Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আবুল হাসান মাহমুদ আলী (জন্ম ২ জুন ১৯৪৩) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও কুটনৈতিক, যিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এর পূর্বে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।[1] সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ আসনে বিজয়ী হইয়েছিলেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[2]
আবুল হাসান মাহমুদ আলী | |
---|---|
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | মোস্তফা কামাল |
উত্তরসূরী | সালেহউদ্দিন আহমেদ (উপদেষ্টা) |
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | আখতারুজ্জামান মিয়া |
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০ নভেম্বর ২০১৩ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | দীপু মনি |
উত্তরসূরী | এ কে আব্দুল মোমেন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দিনাজপুর জেলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) | ২ জুন ১৯৪৩
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ধর্ম | ইসলাম |
মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত বর্তমান বাংলাদেশের দিনাজপুরের খানসামার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ১৯৬২ সালে বি.এ. এবং ১৯৬৩ সাল এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। এর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত অর্থনীতির প্রভাষক ছিলেন।[3] ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিস (পিএফএস)-এ যোগ দেন। দেশে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন মিশনে যেমন নিউ ইয়র্ক, নয়াদিল্লি, বেইজিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি । আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভুটান (১৯৮৬–১৯৯০) ও জার্মানিতে (১৯৯২–১৯৯৫) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে (১৯৯৬–২০০১) হাইকমিশনারও ছিলেন। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক) হিসেবে ভারতের সঙ্গে তিন বিঘা করিডোর ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্টের (১৯৯২) আলোচনা ও স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে কূটনৈতিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।[4]
বিভিন্ন দেশে কুটনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফেরার পর আলী ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে তিনি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির কো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ডিসেম্বর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আলী দিনাজপুর ৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৯ম জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আলী নবগঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে আলী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি পুনরায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী আবারও নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।[5]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রীর পদ হারান।[6][7][8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.