আস্তিক ও নাস্তিক (ভারতীয় দর্শন)
ভারতীয় দর্শনমতে যারা বেদ, ঈশ্বর ও আত্মার প্রতি বিশ্বাস রাখে তারা "আস্তিক", বিপরীত হলো "নাস্তিক" / From Wikipedia, the free encyclopedia
আস্তিক ও নাস্তিক (সংস্কৃত: आस्तिक-नास्तिक) শব্দদ্বয় হলো ভারতীয় দর্শনসমূহকে শ্রেণীবদ্ধ করার দার্শনিক ধারণা।[1][2][4] আস্তিক ও নাস্তিক দর্শনগুলোর বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রাচীন কাল থেকেই বিতর্কিত হয়ে আসছে যা বর্তমান সময়েও ঐকমত্যে পৌছানো সম্ভব হয়নি।[5][6] তেলেগু, হিন্দি ও বাংলার মত বর্তমান ভারতীয় ভাষাগুলোতে আস্তিক শব্দ ও এর সিদ্ধান্তগুলো দ্বারা বিশ্বাসি বা আস্থাবানকে বোঝায়, এবং নাস্তিক শব্দ ও এর সিদ্ধান্তগুলো অবিশ্বাসি বা অনাস্থাবানকে বোঝায়;[7] তবে, প্রাচীন ও মধ্যযুগের সংস্কৃত সাহিত্যে শব্দ দুটি দ্বারা এইরূপ অর্থ প্রকাশ করা হতো না।[5] এই শব্দগুলো হিন্দু দর্শনে ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়।[8] উদাহরণস্বরূপ, সাংখ্য দর্শনকে আস্তিক ও নাস্তিক উভয় দর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এই দর্শনের সূত্র গ্রন্থে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করে না (যদিও অনেক পণ্ডিত উক্ত ধারণাটি সঠিক নয় বলে বিবেচনা করেন। এই দর্শনে "ঈশ্বর" বলতে পুরুষ হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা একটি দার্শনিক ধারণা)।[9] একইভাবে, বৌদ্ধধর্মকে যদিও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিছু হিন্দু ঐতিহ্যে আবার গৌতম বুদ্ধকে বিষ্ণুর একজন অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[10]