আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা
ধ্বনিভিত্তিক প্রতিবর্ণীকরণ পদ্ধতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা (সংক্ষেপে আধ্বব) বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক ধ্বনিভিক্তিক প্রতিবর্ণীকরণ পদ্ধতি যা আন্তর্জাতিক ধ্বনিবিজ্ঞান সংগঠন বিশ্বের সব কথিত ভাষার সব ধ্বনিকে প্রমিতভাবে তুলে ধরার জন্য ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে সৃষ্টি করেছিল।[1] এই বর্ণমালা ইংরেজিতে International Phonetic Alphabet, সংক্ষেপে IPA (আইপিএ) এবং ফরাসিতে Alphabet Phonétique International, সংক্ষেপে API (আপেই) নামেও সুপরিচিত। অভিধানবিদ, বিদেশী ভাষার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্চিকিৎসক, গায়ক, অভিনেতা, কৃত্রিম ভাষা নির্মাতা ও অনুবাদকেরা এই বর্ণমালাটি ব্যবহার করে থাকেন।[2][3]
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা | |
---|---|
লিপির ধরন | অশব্দীয়,
আংশিকভাবে ধ্বনিক |
সময়কাল | ১৯৮৮ থেকে |
ভাষাসমূহ | যে কোন ভাষার ধ্বনিভিত্তিক এবং স্বনিমভিত্তিক প্রতিবর্ণীকরণের জন্য ব্যবহৃত হয় |
সম্পর্কিত লিপি | |
উদ্ভবের পদ্ধতি | রোমিক বর্ণমালা
|
আইএসও ১৫৯২৪ | |
আইএসও ১৫৯২৪ | Latn, , লাতিন |
ইউনিকোড | |
ইউনিকোড উপনাম | লাতিন |
এই বর্ণমালাতে প্রধানত রোমান বর্ণমালার (এবং এর পরিবর্তিত রূপের) ব্যবহার হয়ে থাকে। এর সঙ্গে ব্যবহার হয় গ্রীক বর্ণমালার এবং কিছু বিশেষক ধ্বনিচিহ্নের। আধ্ববতে প্রতিলিপিকরণ দুরকম ভাবে করা হয়ে থাকে, স্বনিমভিত্তিক বা প্রশস্ত প্রতিবর্ণীকরণ, যা চিহ্নিত করা হয় [ ] বন্ধনী দিয়ে, এবং ধ্বনিভিত্তিক বা সূক্ষ্ম প্রতিবর্ণীকরণ যা চিহ্নিত করা হয় / / বন্ধনী দিয়। যেমন বাংলার "ঊলটো" এবং "আলতা" শব্দগুলোতে "ল" বর্ণের উচ্চারণ স্বনিমভিত্তিক ভাবে চিহ্নিত করা হয় [l] দিয়ে, কিন্তু "ট" এবং "ত" এর প্রভাবে শব্দ দুটিতে "ল"-এর যে সূক্ষ্ম উচ্চারণ পরিবর্তন হয়েছে তা চিহ্নিত করার হয় প্রথম শব্দের ক্ষেত্রে /ɭ/দিয়ে এবং দ্বিতীয় শব্দের ক্ষেত্রে /l̪/ দিয়ে।[4]
ব্রাহ্মীজাত লিপিসমূহে যেমন বর্ণগুলি উচ্চারণ অনুসারে সাজান হয়, এই বর্ণমালাতেও বর্ণগুলির উচ্চারণ অনুসারে ছক তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধ্বনিবিজ্ঞান সংগঠন সময়ে সময়ে এই বর্ণমালায় পরিবর্তন করে থাকে। সাম্প্রতিকতম পরিবর্তন অনুযায়ী বর্ণমালাটিতে মোট ১০৭টি বর্ণ, ৫২টি বিশেষক ধ্বনিচিহ্ন এবং ৪টি ছান্দিক চিহ্ন আছে।[5] প্রত্যেকটি বর্ণ তার নিজস্ব উচ্চারণস্থান ও উচ্চারণরীতি দ্বারা চিহ্নিত হয়।