ইন্দোনেশিয়ার জনমিতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
২০১০ সালের জাতীয় আদমশুমারি প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৩৭.৬৪ মিলিয়ন,[1] এবং এটি ২০১৫ সালে ২৫৫.৪ মিলিয়ন জনসংখ্যায় পৌছাতে পারে।[2] জাভা দ্বীপে মোট জনসংখ্যার ৫৮% লোকের বাস,[1] এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ।[3]
১৯৬৭ সাল থেকে গৃহীত কার্যকর পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে[4] ২০১০ সালে শেষ হওয়া দশকের শেষের দিকে এসে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৯ শতাংশ। এই হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান জনসংখ্যাকে অতিক্রম করতে পারবে ২০৪৩ সালে, যদি এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাস্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি না-পায় এবং এর ফলেশ্রুতিতে চীন ও ভারতের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার বহুল দেশ হয়ে উঠবে।[5] কারো কারো মতে, ইন্দোনেশিয়ার বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ হয়ে উঠা রুখতে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত নীতিমালাটি ১৯৬৭ সালের কর্মসূচীর উপর ভিত্তি করে পুনরায় চালু হওয়া উচিত; তবে এই লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া ভীষনভাবে বাধাগ্রস্থ হবে ধর্মীয় মতাদর্শগত মতামতের কারণে, যেখানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি অনুসরণ করাকে স্রস্টার প্রতি কৃতজ্ঞ না-হওয়ার সমতুল্য হিসাবে গণ্য করা হয়।[6]
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার জনকাঠামোতে তরুণ বয়সী জনসংখ্যার আধিক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানকার বর্তমান মধ্যবয়সের বিন্দু হচ্ছে ২৮.২ বছর; অর্থ্যাৎ, দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স এরচেয়ে কম এবং অবশিষ্ট অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স এর অধিক।[7]
নৃগোষ্ঠীগত দিক থেকে এই দেশটিতে নৃতাত্ত্বিক, ভাষাগত, ধর্মীয় প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অসংখ্য জনগোষ্ঠী রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।