![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e9/Palco_BolognaPride08.jpg/640px-Palco_BolognaPride08.jpg&w=640&q=50)
এলজিবিটি
"লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার" এর জন্য প্রারম্ভিকতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
এলজিবিটি (বা জিএলবিটি) (ইংরেজি: LGBT বা GLBT) একটি নাম-আদ্যক্ষর। ১৯৯০-এর দশক থেকে এই আদ্যক্ষরটি পূর্বতন "গে কমিউনিটি"-র সংজ্ঞাবাচক নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামগ্রিকভাবে "এলজিবিটি" বলতে বোঝায় "লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার" অর্থাৎ, নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী। ১৯৮০-এর দশকের মধ্য থেকে শেষ ভাগের মধ্যে "গে কমিউনিটি"-র পরিবর্তে "এলজিবি" আদ্যক্ষরটির ব্যবহার চালু হয়। এরপর ১৯৯০-এর দশকে "এলজিবিটি" আদ্যক্ষরটি গৃহীত হয়।[1] উল্লেখ্য, "গে কমিউনিটি" শব্দটি সম্প্রদায়ের অনেকেরই যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করছিল না বলে মনে করা হচ্ছিল।[2]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e9/Palco_BolognaPride08.jpg/640px-Palco_BolognaPride08.jpg)
"যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়-ভিত্তিক সংস্কৃতিগুলির" বৈচিত্র্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার জন্য "এলজিবিটি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে অ-বিষমকামী সমকামী, উভকামী বা রূপান্তরকামী কোনো ব্যক্তিকে বোঝাতেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[2][3] এই ধরনের অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতি হিসেবে আদ্যক্ষরটির একটি জনপ্রিয় পাঠান্তরে ইংরেজি "কিউ" (Q) অক্ষরটি যুক্ত করা হয় যৌন অভিমুখিতার স্থলে কুইয়্যার (কিম্ভুত) বা কোয়েশ্চনিং (প্রশ্নবিদ্ধ) বোঝাতে (অর্থাৎ, "এলজিবিটিকিউ" বা "জিএলজিবিটিকিউ", ১৯৯৬ সাল থেকে নথিভুক্ত।[4]
সংজ্ঞাবাচক নাম হিসেবে এই আদ্যক্ষরটি মূলধারায় পরিণত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কয়েকটি ইংরেজি-ভাষী দেশের অধিকাংশ "যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়-ভিত্তিক" কমিউনিটি সেন্টার ও গণমাধ্যম দ্বারা গৃহীতও হয়।[5][6]
তবে এই আদ্যক্ষরটি সমাজের সংশ্লিষ্ট অংশের অনেকেরই সমর্থন লাভে বঞ্চিত হয়।[7] অন্যদিকে কোনো কোনো ইন্টারসেক্স ব্যক্তি নিজেদের এলজিবিটি গোষ্ঠীভুক্ত করতে চেয়ে আদ্যক্ষরটিকে "এলজিবিটিআই" পর্যন্ত প্রসারিত করার পক্ষে মত দেন (১৯৯৯ সাল থেকে নথিভুক্ত[8])।[4] আবার এক গোষ্ঠীর কেউ কেউ মনে করেন যে তাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই জাতীয় আদ্যক্ষর ব্যবহার অপমানজনক।[9] কারোর কারোর মতে রূপান্তরকামীরা "এলজিবি" গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।[10] এই জাতীয় ধারণাগুলি "লেসবিয়ান ও গে বিচ্ছিন্নতাবাদ" তত্ত্বের প্রমাণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। উক্ত তত্ত্ব অনুযায়ী, নারী ও পুরুষ সমকামীদের পৃথক সমাজ গঠন করা প্রয়োজন ও সাধারণভাবে তাদের যেসব গোষ্ঠীমণ্ডলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা থেকেও বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন।[9][11] কেউ কেউ আবার এই শব্দটিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না। তারা এটিকে রাজনৈতিকভাবে অতিরিক্ত রকম সঠিক শব্দ মনে করেন। তাদের মতে, এটি বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একই ধূসর এলাকার আবদ্ধ করার এবং প্রধান গোষ্ঠীর ইস্যু ও প্রধান বিষয়গুলিকে সম গুরুত্ব প্রদানের একটি প্রয়াস মনে করেন।[10][12]