Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাধারণত একটি বিশাল পরিমাণ শক্তির হঠাৎ নিঃসরণ এবং ভূকম্পন তরঙ্গ হিসেবে সম্ভাব্য খুবই প্রচণ্ডতা নিয়ে এর পরিচলনের কারণে কোনো উপগ্রহ, গ্রহ বা নক্ষত্র যখন কম্পিত হয় তখন এর পৃষ্ঠে কম্পনের সৃষ্টি হয়।[1]
এধরনের কম্পনের মাঝে রয়েছেঃ
পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তির ভূকম্পন তরঙ্গ হিসেবে হঠাৎ নিঃসরণের কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে, ভূমির কম্পন, বিচ্চ্যুতি বা মাঝে মাঝে সুনামি হিসেবে ভূমিকম্পের প্রকাশ ঘটে যা জন-জীবনের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। পৃথিবীতে বেশিরভাগ ভূমিকম্পের কারণ হল ভূগর্ভে ফাটল ও টেকটোনিক প্লেটের স্তরচ্যুতি হওয়া যদিও সেটা অন্যান্য কারণ যেমন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, খনিতে বিষ্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষণায় ঘটানো আণবিক পরীক্ষা থেকেও হতে পারে।
চাঁদকম্পন হলো ভূকম্পনের মতই একটি ঘটনা যা চাঁদের পৃষ্ঠে ঘটে থাকে (অর্থাৎ চাঁদে কম্পন)। অ্যাপোলো নভোচারীরা এটি প্রথম আবিষ্কার করেন। সবচেয়ে শক্তিশালী চাঁদকম্পনগুলিও সবচেয়ে শক্তিশালী ভূকম্পনের থেকে বেশ দূর্বল। যদিও, ভূকম্পীয় কম্পনকে কমানোর মত যথেষ্ট কিছু না থাকায় এরা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।[2]
মঙ্গলকম্পন হলো সেই ধরনের কম্পন যা মঙ্গল গ্রহে সঙ্ঘটিত হয়। ২০১২ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতি মিলিয়ন বছরে মঙ্গলকম্পন হতে পারে।[3] ইহা মঙ্গলের টেকটোনিক সীমানার সাথে সম্পর্কীত।[4] একটি অনুনাদ, সম্ভবত একটি মঙ্গলকম্পনকে সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল নাসার ইনসাইট অবতরণকারী কর্তৃক পরিমাপ করা হয়।[5]
শুককম্পন হলো সেই ধরনের কম্পন যা শুক্র গ্রহে সঙ্ঘটিত হয়।
একটি শুককম্পন শুক্র গ্রহে নতুন কিছু চড়াই এবং ভূমিধসের কারণ হতে পারে। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে এবং ১৯৯১ সালের ২৩ জুলাইয়ে, ম্যাগেল্লান কর্তৃক ২° দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ৭৬° পূর্ব দ্রাঘিমাকে কেন্দ্র করে ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৪ কিলোমিটার প্রস্থে শুক্রের দুইটি ছবি নেওয়া হয়। অ্যাফ্রোডাইটি ভূমির এই অঞ্চলের ছবিদ্বয় একটি শিখরাকৃতির ঢালু উপত্যকা দেখায় যা নানা চ্যুতি দ্বারা বিভক্ত।[6]
সৌরকম্পন হলো সেই ধরনের কম্পন যা সূর্যে সঙ্ঘটিত হয়।
সৌরকম্পন উদ্ভূত ভূকম্পীয় কম্পন ফটোস্ফিয়ারে সঙ্ঘটিত হয় যার বেগ হতে পারে ৩৫০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (২২,০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এবং এরা মিলিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় ৪,০০,০০০ কিলোমিটার (২,৫০,০০০ মাইল) পাড়ি দিতে পারে।[7]
তারাকম্পন হলো ভূমিকম্পের অনুরূপ একটি জ্যোতিঃপদার্থবৈজ্ঞানিক ঘটনা, যা একটি নিউট্রন তারার ভূত্বকের হঠাৎ সমন্বয়ের কারণে ঘটে। ধারণা করা হয় যে দুইটি ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তারাকম্পন ঘটে। একটি হলো অভ্যন্তরীণ অতি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণে এর পৃষ্ঠে জন্মানো টান এবং অন্যটি হলো আবর্তন হ্রাস।
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে শক্তিশালী তারাকম্পনটি সঙ্ঘটিত হয় এসজিআর ১৮০৬-২০ নামক ম্যাগনেটারে যা ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর শনাক্ত হয়।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.