![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/08/Albert_Camus%252C_gagnant_de_prix_Nobel%252C_portrait_en_buste%252C_pos%25C3%25A9_au_bureau%252C_faisant_face_%25C3%25A0_gauche%252C_cigarette_de_tabagisme.jpg/640px-Albert_Camus%252C_gagnant_de_prix_Nobel%252C_portrait_en_buste%252C_pos%25C3%25A9_au_bureau%252C_faisant_face_%25C3%25A0_gauche%252C_cigarette_de_tabagisme.jpg&w=640&q=50)
আলবের কাম্যু
সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আলব্যার কাম্যু[lower-alpha 1][lower-alpha 2] (ফরাসি: Albert Camus, উচ্চারণ: [albɛʁ kamy] (শুনুনⓘ); ৭ই নভেম্বর ১৯১৩ – ৪ঠা জানুয়ারি ১৯৬০) ছিলেন একজন ফরাসি দার্শনিক, লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক, বিশ্বযুক্তরাষ্ট্রবাদী[3] ও রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী। ১৯৫৭ সালে ৪৪ বছর বয়সে, নোবেল ইতিহাসের দ্বিতীয়-কনিষ্ঠতম প্রাপক হিসেবে, তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লেত্রঁজে (১৯৪২), ল্য মিৎ দ্য সিজিফ (১৯৪২), লা পেস্ত (১৯৪৭), লম রেভল্তে (১৯৫১) এবং লা শ্যুৎ (১৯৫৬)।
আলব্যার কাম্যু | |
---|---|
Albert Camus | |
![]() ১৯৫৭ সালে কাম্যু, নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড-টেলিগ্রাম ও সান ফটোগ্রাফ কালেকশন থেকে প্রাপ্ত ছবি | |
উচ্চারণ | [albɛʁ kamy] ⓘ |
জন্ম | (১৯১৩-১১-০৭)৭ নভেম্বর ১৯১৩ মঁদভি, জরআন, ফরাসি আলজেরিয়া |
মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ১৯৬০(1960-01-04) (বয়স ৪৬) |
মৃত্যুর কারণ | সড়ক দুর্ঘটনা |
সমাধি | সিম্যতিয়্যার দ্য লুরমার্যাঁ, ভোকল্যুজ, প্রভঁস-আল্প-কোত-দাজ্যুর, ফ্রান্স ৪৩.৭৫৯৪৪৪৪৪° উত্তর ৫.৩৬১৬৬৬৬৭° পূর্ব / 43.75944444; 5.36166667 |
স্মৃতিস্তম্ভ | মন্যুমঁ অন অমাজ আ আলব্যার কাম্যু, ভিলব্ল্যভ্যাঁ, ফ্রান্স |
জাতীয়তা | ফরাসি |
মাতৃশিক্ষায়তন | উ্যনিভের্সিতে দালজে (আল-জজাইর বিশ্ববিদ্যালয়) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৩৬–১৯৬০ |
প্রতিষ্ঠান | কমিতে দ্য লেকত্যুর দেজ এদিসিওঁ গালিমার (১৯৪৩–১৯৫৯) আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস |
রাজনৈতিক দল | ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি (১৯৩৫–১৯৩৬) আলজেরীয় কমিউনিস্ট পার্টি (১৯৩৬) |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | ![]() সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯৫৭) |
লেখক হিসেবে কর্মজীবন | |
ভাষা | ফরাসি |
সময়কাল | বিংশ শতকীয় ফরাসি সাহিত্য |
ধরন | উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্প |
সাহিত্য আন্দোলন | মানবতাবাদ, অসঙ্গতিবাদী নাটক, অসঙ্গতিবাদী দর্শন |
দার্শনিক জীবন | |
যুগ | বিংশ শতকীয় দর্শন |
অঞ্চল | পাশ্চাত্য দর্শন |
ধারা |
|
অভিসন্দর্ভ | রাপর দ্য লেলেনিস্ম এ দ্যু ক্রিস্তিয়ানিস্ম আ ত্রাভের লেজ ওভ্র দ্য প্লত্যাঁ এ দ্য স্যাঁ ওগ্যস্ত্যাঁ (Rapports de l'hellénisme et du christianisme à travers les œuvres de Plotin et de saint Augustin, প্লোতিনোস ও সন্ত আউগুস্তিনুসের কাজে গ্রীক ও খ্রীষ্টীয় চিন্তার সম্পর্ক) (১৯৩৬) |
প্রধান আগ্রহ | নীতিশাস্ত্র, মানব প্রকৃতি, ন্যায়বিচার, রাজনীতি, আত্মহত্যার দর্শন |
উল্লেখযোগ্য অবদান | অসঙ্গতিবাদ |
ভাবগুরু
| |
স্বাক্ষর | |
![]() |
কাম্যু আলজেরিয়াতে (তৎকালীন ফরাসি উপনিবেশ) ফরাসি পিয়ে-নোয়ার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর নাগরিকত্ব ছিল ফ্রান্সের। তাঁর শৈশব দরিদ্র পরিবেশে কেটেছিল এবং পরবর্তীকালে তিনি আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা যখন ফ্রান্স দখন করেছিল তিনি তখন প্যারিসে ছিলেন। কাম্যু পালাবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শেষে তিনি ফরাসি রেজিস্তঁস দলে যোগদান করেন এবং সেখানে কঁবা (Combat, ‘লড়াই’) নামে একটি বেআইনি সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ-পরবর্তীকালে, তিনি একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি হয়ে ওঠেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তিনি ভাষণ দিতে থাকেন। তিনি দু’বার বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন এবং তাঁর একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। কাম্যু সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন; তিনি বামপন্থীদের একটা অংশের সাথে যুক্ত ছিলেন যারা সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধীতা করত। কাম্যু ছিলেন একজন নীতিবাদী এবং তিনি কিছুটা ট্রেড ইউনিয়ন ভিত্তিক নৈরাজ্যবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ইউরোপের সংহতিকরণের পক্ষে থাকা অনেক সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছলেন। আলজেরীয় যুদ্ধের সময় (১৯৫৪–১৯৬২) তিনি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন; আলজেরিয়ার বহুসংস্কৃতি ও বহুত্ববাদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন যা বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং বেশিরভাগ দলই কাম্যুর এই বক্তব্য মেনে নেয়নি।
দার্শনিক মতবাদের দিক থেকে কাম্যুর চিন্তাভাবনা অসঙ্গতিবাদ তথা অ্যাবসার্ডিজম নামক দর্শনের উত্থানের অবদান রেখেছিল যা ছিল শূন্যবাদ (নিহিলিজম) দর্শনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক আন্দোলন। তাঁকে একজন অস্তিত্ববাদী হিসেবেও গণ্য করা হয়, যদিও তিনি নিজে সারাজীবন ধরে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।