আবু হামিদ আল-গাজ্জালি
মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ, আইনবিদ, দার্শনিক এবং রহস্যবাদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আল-গাজ্জালি (আনু. ১০৫৮ – ১৯ ডিসেম্বর ১১১১; ٱلْغَزَّالِيُّ), পূর্ণ নাম আবু হামিদ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ তুসী আল-গাজ্জালি (أَبُو حَامِدٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ ٱلطُّوسِيُّ ٱلْغَزَالِيُّ),[lower-alpha 1][27][28][29][30] তিনি সবচেয়ে অন্যতম এবং প্রভাবশালী দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, আইনবিদ, যুক্তিবিদ ও রহস্যবাদী হিসাবে পরিচিত।[31][32] তিনি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজ্জালি হিসেবে বেশি পরিচিত।
আল-গাজ্জালী | |
---|---|
الغزالي | |
উপাধি | হুজ্জাতুল ইসলাম (সম্মানসূচক)[1] |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আত-তুসী আল-গাজ্জালী আনু. ১০৫৮ |
মৃত্যু | ১৪ জমাদিউস সানি ৫০৫ হিজরি ১৯ ডিসেম্বর ১১১১(1111-12-19) (বয়স ৫২–৫৩) |
ধর্ম | ইসলাম |
যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ |
অঞ্চল | সেলজুক সাম্রাজ্য (নিশাপুর)[2]:২৯২ আব্বাসীয় খিলাফত (বাগদাদ) / (জেরুজালেম) / (দামেস্ক) [2]:২৯২ |
আখ্যা | সুন্নি[3][4] |
শিক্ষালয় | শাফেয়ী |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আশআরি[5][6] |
প্রধান আগ্রহ | সুফিবাদ, ধর্মতত্ত্ব (কালাম), দর্শন, যুক্তিবিজ্ঞান, ইসলামি আইনশাস্ত্র |
উল্লেখযোগ্য কাজ | এহইয়াউ উলুমিদ্দিন, মাকাসিদুল ফালাসিফা, তাহাফুতুল ফালাসিফা, কিমিয়ায়ে সা'আদাত, আল-ইকতিসাদ ফিল ইতিক্বাদ, আল-মুস্তাসফা মিন ইলমুল উসুল |
অন্য নাম | আল-গাজেল |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
তাকে পঞ্চম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়,[33][34] হাদিস অনুসারে, মুজাদ্দিদ হল বিশ্বাসের পুনরুজ্জীবনকারী, যিনি প্রতি ১০০ বছরে একবার ইসলামি সম্প্রদায়ের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে হাজির হন।[35][36] [37]
তার কাজগুলি তার সমসাময়িকদের দ্বারা এতটাই প্রশংসিত হয়েছিল যে আল-গাজ্জালীকে "ইসলামের প্রামাণ্য অবয়ব" (হুজ্জাতুল ইসলাম) সম্মানসূচক উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।[1]
আল-গাজ্জালী বিশ্বাস করতেন যে ইসলামী আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানগুলি ভুলে গেছে।[38] এই বিশ্বাস তাকে এহইয়াউ উলুমিদ্দিন ("ধর্মীয় বিজ্ঞানের পুনরুজ্জীবন") শিরোনামে তার সেরা রচনা লিখতে পরিচালিত করেছিল।