ঈশোপনিষদ্
হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রাচিন সংস্কৃৎ পান্ডুলিপি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ঈশোপনিষদ্ (সংস্কৃত: ईशोपनिषद्) বা শুক্লযজুর্বেদীয় বাজসনেয়-সংহিতোপনিষদ্[2] হল ক্ষুদ্রতম উপনিষদ্গুলির অন্যতম। এটি শুক্ল যজুর্বেদ গ্রন্থের সর্বশেষ অধ্যায়। ঈশোপনিষদ্ হল একটি মুখ্য উপনিষদ্ (প্রধান উপনিষদ্)। বেদের কাণ্ব ও মাধ্যন্দিন শাখায় এই উপনিষদ্ রয়েছে। ঈশোপনিষদ্ হল একটি ক্ষুদ্র কবিতা। শাখা অনুসারে এই উপনিষদের মন্ত্র সংখ্যা ১৮। যা যজুর্বেদের ৪০ নং অধ্যায়ের সকল মন্ত্র।
ঈশোপনিষদ্ ঈশাবাস্যোপনিষদ্ শুক্লযজুর্বেদীয় বাজসনেয়-সংহিতোপনিষদ্ | |
---|---|
দেবনাগরী | ईश |
IAST | īśā |
নামের অর্থ | প্রভু |
রচনাকাল | খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ |
উপনিষদের ধরন | মুখ্য উপনিষদ্ |
সম্পর্কিত বেদ | শুক্ল যজুর্বেদ |
শ্লোকসংখ্যা | ১৮ |
টীকাকার | আদি শঙ্কর, মধ্ব[1] |
হিন্দু দর্শনের বেদান্ত শাখার একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল ঈশোপনিষদ্। এই গ্রন্থটি হিন্দুধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে একটি প্রভাবশালী শ্রুতিশাস্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছে। গ্রন্থের প্রথম শ্লোকের প্রথম দুটি শব্দ (ঈশা বাস্যম্) থেকে এই উপনিষদ্টির নামটির উৎপত্তি। ঈশা বাস্যম্ শব্দদুটির অর্থ “ঈশ্বরের দ্বারা আবৃত”[3] বা “ঈশ্বরে (আত্মায়) নিহিত”।[4] এই গ্রন্থে হিন্দুধর্মের আত্মার তত্ত্বটি আলোচিত হয়েছে। বেদান্তের অদ্বৈত ও দ্বৈত – উভয় শাখাতেই এই উপনিষদের নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রচলিত রয়েছে।[5][6]
পল ডুসেন (১৯০৮)কেনোপনিষদ্, কঠোপনিষদ্, শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্ ও মুণ্ডকোপনিষদ্ গ্রন্থের সঙ্গে ঈশোপনিষদ্ গ্রন্থটিকেও একটি ‘কাব্যিক উপনিষদ্’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।[7]