আবদুর রহমান বিশ্বাস (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৬-৩ নভেম্বর ২০১৭) ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯২৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বরিশালের শায়েস্তাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
আবদুর রহমান বিশ্বাস | |
---|---|
বাংলাদেশের ১১ তম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৮ অক্টোবর ১৯৯১ – ৮ অক্টোবর ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | শাহাবুদ্দিন আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শায়েস্তাবাদ, বরিশাল জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৬
মৃত্যু | ৩ নভেম্বর ২০১৭ ৯১) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
দাম্পত্য সঙ্গী | হোসনে আরা রহমান |
সন্তান |
|
ধর্ম | ইসলাম |
শিক্ষা ও কর্মজীবন
আবদুর রহমান বিশ্বাস স্কুল ও কলেজ জীবন বরিশালে কাটে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ও ইতিহাস এবং আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। প্রথমে তিনি স্থানীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষাবিস্তারেরে উদ্দেশ্যে তিনি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই কাজের জন্য সরকার ১৯৫৮ সালে তাকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দান করে। ষাটের দশকে কিছু দিন বাবুগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে বরিশালে আইন পেশায় জড়িয়ে পড়েন।[1][2][3]
রাজনৈতিক জীবন
১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তিনি সংসদ সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি জাতিসংঘের ২২তম সাধারণ সভায় অংশ করেন। ১৯৭৪ ও ১৯৭৬ সালে তিনি বরিশাল বার আসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে আবদুর রহমান বিশ্বাস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় পাট মন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৮১-৮২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস্ সাত্তারের মন্ত্রী সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন।[1][4][5]
রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হবার পর ১৯৯১ এর ৮ অক্টোবর দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন তিনি তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাসিমের নেতৃত্বে সংঘটিত এক সামরিক অভ্যূত্থান প্রতিহত করেন। ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়। রাষ্ট্রপতি থাকাকালেই ১৯৯৬ সালের এক সেনা অভ্যূত্থান ঠেকিয়ে দেশবাসীর কাছে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়ান।[1][6][7]
পরবর্তী জীবন
রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার আব্দুর রহমান বিশ্বাস রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তিনি রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়ার আগেই তার নির্বাচনী আসনে বড় ছেলে এহতেশামুল হক নাসিম ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালের ১২ মার্চ ঢাকায় এক বিয়ের দাওয়াতে খাবারের বিষক্রিয়ায় মারা যান নাসিম। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন আব্দুর রহমান বিশ্বাস।[8][9]
ব্যক্তিগত জীবন
আবদুর রহমান বিশ্বাস আট ছেলে মেয়ের বাবা।[10]
মৃত্যু
তিনি ৩ নভেম্বর ২০১৭ সালে রাত পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[11] তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।[1][10][12]
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.