এমা ওয়াটসন
ব্রিটিশ অভিনেত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন (ইংরেজি: Emma Charlotte Duerre Watson; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯০) একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও মডেল, যিনি এমা ওয়াটসন নামেই বেশি পরিচিত। তিনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করে সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ওয়াটসন নয় বছর বয়সে এই চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এর আগে তিনি বিদ্যালয়ের মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।[3] ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওয়াটসন হ্যারি পটারকে ঘিরে নির্মিত প্রথম ছয়টি চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেন। এসব চলচ্চিত্রে তার সহকর্মী ছিলেন ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ (হ্যারি পটার চরিত্রে ) এবং রুপার্ট গ্রিন্ট ( রন উইসলি চরিত্রে )। এছাড়াও তিনি হ্যারি পটার ধারাবাহিকের শেষ দুটি চলচ্চিত্র হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোসেও অভিনয় করেছেন।[4] হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় করেন।[5] ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মত মডেলিং করেন। এই অভিনেত্রী বর্তমানে ইউএন ওমেনের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন, এর পাশাপাশি তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
এমা ওয়াটসন | |
---|---|
Emma Watson | |
জন্ম | এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন[1] (1990-04-15) এপ্রিল ১৫, ১৯৯০ (বয়স ৩৪)[2] |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৯ – বর্তমান |
পুরস্কার | নিচে দেখুন |
স্বাক্ষর | |
২০০৭ সালে ওয়াটসন হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ছাড়াও অন্য দুইটি চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা ঘোষণা করেন। একটি হল - শিশু-ঔপন্যাসিক নোয়েল স্ট্রিটফিল্ডের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ব্যালেট সুজ এবং অন্যটি - দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্স নামে একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র। ব্যালেট সুজ ২০০৭-এর ডিসেম্বরে টেলিভিশনে প্রচারিত হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫.২ মিলিয়ন দর্শক উপভোগ করেন। দ্য টেল অব ডেসপারেক্স নামের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি মার্কিন ঔপন্যাসিক কেট ডিক্যামিলোর একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। এটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী $৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করে।[6][7]
২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এমা ওয়াটসন তার পড়ালেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের কাজেও নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[8]
ওয়াটসন মডেল হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বারবেরি এবং লনকোম।[9][10] ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস ২০১৪ সালে ওয়াটসনকে বর্ষসেরা ব্রিটিশ আর্টিস্ট পুরস্কারে ভূষিত করে।[11] একই বছরে ইউএন ওমেন ওয়াটসনকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত করে। ইউএন ওমেনের হিফরশি প্রচারণায় ওয়াটসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল - ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো’।[12] এরপর থেকেই তিনি জেন্ডার ইকুয়ালিটি ( লিঙ্গ সমতা ) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।