![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/87/Ashes_Urn.jpg/640px-Ashes_Urn.jpg&w=640&q=50)
অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যাশেজ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজবিশেষ। এ সিরিজ আয়োজনে ভিন্নতার চিত্র চোখে পড়ে। একটি টেস্ট থেকে শুরু করে সাতটি টেস্ট নিয়ে সিরিজ আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ১৯৯৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি টেস্ট নিয়ে সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম ক্রীড়া ক্রিকেটে প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়োজন করা হয় ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর ইতিহাস ১৮৮২ সাল থেকে অদ্যাবধি বহমান।[2][3][4] সচরাচর যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি দুই বছরে আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া দল বর্তমান অ্যাশেজ ট্রফির ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দলটি পার্থে অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের মাধ্যমে নিজেদের হাতে করায়ত্ত্ব করে রেখেছে।
![A terracotta urn with two brass plaques on it sits on a wooden base. The urn is on display, with the glass surround and other exhibits visible in the background.](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/87/Ashes_Urn.jpg/640px-Ashes_Urn.jpg)
১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে ও ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে নামে।[অ্যা 1][6] তবে, অ্যাশেজের উত্থান ঘটেছে ১৮৮২ সালে। অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ডে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল।[7] ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল পরাজয়বরণ করে। ফলশ্রুতিতে, দ্য স্পোর্টিং টাইমস বিদ্রুপাত্মক শোকসংবাদ প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, ইংরেজ ক্রিকেটের মৃত্যু ঘটেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, এর দেহ সমাহিত করা হবে ও ছাই অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে।[8] সম্মানীয় ইভো ব্লাই এ পরিভাষাটি গ্রহণ করেন। পরবর্তী মৌসুমের শীতকালে তার নেতৃত্বে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে ও উল্লেখিত অ্যাশেজ নিজ দেশে নিয়ে আসেন।[1]
১৮৮২ সালে পরাজিত হবার পর দ্বি-পক্ষীয় সিরিজটির পরবর্তী আটটি সিরিজে ইংল্যান্ড দল বিজয়ী হয়। তন্মধ্যে, ২২ টেস্টে অংশ নিয়ে দলটি মাত্র চারটিতে পরাজিত হয়েছিল। ১৮৯১-৯২ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল।[6] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে আসে। এ সিরিজটি বডিলাইন সিরিজ নামে পরিচিতি পায়। মূলতঃ স্বাগতিক দলের ব্যাটিং প্রতিভা ডন ব্র্যাডম্যানকে মোকাবেলার্থেই তারা শরীর লক্ষ্য করে বোলিং কৌশল উদ্ভাবনে অগ্রসর হয়। এ সময় ইংরেজ বোলারেরা ব্যাটসম্যানদেরকে উদ্দেশ্য করে বল লেগ সাইডের দিকে খেলে ও কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডারের বৃত্তাকারে দণ্ডায়মান থাকে।[9] ইংল্যান্ড ঐ সিরিজে জয়ী হয়। তবে, এ কৌশল অবলম্বনের ফলে ক্রিকেটের আইন পরিবর্তন করতে হয়।[9] এরপর অস্ট্রেলিয়া দল ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিংয়ের বদান্যতায়[10] পরবর্তী সিরিজেই অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করে। পরবর্তী উনিশ বছরে ছয়টি সিরিজে এ ধারা বহমান থাকে।[6] এ সময়কালেই অস্ট্রেলিয়া দল সুপরিচিত ১৯৪৮ সালের অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্যে ইংল্যান্ড গমন করেছিল। পুরো সফরেই দলটি অপরাজিত অবস্থায় থাকে। ফলশ্রুতিতে, দলটি ‘অপরাজেয়’ নামে পরিচিত হয়ে উঠে।[11] পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে সফরকারীরা জয়ী হয়। কাউন্টি দল ও প্রতিনিধিত্বকারী দলের বিপক্ষে নির্ধারিত ২৯টি খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল জয় পায় কিংবা ড্র করেছিল।[12]
৩৩০টি টেস্টে অংশ নিয়ে ১৩৪ টেস্টে জয় ইংল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া দল এগিয়ে রয়েছে। ঐ তুলনায় ইংল্যান্ড দল ১০৬ টেস্টে জয় পায় ও বাদ-বাকী খেলাগুলো ড্রয়ে পরিণত হয়। এছাড়াও, সিরিজ জয়ের দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৩৩টিতে জয়ী হয়। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দল ৩২টিতে জয়ী হয়েছে। পাঁচটি সিরিজ ড্রয়ের দিকে গড়ায়। তন্মধ্যে, অ্যাশেজ লাভের ফলে চারবার সিরিজ ড্র করে অস্ট্রেলিয়া দল ট্রফি অক্ষুণ্ন রাখে। একবার সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব রাখতে সক্ষম হয়। মাত্র তিনবার একটি দল সিরিজের সবকটি টেস্টে জয় পেয়ে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে। ১৯২০-২১, ২০০৬-০৭ ও ২০১৩-১৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দল এ সাফল্য পায়।[6] ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল বিরাট ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়। সেবার তারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদেরকে ৫-১ ব্যবধানে পরাভূত করেছিল। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া - উভয় দলই ধারাবাহিকভাবে আটবার সিরিজ জয় করে। ইংল্যান্ড দল ১৮৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৮৯০ এবং অস্ট্রেলিয়া দল ১৯৮৯ থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত একাধারে সিরিজ জয় করেছিল।[6] ১৮৮২ সাল থেকে স্বল্পসংখ্যায় টেস্ট সিরিজ আয়োজন করা হয় যা অ্যাশেজ সিরিজের অন্তর্ভুক্ত নয়। সেগুলো হচ্ছে ১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৯-৮০, ১৯৮০ ও ১৯৮৭-৮৮।[6] ঐ সিরিজগুলো এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।