![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/6e/Portrait_of_Sultan_%2527Ala-ud-Din%252C_Padshah_of_Delhi.jpg/640px-Portrait_of_Sultan_%2527Ala-ud-Din%252C_Padshah_of_Delhi.jpg&w=640&q=50)
আলাউদ্দিন খিলজি
দিল্লী সালতানাতের শাসক (১২৯৬-১৩১৬) / From Wikipedia, the free encyclopedia
আলাউদ্দিন-খিলজি (শাসন কালঃ১২৯৬-১৩১৬) ছিলেন খিলজি বংশের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক। যিনি দিল্লিতে বসে ভারতীয় উপমহাদেশে খিলজি শাসন পরিচালনা করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন ভারতীয় ইতিহাসেও একজন আলেকজেন্ডারের মতো শক্তিশালী কারো কথা উল্লেখ করা থাকুক। তাই তিনি নিজেকে ২য় আলেকজেন্ডার (সিকান্দার-এ-সানি) হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেন এবং জুম্মাহর খুতবার আগের বয়ানে নিজের কৃতিত্ব বর্ণনার আদেশ দেন।
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (আগস্ট ২০২০) |
আলাউদ্দিন খিলজি | |||||
---|---|---|---|---|---|
সুলতান | |||||
![]() | |||||
রাজত্ব | ১৯ জুলাই ১২৯৬ - ৪ জানুয়ারি ১৩১৬ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ২১ অক্টোবর ১২৯৬ | ||||
পূর্বসূরি | জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজি | ||||
উত্তরসূরি | শাহাবুদ্দিন ওমর | ||||
জন্ম | (১২৬৬-০১-০৪)৪ জানুয়ারি ১২৬৬ কালাত, আফগানিস্তান | ||||
মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ১৩১৬(1316-01-04) (বয়স ৫০) দিল্লি | ||||
সমাধি | |||||
পত্নীগণ | মালিকা ই জাহান | ||||
বংশধর | কুতবুদ্দীন মুবারক শাহ শাহাবুদ্দিন ওমর | ||||
| |||||
রাজবংশ | খিলজি রাজবংশ | ||||
পিতা | শিহাবুদ্দীন মাসুদ | ||||
ধর্ম | সুন্নি (ইসলাম) |
আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন খিলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন খিলজির ভাতিজা এবং জামাতা। বীরভূমদেরকে পরাজিত করে জালালুদ্দিন খিলজি যখন দিল্লি দখল করে নেন, তখন আলাউদ্দিন খিলজিকে আমির-ই-তুজুখ বা উদ্যাপন মন্ত্রী পদ দেওয়া হয়। ১২৯১ সালে জালালুদ্দিন খিলজি তার ভাতিজা আলাউদ্দিন খিলজির হাতে কারা (কানপুরের নিকটবর্তী এক এলাকা) নামক অঞ্চলের শাসনভার তুলে দেন। ১২৯৬ সালে আলাউদ্দিন খিলজি বসিলা অবরোধ করে জালালুদ্দিন খিলজির কাছে থেকে আবাধ (উত্তর-প্রদেশ) দখল করেন। ১২৯৬ সালে দেভাগিরি অবরোধ করেন এবং জালালুদ্দিনের বিপুল পরিমাণের সম্পদ দখল করে নেন। জালালুদ্দিনের মৃত্যুর পর তিনি দিল্লিতে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে জালালুদ্দিনের ছেলের কাছ থেকে মুলতান দখল করে নেন।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আলাউদ্দিন খিলজি দক্ষভাবে বেশ কিছু মঙ্গোলীয় অঞ্চলকে নিজের ভারতীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে অন্তর্গত করেন। তার কত গুলো সফল অভিযানের মাঝে বিখ্যাত অভিযান গুলো হলঃ (১২৯৭–১২৯৮) জারান-মাঞ্জুর (বর্তমান পাঞ্জাব এর কিছু এলাকা নিয়ে বিস্তৃত ছিল), শিবিস্থান (বিভক্ত পাকিস্তান) (শিবিস্থান-১২৯৮) কিলি (প্রাচীন দিল্লির একটি এলাকা) (১২৯৯), দেলি দিল্লি (১৩০৩), এবং উত্তর-প্রদেশ আম্রহা (১৩০৫)। ১৩০৬ সালে তার সৈন্যগণ মঙ্গোলীয়দের কাছ থেকে একটি সফল অভিযান শেষে রভি নদীর উপত্যকা দখল করে নেয় এবং সেই বছরই তারা মঙ্গোলীয়দের বিশেষ আবাসস্থান বর্তমানের আফগানিস্তান দখল করে নেয়। যে সকল সেনাপতি মঙ্গোলীয়দের বিপক্ষে দক্ষ হাতে সফল অভিযান পরিচালনা করেছিলেন তারা হলেন সেনা-অধ্যক্ষ জাফর খান (জাফর খান), সেনাপতি উলুগ খান (উলুগ খান) এবং একসময়ের গোলাম কিন্তু পরবর্তী সময়ের জেনারেল মালিক কাফুর।
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাও আলাউদ্দিন দখল করে নিজের শাসনে নিয়েছিলেন, এগুলো হলঃ রাথাম্বোর (১৩০১), চিত্তুর (১৩০৩),মালওয়া (পাঞ্জাব) (১৩০৫), সিবানা (১৩০৮) এবং জালোর (১৩১১)। কতগুলো হিন্দু এলাকা দখল করার মাধ্যমে অভিযান গুলো শেষ করেন। অভিযান গুলোর মাঝে আছে পারামারাছ, ভগল, রনাস্থাম্বাপুরার ছামানাছ এবং জালরি, গুইলাসের রাওয়াল এলাকা এবং জাবাপ্লাস। সেনাপতি মালিক কাফুর প্রাচীন ভিন্দাস এলাকার দক্ষিণে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। দেভগিরি (১৩০৮), ভেরঙ্গল (১৩১০) থেকে বিপুল পরিমাণের সম্পদ জব্দ করে নিয়ে আসেন। তাঁর সৈন্যদের ভয়ে জাভাদা রাজা রামচন্দ্র, কাকাতিয়ার রাজা প্রতাপ রুদ্র এবং হয়সালার রাজা বাল্ললা চলে আসেন আলাউদ্দিন খিলজির করের অধীনে। সেনাপতি কাফুর আবার পাণ্ডু রাজ্য (১৩১১) অবরোধ করে বিপুল সম্পদ, হাতি এবং ঘোড়া লুট করেন।