় শেখ আয়াজ বলেন যে, "মেয়েরা মেয়েদের মতো কেন এবং কেন তাদের কখনও ঠিকমতো বোঝা যায় না, [সেই সম্পর্কে কার্তিকের স্বগতোক্তিটি] অত্যন্ত মজাদার।"[15] ছবির প্রতিটি নারী চরিত্রকে "নির্দয় খলনায়িকা" হিসেবে চিত্রিত করার জন্য আউটলুক পত্রিকার নম্রতা যোশী ছবিটির সমালোচনা করলেও কার্তিকের স্বগতোক্তি এবং তিনজন পুরুষের মধ্যেকার রসায়নটির প্রশংসা করেছেন।[16] ছবিটি সুপারহিট তকমা পায় এবং এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য কার্তিক শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে প্রোডিউসার্স গিল্ড চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[17][18]
চিহ্নিত ছবিগুলি এখনও মুক্তি পায়নি |
বছর | চলচ্চিত্র | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০১১ | পেয়ার কা পাঞ্চনামা | রজত (রাজ্জো) | |
২০১৩ | আকাশ বাণী | আকাশ | |
২০১৪ | কাঞ্চী: দি আনব্রেকেবল | বিন্দা | |
২০১৫ | পেয়ার কা পাঞ্চনামা ২ | অংশুল (গোগো) | |
২০১৬ | সিলবত | আনোয়ার | স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র |
২০১৭ | গেস্ট ইন লন্ডন | আর্যন শেরগিল | |
২০১৮ | সোনু কে টিটু কি সুইটি | সোনু শর্মা | |
২০১৯ | লুকা ছুপি | বিনোদ "গুড্ডু" শুক্ল | |
পতি পত্নী আউর ওহ | চিন্টু ত্যাগী | [19][20] | |
২০২০ | লাভ আজ কাল | বীর | [21][22] |
২০২২ | ভুল ভুলাইয়া ২ | রোহান রান্ধাওয়া | [23] |
ফ্রেডি | ফ্রেডি | চিত্রগ্রহণ সম্পূর্ণ[24][25][26] | |
শেহজাদা | অনির্ধারিত | চিত্রগ্রহণ চলছে[27][28] |
বছর | নাম | ভূমিকা |
---|---|---|
২০১৮ | ১৯শ আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি পুরস্কার | সহকারী সঞ্চালক[29] |
২০১৯ | ২০১৯ জি সিনে পুরস্কার | সহকারী সঞ্চালক[30] |
বছর | চলচ্চিত্র | পুরস্কার | বিভাগ | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
২০১২ | পেয়ার কা পাঞ্চনামা | প্রোডিউসার্স গিল্ড চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা | মনোনীত | [18] |
২০১৬ | পেয়ার কা পাঞ্চনামা ২ | স্টারডাস্ট পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হাস্যোদ্রেককারী অভিনেতা | বিজয়ী | [31] |
বিগ স্টার এন্টারটেইনমেন্ট পুরস্কার | সর্বাধিক চিত্তবিনোদনকারী শিল্পীদল | বিজয়ী | [32] | ||
বিগ স্টার এন্টারটেইনমেন্ট পুরস্কার | একটি হাস্যোদ্রেককারী চরিত্রে সর্বাধিক চিত্তবিনোদনকারী অভিনেতা | মনোনীত | [33] | ||
প্রোডিউসার্স গিল্ড চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হাস্যোদ্রেককারী অভিনেতা | মনোনীত | [34] | ||
টাইমস অফ ইন্ডিয়া চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হাস্যোদ্রেককারী অভিনেতা | মনোনীত | [35] | ||
২০১৮ | — | ভগ বিউটি অ্যাওয়ার্ডস | হার্টথ্রব অফ দ্য ইয়ার | বিজয়ী | [36] |
পেটা ইন্ডিয়া | হটেস্ট ভেজিটেরিয়ান সেলিব্রিটি | বিজয়ী | [37] | ||
২০১৯ | সোনু কে টিটু কি সুইটি | দাদাসাহেব ফালকে উৎকর্ষ পুরস্কার | বছরের শ্রেষ্ঠ বিনোদনশিল্পী | বিজয়ী | [38] |
নিকেলোডিয়ন কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস ইন্ডিয়া | ডায়নামিক পারফর্মার অ্যাওয়ার্ড | বিজয়ী | [39] | ||
জি সিনে পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হাস্যোদ্রেককারী অভিনেতা | বিজয়ী | [40] | ||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | মনোনীত | [41] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.