কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: CXB, আইসিএও: VGCB) হলো কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর। কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত, যা একটি পর্যটক আকর্ষণের বিষয় এবং এই কারণেই দেখা যায় এই বিমানবন্দরের বেশিরভাগ যাত্রীই স্থানীয় অথবা বিদেশী পর্যটক। এছাড়া এই বিমানবন্দর কিছু এয়ার কার্গো পরিচালিত হয় যা মূলত চিংড়ি পোনা পরিবহন করে।[3]
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | পাবলিক | ||||||||||
পরিচালক | বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | কক্সবাজার, বাংলাদেশ | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১২ ফুট / ৪ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২১°২৭′০৭″ উত্তর ০৯১°৫৭′৫০″ পূর্ব | ||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (জানুয়ারী ২০১৮- ডিসেম্বর ২০১৮) | |||||||||||
| |||||||||||
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রথম কক্সবাজার বিমানবন্দরটি নির্মাণ করেছিল। যুদ্ধ শেষ হবার পর এটির ব্যবহার বন্ধ হয় এবং বহুদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার এর সংস্কার করে এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য চালু করে। এ সময় কিছু দিনের জন্য কক্সবাজারে পিআইএর বিমান চলাচল শুরু করে তবে অনতিবিলম্বে এই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়, এভাবে দুই দফা পিআইএর ফ্লাইট চালু হয় এবং আবার বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে এই বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা সংস্কার করে ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালনা শুরু হয়। ওই সময় বিমানের ফ্লাইট যাতায়াত করত সপ্তাহে একদিন। পর্যটনের খরা-মৌসুমে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকত। ২০১২ সালের ৩০শে জুন বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পুরাপুরি বন্ধ হবার আগ পযন্ত পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ বিমান প্রথমে সপ্তাহে দুটি এবং তারপর সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করত।[4] বাংলাদেশে বেসরকারি বিমান সংস্থা আসার পর জিএমজি এয়ারলাইন্স কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে । বর্তমানে সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি চারটি এয়ারলাইনস সপ্তাহের প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে (২রা অক্টোবর ২০১৪ পযন্ত তথ্য মতে )। গত দশ বছর ধরে প্রতিদিনই কার্গো বিমান এই এয়ারপোর্ট ব্যবহার করছে। কার্গো বিমানে মূলত চিংড়ি পোনা পরিবহন করা হয়।[5][3]
সিভিল অ্যাভিয়েশন সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে মিয়ানমার বাংলাদেশের সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেছিল। ওই সময় সরকার দ্রুত বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের পরিকল্পনা করেছিল, যাতে প্রয়োজনে যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে পারে।[3][6]
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েটি বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে হবে। বঙ্গোপসাগরের ভেতরে এই রানওয়ের একটি অংশ নির্মাণ করা হবে । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পদক্ষেপ হিসাবে, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। [7][8] এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজার হবে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। [9]
দুই পর্যায়ে এই সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে এটিকে আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানে সক্ষম বিমানবন্দর হিসাবে রূপান্তর করা হবে, বিশেষ করে সুপরিসর বিমান গুলোকে উড্ডয়ন-অবতরণ ও পার্কিং এর জন্য ভাল সুবিধা প্রদান করতে পারবে।
দেশে প্রথমবারের মত সমুদ্রবক্ষের ওপর নির্মিতব্য ১ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রানওয়ের অন্তত ৭০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের পানির ওপর। চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউসিবি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন-জেভি যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।[10] এই পুরো কার্যক্রমের জন্য চীনের সাথে ১ হাজার ৬০০ কোটি বাংলাদেশি টাকার ঋণ চুক্তি সই হয়।[11]
বর্তমানে বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৬৭৯০ ফুট থেকে বাড়িয়ে এটিকে ৯০০০ ফুটে আর প্রস্থ ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ ফুটে উন্নীত করা হবে। সুপরিসর বিমানের জন্য রানওয়ের ধারণক্ষমতাও বাড়ানো হবে সাথে সাথে রানওয়ের লাইটিং ফ্যাসিলিটিজ ও নেভিগেশন এইড বাড়ানো হবে। দূরত্ব পরিমাপক সরঞ্জাম, ডপলার ওমনি ডিরেকশন রেঞ্জ, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা হালনাগাদ করা হবে। যান্ত্রিক অবতরণ ব্যবস্থা ও স্বয়ংক্রিয় মেট্রোলজিক্যাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আধুনিক টার্মিনাল ভবন, ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোচ ও বোর্ডিং ব্রিজসহ লাইটিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে।[11][12][13][14]
ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত তথ্য মতে,
বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল | সূত্র |
---|---|---|
ইজি ফ্লাই এক্সপ্রেস | ঢাকা, যশোর | [17] |
স্কাইএয়ার | চট্রগ্রাম, ঢাকা, যশোর, সিলেট | [18] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.