Loading AI tools
স্পেনীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা লুহান (উচ্চারিত: [anˈdɾes iˈnjesta luˈxan], জন্ম: ১১ মে ১৯৮৪) একজন স্পেনীয় ফুটবলার, যিনি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব এমিরেটস এর হয়ে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা লুহান | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১১ মে ১৯৮৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | ফুয়েন্তেলবিয়া, স্পেন | |||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি)[1] | |||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বর্তমান দল | এমিরেটস | |||||||||||||||||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪–১৯৯৬ | ব্যালোম্পাই | |||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬–২০০১ | বার্সেলোনা | |||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৩ | বার্সেলোনা বি | ৫৪ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০২–২০১৮ | বার্সেলোনা | ৪৪২ | (৩৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮–২০২৩ | ভিসেল কোবে | ১১৪ | (২১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০২৩– | এমিরেটস | ৯ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৫ | ২ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০০১ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৬ | ৭ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০১ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৭ | ৪ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০২ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৯ | ৭ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২০ | ৭ | (৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩–২০০৬ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ | ১৮ | (৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬–২০১৮ | স্পেন | ১৩১ | (১৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৫ | কাতালোনিয়া | ২ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ইনিয়েস্তা তার শৈশব কাটিয়েছেন বার্সেলোনার যুব প্রকল্প লা মাসিয়াতে। প্রথম দলে তার অভিষেক হয় ২০০২ সালে, ১৮ বছর বয়সে। ২০০৪–০৫ মৌসুমে তিনি দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত। ২০০৬ সালে স্পেন জাতীয় দলে অভিষেকের পূর্বে তিনি স্পেন অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ এবংঅনূর্ধ্ব ২১ দলে খেলেছেন। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে তিনি স্পেনের হয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং একটি খেলায় মাঠে নামেন। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই স্পেন বিদায় নেয়। ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্ব টপকাতে তিনি স্পেন দলকে সহায়তা করেন। টুর্নামেন্টের মূল পর্বে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হয়। এক্ষেত্রে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনি খেলার একমাত্র গোলটি করেন। তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকাপের আরও দুইটি খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। টুর্নামেন্টের অল স্টার দলে ইনিয়েস্তা জায়গা পান। ২০১২ ইউরোতে স্পেনের শিরোপা জয়ে তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়।এছাড়া ২০১১–১২ মৌসুমে তিনি ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি জাপানি লিগের দল ভিসেল কোবেতে যোগ দেন।
ইনিয়েস্তার জন্ম ফুয়েন্তেলবিয়া নামক একটি ছোট্ট গ্রামে। ১২ বছর বয়সে ব্যালোম্পাইয়ে খেলার সময়, অনেক দলই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ইনিয়েস্তার বাবা-মা বার্সেলোনার যুব প্রকল্পের তত্কালীন কোচ এনরিক ওরিজাওলার পরিচিত ছিলেন। তিনি ইনিয়েস্তাকে বার্সেলোনার যুব প্রকল্পে পাঠানোর জন্য তার বাবা-মাকে রাজী করান। ইনিয়েস্তার বাবা-মা ইনিয়েস্তাকে লা মাসিয়াতে নিয়ে যান এবং তাকে সেখানে নথিভুক্ত করার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।[2] ইনিয়েস্তার বাবা-মা যেদিন তাকে লা মাসিয়াতে ছেড়ে যান, সেদিন তিনি কান্নার বন্যা বইয়ে দেন;[3] শৈশবে তিনি খুব লাজুক ছিলেন। তিনি বার্সেলোনার অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে নাইকি প্রিমিয়ার কাপে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার শেষ মিনিটে ইনিয়েস্তা জয়সূচক গোল করেন। তাকে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়।
২০০৪–০৫ মৌসুমে ইনিয়েস্তা ৩৭ টি খেলায় মাঠে নামেন, যার মধ্য ২৫টিতে তিনি বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। তিনি ঐ মৌসুমে ২টি গোল করেন এবং বার্সেলোনা লা লিগা শিরোপা জেতে।[4] ২০০৫–০৬ মৌসুমে জাভির ইনজুরির কারণে তিনি দলে আরও নিয়মিত হয়ে পড়েন এবং নিজের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখেন।[5] তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১১টি খেলায় মাঠে নামেন, এর মধ্যে ২০০৬ ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে এডমিলসনের বদলি হিসেবেও নামেন।[6] ম্যানেজার ফ্রাংক রাইকার্ডও দলের জন্য তার অবদানের প্রশংসা করেছেন। মৌসুমে বার্সেলোনা লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জেতে।[7]
২০০৬–০৭ মৌসুমেও ইনিয়েস্তার উন্নতি অব্যাহত থাকে। ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট, বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে বার্সেলোনা জোয়ান গাম্পার শিরোপা জেতে। খেলায় ইনিয়েস্তা অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে লেভ্স্কি সোফিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মত তিনি বাম উইঙ্গ-ফরোয়ার্ড অবস্থানে খেলতে নামেন এবং দুইটি গোল করেন। রাউন্ড-১৬ তে লিভারপুলের বিপক্ষে তিনি সেন্টার মিডফিল্ড অবস্থানে খেলেন। মাঠের বিভিন্ন অবস্থানে খেলার পরেও ২০০৬–০৭ মৌসুমেই ইনিয়েস্তা তার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন।
দল থেকে লুডোভিচ গিলি’র প্রস্থানের পর ইনিয়েস্তা তার ৮ নম্বর জার্সি পেয়ে যান।[8] ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই, স্পেনীয় সংবাদপত্র মার্কা প্রকাশ করে যে ইনিয়েস্তা বার্সেলোনা ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে পারেন, যারা ৬০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।[9] ঐ দিনই ইনিয়েস্তা এধরনের গুজব অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘‘আমাকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং আমি খুব বিস্মিত হয়েছি। আমি এ সম্পর্কে কিছুই করতে পারব না কিন্তু আমি আবারও বলছি যে আমি এখানেই থাকতে চাই। আমি যখন বলি আমি বার্সাতেই অবসর গ্রহণ করতে চাই, তখন আমি তা আমার মন থেকেই বলি। এবং আমার ইচ্ছাই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’’[8] ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি, ইনিয়েস্তা বার্সেলোনার সাথে তার চুক্তির মেয়াদ ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে নেন।[10]
স্পেনীয় ফুটবল ম্যাগাজিন ডন ব্যালন অনুসারে ইনিয়েস্তা বিগত দুই মৌসুমের সবচেয়ে সংগতিপূর্ণ খেলোয়াড়দের অন্যতম। ডন ব্যালনের বার্ষিক তালিকায় ২০০৬–০৭ মৌসুমে ইনিয়েস্তার অবস্থান পঞ্চম[11] এবং ২০০৭–০৮ মৌসুমে চতুর্থ।[12] ২০০৮ ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় ইনিয়েস্তা ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থান দখল করেন।[13] বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ এবং স্যামুয়েল ইতো এই তালিকার সেরা দশে ছিলেন।
২০০৮ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পায়ের ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাহিরে কাটান ইনিয়েস্তা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে চাইছিলেন। ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি, ইনজুরি থেকে ফিরে মায়োর্কার বিপক্ষে খেলার ৬৫তম মিনিটে তিনি মাঠে নামেন এবং মাত্র ১০ মিনিট পরেই গুরুত্বপূর্ণ একটি গোল করেন।
৫ ফেব্রুয়ারি, কোপা দেল রে-তে মায়োর্কার বিপক্ষে ইনিয়েস্তা বার্সেলোনার হয়ে তার ২৫০তম খেলায় মাঠে নামেন। ঘরের মাঠে মালাগার বিপক্ষে খেলায় ইনিয়েস্তা আবারও ইনজুরি আক্রান্ত হন, তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে খেলায় তিনি মাঠে ফিরে আসেন। খেলায় বার্সেলোনা ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।
প্রাক্তন ক্লাব সতীর্থ স্যামুয়েল ইতো ইনিয়েস্তা সম্পর্কে বলেন, ‘‘ইনিয়েস্তা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, যখনই সে মাঠে থাকে প্রদর্শন তৈরি করে।’’[14] চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে চেলসির বিপক্ষে খেলার শেষ মিনিটে পেনাল্টি সীমানার বাহিরে থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ইনিয়েস্তা। খেলাটি ১–১ সমতায় শেষ হয়।[15] গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বার্সেলোনার ফাইনাল নিশ্চিত হয়। ফাইনালে বার্সেলোনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার অ্যালেক্স ফার্গুসন ফাইনালের পূর্বে বলেন, ‘‘আমি মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই, ইনিয়েস্তাই মূল বিপদ। সে অসাধারণ। সে দলীয়ভাবে কাজ করে। সে যেভাবে পাস খুঁজে নেয়, তার নড়াচড়া এবং স্থান তৈরি করার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। সে বার্সেলোনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’[3] উরুর ইনজুরি সত্ত্বেও ইনিয়েস্তা ফাইনাল খেলায় মাঠে নামেন। তিনি স্যামুয়েল ইতোর প্রথম গোলটিতে সহায়তা করেন। বার্সেলোনা ২–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[16] মেসির দ্বিতীয় গোলেও তার অবদান ছিল। খেলা শেষে ওয়েইন রুনি ইনিয়েস্তাকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বলে দাবী করেন।[17]
স্পেনীয় ম্যাগাজিন ডন ব্যালন তাকে ২০০৮–০৯ মৌসুমে লা লিগার সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় শীর্ষে রাখে। ক্লাব সতীর্থ জাভি এবং মেসি তার পেছনে ছিলেন।
১৮ অক্টোবর, ব্যালন দি’অর-এর ৩০ জনের প্রাথমিক তালিকায় ইনিয়েস্তা জায়গা পান। ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ এবং প্রাক্তন ক্লাব সতীর্থ ইব্রাহীমোভিচ, থিয়েরি অঁরি ও স্যামুয়েল ইতো এই তালিকায় জায়গা পান। ইনিয়েস্তা ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের জন্য মনোনীত পাঁচ জনের অন্যতম ছিলেন। তার সাথে ছিলেন লিওনেল মেসি ও জাভি হার্নান্দেজ। অণুষ্ঠানটি হয়েছিল জুরিখে। ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি উভয় পুরস্কার জেতেন। ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারে ইনিয়েস্তা ১৩৪ ভোট নিয়ে পঞ্চম হন।[18] মৌসুমে ইনিয়েস্তা তার প্রথম গোল করেন রেসিং স্যান্তেনদারের বিপক্ষে। খেলায় বার্সেলোনা ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। বারবার ইনজুরির কারণে ইনিয়েস্তার ২০০৯–১০ মৌসুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[19] ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে ইনজুরির কারণে তিনি প্রাক মৌসুম ফিটনেস ট্রেনিং-এ অংশ নিতে পারেননি। এই মৌসুমে মাত্র ২০টি খেলায় তিনি প্রথম দলে মাঠে নামেন। এছাড়া অধিকাংশ খেলায় বদলি হিসেবে নামেন।[20] মৌসুমে বার্সেলোনা লা লিগা শিরোপা জেতে।
২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর, ইনিয়েস্তা বার্সেলোনার সাথে চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে নেন। এতে তার চুক্তির মেয়াদ দাড়ায় ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এসময় তার মূল্য ১৫০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়ে দাড়ায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো।[21]
২০১০ বিশ্বকাপ শেষে ইনিয়েস্তা বার্সেলোনায় ফিরে আসেন। মৌসুমে তিনি প্রথম গোল করেন রেসিং স্যান্তেনদারের বিপক্ষে লা লিগার প্রথম খেলায়। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে লব শটে গোলটি করেন তিনি।[22] ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে একমাত্র গোল করে স্পেনকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর জন্য স্যান্তেনদারের মাঠ এল সার্দিনেরো এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ভিসেন্তে ক্যালদেরন স্টেডিয়ামের দর্শকগন ইনিয়েস্তাকে দাড়িয়ে সম্মান জানান।[23] এস্প্যানিওলের বিপক্ষে ডার্বিতেও এস্তাদি কর্নেলার দর্শকগন তাকে দাড়িয়ে সম্মান জানান। ঐ খেলায় বার্সেলোনা ৫–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।
২০১০ ফিফা ব্যালন দি’অর-এর তিন জন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে তিনিও ছিলেন। তার সাথে অন্য দুজন ছিলেন তারই ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি এবং জাভি হার্নান্দেজ। পুরষ্কারটি জেতেন মেসি, ইনিয়েস্তা হন দ্বিতীয়।[24]
২০১১–১২ মৌসুমে ইনিয়েস্তা তার প্রথম গোল করেন স্পেনীয় সুপার কোপার দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। খেলায় বার্সেলোনা ৩–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। এতে করে, দুই লেগ মিলিয়ে ৫–৪ গোল ব্যবধানে শিরোপা জেতে বার্সেলোনা।
১৯ অক্টোবর, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে খেলায় মেসির সাথে কয়েক দফা পাস বিনিময় করে ইনিয়েস্তা চমত্কার একটি গোল করেন, যা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল।
২০১২ সালের ১৭ মার্চ, সেভিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনা ০–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। এতে করে, বার্সেলোনার হয়ে খেলতে নেমে লা লিগায় টানা ৫০ খেলায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। রেকর্ডটি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন খেলোয়াড় এমিলিও বুত্রাগুনিওর।[25] ২৪ মার্চ তিনি মায়োর্কার বিপক্ষে খেলতে নামেন। ঐ খেলায় বার্সেলোনা ০–২ ব্যবধানে জয় লাভ করলে ইনিয়েস্তা লা লিগায় টানা ৫১ খেলায় অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়েন।
দীর্ঘ গোল খড়া কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে ইনিয়েস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন। সেমি ফাইনালে চেলসির বিপক্ষেও তিনি গোল করেন এবং দলকে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান, যদিও চেলসি খেলায় ফিরে আসে এবং খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়। ফলে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনাকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়।
ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফা ইনিয়েস্তাকে ২০১১–১২ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করে।[26]
২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর, লা লিগায় লেভান্তের বিপক্ষে খেলায় ইনিয়েস্তা একটি গোল করেন এবং তিনটি গোলে সহায়তা করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ইনিয়েস্তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়।[27] এর চার দিন পরই ২০১২ ফিফা ব্যালন দ’অরের তিন জনের চূড়ান্ত তালিকায় লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সাথে ইনিয়েস্তার নামও ঘোষণা করা হয়।[28] ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি, জুরিখে ২০১২ ফিফা ব্যালন দ’অর বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়।[29] অবশ্য, ফিফপ্রো ২০১২ সালের সেরা একাদশে তিনি যায়গা পান।
২০০১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব ১৬ শীরোপা জয়ী স্পেন দলের সদস্য ছিলেন ইনিয়েস্তা। পরের বছর উয়েফা অনূর্ধ্ব ১৯ শীরোপাও জেতে স্পেন। ইনিয়েস্তা সেই দলেও ছিলেন। এরপর থেকেই স্পেন যুব দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত হন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপে স্পেন দলে জায়গা পান। ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে স্পেনের শীরোপা হাতছাড়া হয়। প্রতিযোগিতার অল স্টার দলে তিনি জায়গা পান।
২০০৬ সালের ১৫ মে, স্পেনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ইনিয়েস্তা জায়গা পান। ২০০৬ সালের ২৭ মে, স্পেন মূল দলের হয়ে তিনি প্রথম মাঠে নামেন। রাশিয়ার বিপক্ষে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামানো হয় তাকে।
২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি প্রথম গোল করেন। ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্ব টপকাতে স্পেন দলের হয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ ইউরোতে তিনি স্পেন দলে জায়গা পান। তিনি গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই খেলায় মাঠে নামেন এবং নিজের সামর্থের জানান দেন। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলায় অধিকাংশ নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া হলেও ইনিয়েস্তাকে মাঠে নামান কোচ লুইস আরাগোনস। খেলায় স্পেন ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ইতালিকে হারায় স্পেন। সেমি ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলেন ইনিয়েস্তা এবং জাভির একটি গোলে সহায়তা করেন। তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। ফাইনালেও তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন। খেলায় জার্মানি ১–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং শিরোপা জেতে। পায়ের ইনজুরির কারণে ২০০৯ কনফেডারেশন্স কাপে ইনিয়েস্তা অংশগ্রহণ করতে পারেননি। প্রতিযোগিতায় স্পেন তৃতীয় হয়।[30]
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে স্পেন দলে জায়গা পান ইনিয়েস্তা। গ্রুপ পর্বে চিলির বিপক্ষে খেলায় ইনিয়েস্তা একটি গোল করেন এবং দলকে ২–১ ব্যবধানে জয় এনে দেন।[31] দূর্দান্ত নৈপূন্যের মাধ্যমে তিনি স্পেনকে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌছাতে সহায়তা করেন। ফলে গোল্ডেন বল পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[32] বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলার ১১৬তম মিনিটে স্পেনের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা।[33] তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয় এবং এটিই ছিল স্পেনের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা।[34]
ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করে যে ইনিয়েস্তা ২০১০ সালে ইন্টারনেট জগৎে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিড়াবিদ ছিলেন। শীর্ষ পাঁচে তার পরে ছিলেন ইকার ক্যাসিয়াস, ডেভিড ভিয়া, রাফায়েল নাদাল এবং ফেরন্যান্দো আলোনসো।
২০১২ উয়েফা ইউরোতে, তিনটি খেলায় ইনিয়েস্তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। ফাইনালে ইতালির বিপক্ষেও তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়, যেখানে স্পেন ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২০১২ উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবেও ইনিয়েস্তাকে নির্বাচিত করা হয়।[35]
লা মাসিয়া সতীর্থ সেস ফ্যাব্রিগাসের মত ইনিয়েস্তাও একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে শুরু করেছিলেন।[36] তবে ভারসাম্য, বল নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুততার কারণে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও তিনি উন্নতি করতে থাকেন। তার প্রতিভা বার্সেলোনার স্কাউটদের নজর এড়ায়নি। ১৮ বছর বয়সেই সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়।[37] ভিসেন্তে দেল বস্কের তার সম্পর্কে বলেন, “একজন পূর্ণাঙ্গ ফুটবলার। সে আক্রমনভাগ ও রক্ষণভাগ উভয়ই সামলাতে পারে, সে নিজে গোল করে এবং গোল তৈরিও করে দেয়।” এবং ফ্রাংক রাইকার্ড বলেন, “আমি তাকে ফলস উইঙ্গার, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, ডিপ মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকারের একদম পেছনের অবস্থানে খেলিয়েছি। সকল অবস্থানেই সে ছিল অসাধারণ।”[3] প্রাথমিকভাবে লুইস ফন গাল তাকে হুয়ান রোমান রিকেল্মে এবং রোনালদিনিয়োর অণুপস্থিতিতে ওয়াইড ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলান এবং পরবর্তীতে রাইকার্ডের অধীনে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরেই তিনি নিজেকে বিশ্বমানের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারে পরিণত করেন।
২০০৮ সাল থেকে আনা অর্তিজের সাথে ইনিয়েস্তার সম্পর্ক রয়েছে[38] এবং ২০১০ এর সেপ্টেম্বরে ইনিয়েস্তা নিশ্চিত করেন যে আনা অন্তঃসত্ত্বা। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন, যার নাম রাখা হয় ভালেরিয়া। ২০১২ সালের ৮ জুলাই এই যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।[39] ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর, ইনিয়েস্তা টুইটারে নিশ্চিত করেন যে আনা আবারও অন্তঃসত্ত্বা।[40]
৩ মে ২০১৮ অনুসারে।
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | মহাদেশীয় | অন্যান্য[41] | মোট | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
বার্সেলোনা বি | ২০০০–০১ | ১০ | ০ | – | – | – | ১০ | ০ | |||
২০০১–০২ | ৩০ | ২ | – | – | – | ৩০ | ২ | ||||
২০০২–০৩ | ১৪ | ৩ | – | – | – | ১৪ | ৩ | ||||
মোট | ৫৪ | ৫ | – | – | – | ৫৪ | ৫ | ||||
বার্সেলোনা | ২০০২–০৩ | ৬ | ০ | ০ | ০ | ৩ | ০ | – | ৯ | ০ | |
২০০৩–০৪ | ১১ | ১ | ৩ | ১ | ৩ | ০ | – | ১৭ | ২ | ||
২০০৪–০৫ | ৩৭ | ২ | ১ | ০ | ৮ | ০ | – | ৪৬ | ২ | ||
২০০৫–০৬ | ৩৩ | ০ | ৪ | ০ | ১১ | ১ | ১ | ০ | ৪৯ | ১ | |
২০০৬–০৭ | ৩৭ | ৬ | ৬ | ১ | ৮ | ২ | ৫ | ০ | ৫৬ | ৯ | |
২০০৭–০৮ | ৩১ | ৩ | ৭ | ০ | ১৩ | ১ | – | ৫১ | ৪ | ||
২০০৮–০৯ | ২৬ | ৪ | ৬ | ০ | ৯ | ১ | – | ৪১ | ৫ | ||
২০০৯–১০ | ২৯ | ১ | ৩ | ০ | ৯ | ০ | ১ | ০ | ৪২ | ১ | |
২০১০–১১ | ৩৪ | ৮ | ৫ | ০ | ১০ | ১ | ১ | ০ | ৫০ | ৯ | |
২০১১–১২ | ২৭ | ২ | ৬ | ২ | ৮ | ৩ | ৫ | ১ | ৪৬ | ৮ | |
২০১২–১৩ | ৩১ | ৩ | ৫ | ২ | ১০ | ১ | ২ | ০ | ৪৮ | ৬ | |
২০১৩–১৪ | ৩৫ | ৩ | ৬ | ০ | ৯ | ০ | ২ | ০ | ৫২ | ৩ | |
২০১৪-১৫ | ২৪ | ০ | ৭ | ৩ | ১১ | ০ | – | ৪২ | ৩ | ||
২০১৫-১৬ | ২৮ | ১ | ৪ | ০ | ৭ | ০ | ৫ | ০ | ৪৪ | ১ | |
২০১৬-১৭ | ২৩ | ০ | ৫ | ০ | ৮ | ১ | ১ | ০ | ৩৭ | ১ | |
২০১৭-১৮ | ৩০ | ১ | ৫ | ১ | ৮ | ০ | ১ | ০ | ৪৪ | ২ | |
মোট | ৪৪২ | ৩৫ | ৭৩ | ১০ | ১৩৫ | ১১ | ২৪ | ১ | ৬৭৪ | ৫৭ | |
ক্যারিয়ারে সর্বমোট | ৪৯৬ | ৪০ | ৭৩ | ১০ | ১৩৫ | ১১ | ২৪ | ১ | ৭২৮ | ৬২ |
১ জুলাই ২০১৮ অনুসারে।
জাতীয় দল | সাল | উপস্থিতি | গোল |
---|---|---|---|
স্পেন | ২০০৬ | ৮ | ০ |
২০০৭ | ১২ | ৫ | |
২০০৮ | ১৪ | ১ | |
২০০৯ | ৫ | ০ | |
২০১০ | ১৫ | ৩ | |
২০১১ | ৯ | ১ | |
২০১২ | ১৪ | ১ | |
২০১৩ | ১৭ | ০ | |
২০১৪ | ৮ | ১ | |
২০১৫ | ৫ | ১ | |
২০১৬ | ৮ | ০ | |
২০১৭ | ৮ | ১ | |
২০১৮ | ৮ | ০ | |
মোট | ১৩১ | ১৩ |
# | তারিখ | ভেন্যু | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ | ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড | ইংল্যান্ড | ০–১ | ০–১ | প্রীতি খেলা |
২ | ২৮ মার্চ ২০০৭ | ওএনও, পালমা দি মায়োর্কা, স্পেন | আইসল্যান্ড | ১–০ | ১–০ | ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্ব |
৩ | ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | লাউগার্দালসভোলার, রেইকজাভিক, আইসল্যান্ড | আইসল্যান্ড | ১–১ | ১–১ | ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্ব |
৪ | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ | স্যান্তিয়াগো বের্ন্যাবেউ, মাদ্রিদ, স্পেন | সুইডেন | ২–০ | ৩–০ | ২০০৮ ইউরো বাছাইপর্ব |
৫ | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ | কিং বাউদৌইন, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম | বেলজিয়াম | ১–১ | ১–২ | ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
৬ | ২৫ জুন ২০১০ | লোটাস ভার্সফেল্ড, প্রিটোরায়া, দক্ষিণ আফ্রিকা | চিলি | ০–২ | ১–২ | ২০১০ বিশ্বকাপ |
৭ | ১১ জুলাই ২০১০ | সকার সিটি, জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | নেদারল্যান্ডস | ০–১ | ০–১ | ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনাল |
৮ | ১২ অক্টোবর ২০১০ | হ্যাম্পডেন পার্ক, গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড | স্কটল্যান্ড | ০–২ | ২–৩ | ২০১২ ইউরো বাছাইপর্ব |
৯ | ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | এএফজি এরিনা, জাংক্ত গ্যালেন, সুইজারল্যান্ড | চিলি | ১–২ | ৩–২ | প্রীতি খেলা |
১০ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | লা রোসালেদা, মালাগা, স্পেন | ভেনেজুয়েলা | ১–০ | ৫–০ | প্রীতি খেলা |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.