![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/45/Walvis_Bay_aerial.jpg/640px-Walvis_Bay_aerial.jpg&w=640&q=50)
ওয়ালভিস বে
From Wikipedia, the free encyclopedia
ওয়ালভিস বে (ইংরেজি: Walvis Bay; আক্ষরিক অর্থে "তিমি উপকূল"; আফ্রিকান্স: Walvisbaai; জার্মান: Walfischbucht or Walfischbai) দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র নামিবিয়ার এরোঙ্গো অঞ্চলের একটি বন্দর শহর।[4] এটি নামিব মরুভূমির প্রান্তসীমায় আটলান্টিক মহাসাগরের ওয়ালভিস বে উপসাগরের তীরে কুইসেব নদীর মোহনায় অবস্থিত ও ঐ উপসাগরের নামেই এর নাম রাখা হয়েছে। এটি নামিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং দেশটি বৃহত্তম উপকূলীয় শহর। শহরের আয়তন ২৯ বর্গকিলোমিটার (১১ মা২)।[5] ওয়ালভিস বে উপসাগরটি সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল, কেননা এখানে একটি প্রাকৃতিক গভীর জলের পোতাশ্রয় আছে, যেটি পেলিকান পয়েন্ট নামক বালুকাশূল (sand spit) দ্বারা সুরক্ষিত। এটি নামিবিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়। উপসাগরের জলরাশি প্ল্যাংকটন ও সামুদ্রিক জীবে সমৃদ্ধ বলে এখানে বিপুল সংখ্যক দক্ষিণা ডান তিমি (southern right whale) বিচরণ করে।[6] এগুলিকে ধরার জন্য আবার তিমিশিকারী ও মৎস্যশিকারী জাহাজগুলি আকৃষ্ট হয়। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিকে পালাক্রমে একাধিক ঔপনিবেশিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করেছে ও এর উন্নতি সাধন করেছে। উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আসার সমুদ্রপথটিতে এই পোতাশ্রয়টির গুরুত্ব বৃহৎ বিশ্বশক্তিগুলি ১৪৮৫ সালে এটির আবিষ্কারের পরেই বুঝতে পেরেছিল। তাই ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরেই ওয়ালিস বে নামিবিয়ার স্থানীয় অধিবাসী নয়, বরং একটি ছিটমহল হিসেবে বিদেশী শক্তিদের অধীনে ছিল। ১৯৯২ সাল পর্যন্তও ওয়ালভিস বে ও তার পেছনের অঞ্চলসহ প্রায় ১,১২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি ভূখণ্ড দক্ষিণ আফ্রিকার ছিটমহল ছিল।
এই নিবন্ধটির তথ্যছকটি অন্য একটি ভাষা থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুবাদ করা হয়নি। |
ওয়ালভিস বে Walvisbaai (আফ্রিকান্স) Walfischbucht or Walfischbai (জার্মান) Ezorongondo (Herero) | |
---|---|
শহর | |
![]() ওয়ালভিস রে-এর একটি আন্তরীক্ষ দৃশ্য | |
ডাকনাম: Walvis, Windwaai Baai | |
নীতিবাক্য: In utrumque paratus (Latin for "Prepared for either") | |
নামিবিয়ায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৭′২২″ দক্ষিণ ১৪°৩০′২৯″ পূর্ব | |
দেশ | নামিবিয়া |
অঞ্চল | এরোঙ্গো |
প্রতিষ্ঠিত | ১৭৯০-এর দশক[1] |
সরকার | |
• মেয়র | ত্রেভিনো ফোর্বস (আইপিসি) |
• ডেপুটি মেয়র | সারা মুতোন্দোকা (আইপিসি) |
আয়তন | |
• মোট | ১,১২৪ বর্গকিমি (৪৩৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[2] | |
• মোট | ৬২,০৯৬ |
সময় অঞ্চল | এসএএসটি (ইউটিসি+২) |
জলবায়ু | বিডব্লিউকে |
শহরটি মকরক্রান্তির ঠিক উত্তরে কুইসেব নদীর ব-দ্বীপে অবস্থিত। এখান থেকে আন্তঃনামিবীয় রেলপথটি উইন্ডহুক পর্যন্ত চলে গেছে। বি২ সড়কপথটির পরিসমাপ্তিও এখানে। এখানে প্রায় ৬২ হাজার অধিবাসীর বাস।
বড় উপসাগর ও বালিয়াড়িতে সমৃদ্ধ ওয়ালিস বে নামিবিয়ার পর্যটন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে কৃত্রিম পক্ষীদ্বীপ, গুয়ানো নামক বিষ্ঠা সংগ্রহ শিল্প, ৭নং বালিয়াড়ী, লবনের খনি, অবারিত পক্ষীভাণ্ডার ও একটি জাদুঘর। নামিবিয়া প্রিমিয়ার লিগের দুইটি ক্লাবের ঘরোয়া মাঠ হল কুইসেম্বুন্ড স্টেডিয়াম। সমুদ্র সৈকতের অবকাশযাপন কেন্দ্র লাংষ্ট্রান্ড শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে উত্তরে অবস্থিত। ওয়ালভিস বে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলটি স্থানীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই নামিবিয়ার বিশ্ব-নেতৃত্বস্থানীয় র্যোসিং খনি থেকে প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম রপ্তানি করা হয়।
পেলিকান পয়েন্টে প্রচুর পাখি বিচরণ করে, যাদের মধ্যে পেলিকান ও ফ্লেমিঙ্গো পাখিগুলি অন্যতম। এখানে পক্ষীদর্শনের পাশাপাশি উপকূলীয় ভূদৃশ্য উপভোগ করার বন্দোবস্ত আছে। ৭নং বালিয়াড়িটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বালিয়াড়িগুলির একটি, যার উপরে উঠে থেকে আশেপাশের মরুভূমি ও মহাসাগরের এক বিস্ময়কর দৃশ্য অবলোকন করা সম্ভব। ওয়ালভিস বে তীরদেশটি (ওয়াটারফ্রন্ট) রেস্তোরাঁ, পানশালা, দোকানপাট ও বিনোদনস্থলে পরিপূর্ণ। এখানকার প্রাণবন্ত পরিবেশে স্থানীয় নাগরিক ও বিদেশী পর্যটকেরা টাটকা সামুদ্রিক খাবার খেতে বেড়াতে আসেন। কাছেই অবস্থিত নামিব-নাউক্লুফট জাতীয় উদ্যানটি সুউচ্চ লাল বালিয়াড়ি ও অদ্ভূত ভূ-দৃশ্যাবলীর জন্য খ্যাত, যার মধ্যে সোসসুসভলেই নামের লবণাক্ত জলাভূমিটি বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
ওয়ালভিস বে নামিবিয়ার প্রধান সমুদ্রবন্দর। এটি দেশটিতে আমদানি-রপ্তানির প্রবেশদ্বার। নামিবিয়ার ভূবেষ্টিত প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।