Loading AI tools
পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আতাউর রহমান (উর্দু: عطاالرحمن) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি সিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।[1] পিপিপি সরকারের সময় ২০০৮ থেক ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি ফেডারেল পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি খাইবার পাখতুনখুয়ার জেইউআই (এফ)-এর সহসভাপতি। তিনি জেইউআই (এফ)-এর পাকিস্তানের আমির মাওলানা ফজল-উর-রেহমানের ভাই এবং তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় পুত্র মাওলানা মুফতি মাহমুদ। মুফতি মাহমুদ ব্রিটিশ ভারতের এবং ১৯৪৭ সালের পূর্বে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের নেতা ছিলেন।
মাওলানা আতাউর রহমান مولاناعطاالرحمن | |
---|---|
খাইবার পাখতুনখোয়ার সিনেটর | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় মার্চ ২০১৫ | |
পর্যটন মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১০ | |
সহ সভাপতি জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (এফ), খাইবার পাখতুনখোয়া | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পাকিস্তান | ২৫ জুলাই ১৯৬২
জাতীয়তা | পাকিস্তান |
রাজনৈতিক দল | জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (এফ) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | গোমাল বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, পণ্ডিত, লেখক |
আতাউর রহমান ২৫ জুলাই ১৯৬৫ সালে ডেরা ইসমাঈল খান জেলার আব্দুল খয়েল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুফতি মাহমুদ। তিনি তার পিতার কাছে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা আবদুল খাইল গ্রামে পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী পড়াশুনার জন্য মুলতান কাসিম উল উলূম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৮৭ সালে বেফাকুল মাদারিস তাকে 'শাহাদাত উল আলিমিয়া' ডিগ্রি প্রদান করে। নয় বছর পরে তিনি গোমাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর করার পরে, তিনি বিখ্যাত ধর্মীয় ইনস্টিটিউট জামিয়া-তুল-মারিফ-আলশরিয়া, ডিআই খানে উলূম ইসলামিয়ায় পড়ানো শুরু করেন। তিনি একই ইনস্টিটিউটের প্রধান মুহতামিমও ছিলেন।
১৯৯৮ সালে তিনি ডেরা ইসমাইল খানের দলীয় নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হন। একই বছরে তিনি খাইবার পাখতুনখুয়ার জেআইআই-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০২ সালে তিনি খাইবার পাখতুনখোয়ার দলের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হন। একই বছরে তিনি জেলা ডেরা ইসমাইল খানের পক্ষে দলের সভাপতি/আমির পদে নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে তিনি খাইবার পাখতুনখোয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট/নায়েব আমির জেআইআই নির্বাচিত হন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি একই দলে রয়েছেন।
তিনি টানা দু'বার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসাবে এনএ-২৫ জেলা ট্যাঙ্ক থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার প্রথম নির্বাচনে তিনি প্রধান প্রতিযোগী দাওয়ার খান কুন্ডিকে প্রায় ৭২,০০০ পরাজিত করেছিলেন। ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী হাবিব উল্লাহ খান কুন্ডি ওরফে বাবু খানকে পরাজিত করেছিলেন, তবে উক্ত ফলাফল নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল এবং বাবু খান দাবি করেছেন যে নির্বাচনটি অন্যায্য ছিল এবং তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট ফলাফল সাফ করে মাওলানা আতাউর রহমানকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসাবে ঘোষণা করে। সেই সময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দ্বারা গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জেআইআই পিপিপি সরকারে জোটের শরিক হিসাবে যোগ দেয় এবং তাকে পর্যটন মন্ত্রীর পোর্টফোলিও দেওয়া হয়।[2]
২০১৩ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তার বড় ভাই মাওলানা ফজলুর রহমানের পরে জাবিআইএফ-এর প্রধান টঙ্ক, ডেরা ইসমাইল খান এবং লাক্কি মারওয়াত তিনটি আসনই জিতেছিলেন। মাওলানা আতাউর রহমানকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্নেল (অব:) আমির উল্লাহ খান মারওয়াতের বিরুদ্ধে এনএ-২৭ জেলা লাক্কি মারওয়াত উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল; উক্ত নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
তার পিতা মুফতি মাহমুদ ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সদস্য এবং জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ইসলামিক পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি এবং তার পরিবার দেওবন্দী আন্দোলনের অংশ।[3][4][5][6][7] তার ভাই ফজলুর রহমান একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, যিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (এফ)-এর বর্তমান সভাপতি। ১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য। সাবেক মন্ত্রী ও ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.