আন্নানগর
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আন্নানগর (পূর্বে নাড়ুবাঙ্করাই নামে পরিচিত),[1] দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার কূবম নদীর তীরে অবস্থিত একটি আবাসিক অঞ্চল৷ এটি চেন্নাই শহরের উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত আমাইন্দকরাই তালুকের আন্না নগর জোনের লোকালয়। তামিল নেতা কাঞ্চীপুরম নটরাজন আন্নাদুরাইয়ের নাম অনুসারে এই লোকালয়টির নাম রাখা হয়। এটি চেন্নাইয়ের বহু পুরনো একটি লোকালয় বর্তমানে নতুন আগত উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোক এই স্থানে বসতি স্থাপন শুরু করেছে।[2] অতিসম্প্রতি শান্তিনগরে তিরুমঙ্গলম জংশনে ভি আর চেন্নাই নামে একটি শপিং মল চালু হয়েছে।
আন্নানগর அண்ணா நகர் নাদুবাঙ্করাই | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
আন্না নগর | |
স্থানাঙ্ক: ১৩.০৮৪৬° উত্তর ৮০.২১৭৯° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই |
মহানগর | চেন্নাই |
অঞ্চল | আন্না নগর |
ওয়ার্ড | ১০০-১০২ |
নামকরণের কারণ | সি. এন. আন্নাদুরাই |
আয়তন | |
• মোট | ৫ বর্গকিমি (২ বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০৪০ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN 02 (টিএন ০২) |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | চেন্নাই মধ্য |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | আন্না নগর |
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব বিপণন মেলার অংশ হিসেবে আন্না নগর টাওয়ার নির্মাণ করা হয় এই লোকালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হলো আন্না আর্চ, চিন্তামণি, ব্লুস্টার, ১৪ স্টপস, শান্তি কলোনি ইত্যাদি। এই লোকালয় স্কুল-কলেজ, উপাসনালয়, দোকান, বাজার, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, নার্সিং হোমের সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। লোকালয়টি আন্না নগর পূর্ব ও আন্না নগর পশ্চিমে বিভক্ত।
ইতিহাস
আন্না নগরের সূত্রপাত নাদুবক্করাই নামে একটি শহরতলীর অঞ্চল দিয়ে। এটি মূল্লম গ্রাম নামেও পরিচিত ছিল। ১৯৬৮ শ্রেষ্ঠত্বের এই স্থানে বিপণন মেলা অনুষ্ঠিত হয়, পরে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাড়ু গৃহ দপ্তর আন্না নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা করেন।[3] উন্নয়ন পরিষদ আবাসিক অঞ্চল, অ্যাপার্টমেন্ট, অর্থনৈতিক কমপ্লেক্স, চওড়া রাস্তা, স্কুল-কলেজ, বাস টার্মিনাল এবং উদ্যান তৈরি দিকে নজর দেয়।
ভূগোল
২০১৮ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে আন্নানগরের সবুজায়নের পরিমাণ মোট ক্ষেত্রফলের এক পঞ্চমাংশের অধিক, যেখানে শহরের গড় সবুজায়ন ১৫ শতাংশ।[4]
ল্যান্ডমার্ক
আন্নানগর তোরণ
তামিলনাড়ুর পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী আন্নাদুরাইয়ের প্লাটিনাম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ১.২ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা ব্যয়ে আন্নানগর দক্ষিণমুখী তৃতীয় এভিনিউতে একটি বড় তোরণ নির্মিত হয়, যা আন্নানগর যুগ্ম তোরণ নামে পরিচিত।[5] তখন আন্নানগর উন্নতিশীল পর্যায়ে ছিলো। এটি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ১লা জানুয়ারি তৎকালীন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রন এই তোরণটি উদ্বোধন করেন।[6] প্রতিটি তোরণ ৫২ ফুট উঁচু ও ৮২ টন ওজন বিশিষ্ট।[7]
২০১২ খ্রিস্টাব্দে আন্নানগরের সাথে আমাইন্দকরাইকে যুক্ত করার জন্য নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের কাজে এই তোরণটি সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব আসে। তবে এই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় এবং পরিকল্পনার সামান্য পরিবর্তন করে এই উড়ালপুল নির্মাণ করা শুরু হয়।[7] নির্মাণ মূল্য ধার্য হয় ৬.৪ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা৷[8]
আন্নানগর টাওয়ার
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব বিপণন সম্মেলনের উপলক্ষ্যে বি.এস. আবদুর রহমানের তৎপরতায় ১৩৮ ফুট (৪২ মি) এই আন্নানগর টাওয়ার নির্মিত হয়। অতীতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায় এই টাওয়ারের চারদিক এখন সুরক্ষাবেষ্টনী ঘেরা। টাওয়ার ও উদ্যানের পুনর্সংস্কার সাধনের পর এখানে স্কেটিং করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সিলম্বম হলো তামিল যুদ্ধবিদ্যার একটি ধরন, এই উদ্যানে একটি অংশে প্রত্যহ এর চর্চা হয়ে থাকে৷ টাওয়ারের ওপর থেকে শহরের বৈমানিক দৃশ্য দৃষ্টিনন্দন।
পরিবহন
২০০৩ খ্রিস্টাব্দে আন্নানগর রেলওয়ে স্টেশন উন্মোচন হয়। এই লোকালয়টি চেন্নাইয়ের অভ্যন্তরীণ চক্রপথের ওপর অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.