আর্গন
একটি গ্যাসীয় মৌলিক পদার্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
আর্গন একটি হল রাসায়নিক মৌল যার প্রতীক Ar এবং পারমাণবিক সংখ্যা ১৮। এটি পর্যায় সারণীর গ্রুপ ১৮ তে অবস্থিত একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস । [4] ০.৯৪৩% (৯৩৪০ ppmv ) উপস্থিতি নিয়ে আর্গন হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তৃতীয় সর্বাধিক পরিমাণের গ্যাস। এর পরিমাণ জলীয় বাষ্পের দ্বিগুণেরও বেশি (যার গড় পরিমাণ প্রায় ৪০০০ ppmv), কার্বন ডাই অক্সাইড (৪০০ ppmv) এর চেয়ে ২৩ গুণ বেশি, এবং নিয়ন (১৮ ppmv) এর চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি। আর্গন পৃথিবীর ভূত্বকের উপস্থিত নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের মধ্যে সবচেয়ে সুলভ, যেখানে এর উপস্থিতি ০.০০০১৫% ।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রাপ্ত প্রায় সমস্ত আর্গন হল তেজষ্ক্রিয়তা-জাত আর্গন-৪০, যা পৃথিবীর ভূত্বকের পটাশিয়াম-৪০ এর ক্ষয় থেকে উৎপন্ন। মহাবিশ্বে আর্গন-৩৬ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সাধারণ আর্গন আইসোটোপ, কারণ এটি সুপারনোভার নাক্ষত্রিক কেন্দ্রীন সংশ্লেষের সময় খুব সহজে উৎপন্ন হয়।
"আর্গন" নামটি গ্রীক শব্দ ἀργόν থেকে এসেছে যার অর্থ "অলস" বা "নিষ্ক্রিয়"। উপাদানটি প্রায় কোনও রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া দেখায় না বলেই এই নাম পেয়েছে। আর্গনের সর্ববহিস্থ পারমাণবিক শেল অক্টেট (আটটি ইলেক্ট্রন) দ্বারা পূর্ণ বলে মৌলটি খুবই স্থিতিশীল এবং অন্যান্য মৌলের সাথে বন্ধন প্রতিরোধী। এর ত্রৈধ বিন্দু তাপমাত্রা ৮৩.৮০৫৮ কেলভিন হল ১৯৯০ সালের আন্তর্জাতিক তাপমাত্রা স্কেল নির্ধারণকারী স্থির বিন্দু।
তরল বায়ুর ভগ্নাংশ পাতন দ্বারা আর্গন শিল্পজাতভাবে উৎপাদিত হয়। ওয়েল্ডিং এবং অন্যান্য উচ্চ-তাপমাত্রার শিল্প প্রক্রিয়াগুলিতে প্রতিক্রিয়া রোধক হিসেবে আর্গন ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফাইট তড়িৎ চুল্লীতে গ্রাফাইটের প্রজ্জ্বলন রোধে আর্গনের প্রয়োগ রয়েছে। ফ্লুরোসেন্ট বাতি এবং অন্যান্য গ্যাস-ডিসচার্জ নলে আর্গন ব্যবহৃত হয়। আর্গন একটি স্বতন্ত্র নীলচে-সবুজ গ্যাস লেজার তৈরি করে। ফ্লুরোসেন্ট দীপ্তি স্টার্টারেও আর্গন ব্যবহৃত হয়।