অপারেশন পিয়ি থায়া
From Wikipedia, the free encyclopedia
অপারেশন পিয়ি থায়া (বর্মী: ပြည်သာယာ စစ်ဆင်ရေး; অপারশন সুন্দর ও পরিষ্কার জাতি) হল তাতমাডো (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) এর দ্বারা রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান।[4][5][6] এই অভিযানটি ১৯৯১ এবং ১৯৯২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (RSO)-এর সামরিক শক্তি সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের রাজ্য আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ-এর সামরিক জান্তার অধীনে সংঘটিত হয়।
অপারেশন পিয়ি থায়া | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: রোহিঙ্গা দ্বন্দ্ব | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
![]() |
![]() (সীমান্তে খণ্ডযুদ্ধ)[2] | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
![]() |
![]() | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
২,০০,০০০[3]–২,৫০,০০০[1][2] বাস্তুচ্যুত (পরে ১,৫০,০০০ জন প্রত্যাবাসন |
১৯৭৮ সালের অপারেশন ড্রাগন কিং এর মত, এই সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক সরকারি ব্যাখ্যা ছিল এই যে, এই অভিযানটি আরাকান অঞ্চল থেকে তথাকথিত "বিদেশীদেরকে" বিতাড়িত করতে, এবং আরএসও বিদ্রোহীদেরকে বন্দী করতে পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে যে সহিংসতার সৃষ্টি হয়, তার ফলে দুই থেকে আড়াই লক্ষ বেসামরিক রোহিঙ্গা জনগণ তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয় (বেশিরভাগই প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়)। কিন্তু এই সামরিক অভিযানটি আরএসও বিদ্রোহীদের আরও বেশি আক্রমণকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়, যেটা ১৯৯০ এর দশকের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।[4][6]
১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাতমাডো সৈন্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে, এবং ভুলবশত বাংলাদেশী সামরিক আউটপোস্টে গুলিবর্ষণ করে, এর ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কে অল্পদিনের জন্য টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়।