শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
অজ্ঞেয়বাদ
ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা নিরস্তিত্ব মানুষের অজানা এবং জানা সম্ভব হবেনা এমন দার্শনিক মতবাদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
অজ্ঞেয়বাদ হলো এমন একটি দার্শনিক চিন্তা অথবা মতবাদ বা ধারণা যেখানে বলা হয় যে, কোন ঈশ্বর বা কোনো পরমসত্ত্বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা নিরস্তিত্ব উভয় মানুষের অজানা এবং এটি তাদের দ্বারা কখনো জানা সম্ভব হবেনা। [১][২][৩] মার্কিন দার্শনিক উইলিয়াম এল. রোয়ে বলেন, "অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে, মানবজাতি কখনো ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যে আছেন এটা শক্তভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হবে না আবার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যে নেই এটিও শক্তভাবে নিশ্চিত করতে অসমর্থ থেকে যাবে। [২]
অজ্ঞেয়বাদ হল যুক্তি ও জ্ঞানের সমন্বয়ে গঠিত একটি ধারণা; তবে এটি কোনো ধর্ম নয়। এটি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করে না আবার স্বীকারও করে না।[৪] ইংরেজ জীববিজ্ঞানী টমাস হেনরি হাক্সলি 'অজ্ঞেয়বাদ' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ১৮৬৯ সালে। টমাসের আগেকার চিন্তাবিদরাও অবশ্য নিজেদের মতবাদে অজ্ঞেয়বাদের প্রচার করেন, যেমন: সঞ্জয় বেলট্ঠিপুত্ত নামে খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর একজন ভারতীয় দার্শনিক যিনি প্রথমে 'পরকাল' সম্বন্ধে অজ্ঞেয়বাদ প্রকাশ করেন;[৫][৬][৭] ও পীথাগোরাস যিনি ৫ম শতাব্দীর গ্রিক দার্শনিক, তিনিও ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে অজ্ঞেয়বাদ প্রকাশ করেন।[৮] 'নাসদীয় সূক্ত' (একটি ভারতীয় মতবাদ) এবং ঋগ্বেদ পৃথিবী সৃষ্টির ব্যাপারে অজ্ঞেয়।[৯][১০][১১]
Remove ads
অজ্ঞেয়বাদের সংজ্ঞীয়করণ
সারাংশ
প্রসঙ্গ

জীববিজ্ঞানী টমাস হেনরি হাক্সলি বলেন,
অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে বিজ্ঞানের একটি নির্যাস, প্রাচীন হোক কিংবা আধুনিক। এটা সহজভাবেই বোঝায় যে একজন মানুষ বলবেনা যেটা সে জানে বা বিশ্বাস করে যেটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই জানার বা বিশ্বাস করার জন্য। ফলত, অজ্ঞেয়বাদ শুধু জনপ্রিয় ধর্মতত্ত্বেরই বড়ো অংশ থেকে একপাশে সরে থাকেনা, এটি ধর্মতত্ত্ববিরোধী মতবাদেরও ঠিক পক্ষে যায়না। সমগ্রভাবে, প্রচলিত ধর্মমতের বিরোধিতা এর আতোল বাতোল কথাগুলো আমার কাছে প্রচলিত ধর্মীয় ধ্যান-ধ্যারণার থেকে বেশি আক্রমণাত্মক মনে হয়, কারণ প্রচলিত ধর্মমতের বিরোধিতা দৃঢ়ভাবে কারণ এবং বিজ্ঞানের আলোকে কথা বলে, অপরদিকে প্রচলিত ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা নয়।[১২]
— Thomas Henri Huxley
যেখানে অজ্ঞেয়বাদীরা অস্বীকার করেন, নীতিবিগর্হিত হিসেবে, হচ্ছে একটি বিপরীত মতবাদ, যে কিছু বর্ণনা আছে যেগুলোকে মানুষের বিশ্বাস করা উচিত, যৌক্তিক সন্তোষজনক প্রমাণ ছাড়া; এবং পুনঃসত্যতাপ্রমাণীকরণ অবিশ্বাসের দাবির সঙ্গে যুক্ত থাকা এমন অপর্যাপ্ত সমর্থিত বর্ণনা।[১৩]
— Thomas Henry Huxley
অজ্ঞেয়বাদ, আসলে, ধর্মবিশ্বাস নয়, একটি নিয়ম, যেটি একটি কঠিন নীতির উপাদানের উপর তৈরি......ধনাত্মকভাবে নীতিটি প্রকাশিত হতে পারেঃ বুদ্ধির ক্ষেত্রে, আপনি কারণ অনুসন্ধান করুন যতদূর এটি আপনাকে নিয়ে যায়, অন্য কোনো বিবেচনা ছাড়াই। এবং ঋণাত্মকভাবেঃ বুদ্ধির ক্ষেত্রে দাবী করবেননা যে উপসংহারগুলো সুনিশ্চিত যেগুলো প্রমাণিত হয়েছে বা প্রমাণযোগ্য।[১৪][১৫][১৬]
— Thomas Henry Huxley
একজন বিজ্ঞানী হিসেবে হাক্সলি অজ্ঞেয়বাদকে এক প্রকারের সীমানানির্দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। একটি তত্ত্ব যার কোনো সমর্থন অবলম্বন নেই, পরীক্ষণযোগ্য ঘটনা কোনো অবলম্বন নয়, বৈজ্ঞানিক দাবী। যেমন, কোনো বলা তত্ত্বকে প্রমাণ করার জন্য কোনো উপায় থাকবেনা, ফলাফলগুলো অমীমাংসিত আকারে বের হবে। তার অজ্ঞেয়বাদ হাতের দাবীতে সত্য কিংবা মিথ্যার উপর বিশ্বাস তৈরির ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলনা। অস্ট্রীয়-ব্রিটিশ দার্শনিক কার্ল পপারও তাকে অজ্ঞেয়বাদী বলেছেন।[১৭] মার্কিন দার্শনিক উইলিয়াম এল. রোয়ে অনুযায়ী, অজ্ঞেয়বাদের সঠিক অর্থ হচ্ছে, "অজ্ঞেয়বাদ হচ্ছে সেই মতবাদ যা নির্দেশ করে যে মানবজাতি কখনোই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণে সক্ষম হবেনা আবার অপরদিকে ঈশ্বরের যুক্তিযুক্ত অনস্তিত্বও প্রমাণ করতে পারবেনা।[২]
অন্যান্যরা এই ধারণাটির পুনঃসংজ্ঞা দিয়েছেন, এটিকে বিশ্বাস স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে, এবং শুধু অসামঞ্জস্য পুরো নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে। জর্জ এইচ. স্মিথ (জাপানে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন লেখক, জন্মঃ ১৯৪৯) এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন যে নাস্তিক্যবাদের সরু সংজ্ঞাই অজ্ঞেয়বাদ শব্দটির সাধারণ ব্যবহার সংজ্ঞা ছিলো,[১৮] এবং অজ্ঞেয়বাদের বিস্তারিত সংজ্ঞা ছিলো এই শব্দটির সাধারণ ব্যবহার সংজ্ঞা,[১৯] নাস্তিক্যবাদের সংজ্ঞাটাকে আরো বড়ো করে এবং অজ্ঞেয়বাদের সংজ্ঞাটাকে আরো ছোটো করে। স্মিথ নাস্তিক্যবাদ এবং ঈশ্বরে বিশ্বাসের তৃতীয় বিকল্প হিসেবে অজ্ঞেয়বাদকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং 'অজ্ঞেয় নাস্তিকবাদ' নামে নতুন একটি শব্দ তৈরি করেন যেটি এমন একটি চিন্তা যা নির্দেশ করে যে একজন মানুষ কোনো ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা, কিন্তু আবার দাবীও করেনা যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব সম্পর্কে তার শক্ত প্রমাণ আছে, আর একটি শব্দের অবতারণা স্মিথ ঘটান যেটি হচ্ছে 'অজ্ঞেয়বাদী আস্তিক্য', এ মতবাদ হচ্ছে যে একজন মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো যুক্তি বোঝেনা বা বুঝতে চায়না, কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বে তার বিশ্বাস আছে।[২০][২১][২২]
Remove ads
ব্যুৎপত্তি
অজ্ঞেয়বাদ শব্দটি সর্বপ্রথম টমাস হেনরি হাক্সলি ১৮৬৯ সালে ব্রিটেনের 'মেটাফিজিক্যাল সোসাইটি' (অধিবিদ্যা সমাজ) এ ব্যবহার করেন তাঁর দর্শন প্রকাশ করতে যেটি আত্মিক এবং রহস্যময় সকল জ্ঞানের দাবী প্রত্যাখ্যান করে। তবে অজ্ঞেয় এর ইংরেজি প্রতিশব্দ 'অ্যাগনস্টিক' (agnostic) শব্দটি প্রাচীন গ্রিক ভাষার দুটি শব্দ 'এ', ἀ- (a-) এবং 'নসিস', 'γνῶσις' (gnōsis) থেকে এসেছে যাদের অর্থ যথাক্রমে নেই এবং জ্ঞান।[২৩][২৪] প্রাচীন যুগের খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকরা গ্রিক শব্দ 'নসিস' (জ্ঞান) কে "আধ্যাত্মিক জ্ঞান" বোঝাতে ব্যবহার করতেন। প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এই অজ্ঞেয়বাদ, হাক্সলি শব্দটিকে অনেক বিস্তৃত করে প্রকাশ করেছিলেন।[২৫] হাক্সলি শব্দটিকে কোনো বিশ্বাস হিসেবে প্রকাশ করেননি বরং একে সংশয়বাদী, প্রমাণভিত্তিক অনুসন্ধান পদ্ধতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।[২৬] বর্তমানে স্নায়ুবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানে অজ্ঞেয়বাদ শব্দটিকে জানা সম্ভব নয় এমন কিছু বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।[২৭] তবে কারিগরি জগৎ এবং মার্কেটিং জগতে "অজ্ঞেয়" শব্দটি দ্বারা কিছু বাঁধা; যেমনঃ প্ল্যাটফর্ম[২৮] কিংবা হার্ডওয়্যার হতে স্বাধীনতা বুঝায়।[২৯]
Remove ads
অজ্ঞেয়বাদের বৈশিষ্ট্য
ইউরোপের যুক্তি ও বিজ্ঞান বিকাশের সময়কালের একজন স্কটিশ দার্শনিক ড্যাভিড হিউম এর মতে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কোন তথ্যই পুরোপুরি সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেন যে "মানবজাতির ভ্রমশীলতা" কথাটি দ্বারা বোঝায় যে মানুষ কোন ব্যাপারেই পরম নিশ্চয়তা অর্জন করতে পারবে না। তবে কিছু ব্যাপার সংজ্ঞায়িতই করা হয় এমনভাবে যা নিশ্চিতভাবে ওই বিশেষ বস্তু বা বিষয়কেই বোঝায়। যেমনঃ ব্যাচেলর শব্দটি বলা মাত্রই আমরা বুঝে যাবো যে ব্যক্তির সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি অবিবাহিত। এক্ষেত্রে আমরা সন্দেহ করতে পারবো না তিনি বিবাহিত কিনা। এছাড়াও ত্রিভুজ বললেই আমরা বুঝবো এর তিনটি কোণ রয়েছে। এ ধরনের ব্যাপার ব্যতীত কোনকিছুই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।[৩০]
প্রকারভেদ
- কট্টর অজ্ঞেয়বাদ (যা "বদ্ধ", "দৃঢ়" বা "স্থায়ী অজ্ঞেয়বাদ" হিসেবেও পরিচিত)
- এমন একটি মতবাদ যা বলে ঈশ্বর, দেবতা কিংবা কোন অলৌকিক সত্ত্বা আছে কি নেই তার উত্তর মানুষ কখনোই দিতে পারবে না। কেননা মানুষ কোন অভিজ্ঞতাকে শুধুমাত্র পূর্বে হওয়া বস্তুগত অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের আলোকেই ব্যাখ্যা করে। তাই বলা চলে একজন কট্টর অজ্ঞেয় ব্যক্তি বলবেন, "ঈশ্বর এর অস্তিত্ব আছে কি নেই তা আমি জানতে পারবো না এবং আপনিও কখনোই জানতে পারবেন না।"[৩১][৩২][৩৩]
- দুর্বল অজ্ঞেয়বাদ (যা "উন্মুক্ত", "পরীক্ষামূলক" বা "অস্থায়ী অজ্ঞেয়বাদ" হিসেবেও পরিচিত)
- এমন একটি মতবাদ যা বলে ঈশ্বর আছে কি নেই তার উত্তর মানুষের কাছে এখন অজানা হলেও চিরকালই যে অজানা থাকবে এমন নয়। সুতরাং বলা চলে, প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া যাবে না যতক্ষণ না কোন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই একজন প্রমাণভিত্তিক অজ্ঞেয় ব্যক্তি বলবেন যে "আমি জানি না ঈশ্বর আছেন কি নেই। যদি এই ব্যাপারে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তখন হয়ত কিছু বলা যাবে।"[৩১][৩২][৩৩]
- উদাসীন অজ্ঞেয়বাদ
- এমন একটি মতবাদ যা বলে কোন বিতর্কই এক বা একাধিক ঈশ্বরের অস্তিত্ব কিংবা অনস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবে না। আর একান্তই যদি এক বা একাধিক ঈশ্বর থেকেই থাকেন তবে তার সঙ্গে মানুষের পরিণতির কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানুষের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না এবং এই ব্যাপারটি মানুষের জন্য অগুরুত্বপূর্ণ।[৩৪][৩৫]
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
গ্রিক দর্শন
অজ্ঞেয়বাদী চিন্তা, সন্দেহবাদের রুপে প্রাচীন গ্রীসে একটি আনুষ্ঠানিক দার্শনিক অবস্থান পেয়েছিল। এটির প্রবক্তার মধ্যে ছিলেন প্রোটাগোরাস, পিরহো, ক্যার্নিডেস, সেক্সটাস এম্পিরিকাস[৩৬] এবং কারো কারো মতে সক্রেটিস যিনি জ্ঞানতত্ত্বের ক্ষেত্রে সন্দেহবাদী প্রবণতার মিশ্রণ ঘটানোর গোঁড়া সমর্থক ছিলেন।[৩৭]
পিরহো বলেছিলেন যে, আমাদের বিচার বানানো থেকে দূরে থাকা উচিত কারণ আমরা কখনো প্রকৃত সত্যতা জানতে পারবনা। পিরহোর মতে, মতামত বানানো সম্ভব, কিন্তু অবশ্যতা এবং জ্ঞান জানা অসম্ভব।[৩৮] ক্যার্নিডেসও সকল জ্ঞানের দাবীর ক্ষেত্রে সন্দেহ পোষণ করতেন। তিনি যদিও একটি 'সম্ভাবনা তত্ত্ব' বের করেন। তার মতে অবশ্যতা কখনোই সিদ্ধ করা যায়না।[৩৯] প্রোটাগোরাস ঈশ্বরের ঐতিহ্যগত মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেনঃ[৮]
ঈশ্বরদের ক্ষেত্রে, আমার জানার কোনো মানে হয়না যে তারা আছেন নাকি নেই অথবা তারা কী প্রকারের। অনেক জিনিশ জ্ঞান জানা নিবৃত্ত করে এর মধ্যে রয়েছে কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে অজ্ঞাততা এবং মানবজীবনের স্বল্পস্থায়িত্বতা।
হিন্দু দর্শন
হিন্দুত্ববাদের ইতিহাস জুড়েই শক্ত দার্শনিক ভাবনা এবং সন্ধিগ্ধচিত্ততার ঐতিহ্য পাওয়া যায়।[৪০][৪১]
ঋগ্বেদ পৃথিবী এবং দেব-দেবীদের তৈরি হওয়ার ব্যাপারে একটি অজ্ঞেয়বাদী মতবাদ গ্রহণ করে। ঋগ্বেদের দশম অধ্যায়ের 'নাসাদিয়া শুক্তা' (সৃষ্টিতত্ত্ব) এ বলা হয়েছেঃ[৪২][৪৩][৪৪]
সত্যই কে জানেন?
কে এটি এখানে ঘোষণা করবেন?
কোথা হতে এটির উৎপত্তি? কোথা হতে এই সৃষ্টি?
ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির পরে দেবতারা এসেছিলেন।
তবে কে জানেন যে কোথা হতে এটি উত্থিত হয়েছে?
হিউম, কান্ট, এবং কেরেকগার্ড
এরিস্টটল,[৪৫] এন্সলাম,[৪৬][৪৭] আকুইনাস,[৪৮][৪৯] এবং দেকার্ত[৫০] যৌক্তিকভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে চেষ্টা করে যুক্তিগুলি উপস্থাপন করেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অস্তিত্বহীনতার যেকোন সন্দেহাতীত প্রমাণ করানো অসম্ভব বলে ডেভিড হিউমের সন্দেহজনক অভিজ্ঞতাবিজ্ঞান, ইমানুয়েল কান্টের বিরোধাভাস, এবং সোরেন কেরেকগার্ডের অস্তিত্ববাদী দর্শন পরবর্তী অনেক দার্শনিক বিশ্বাসকে এই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করার জন্য উপলব্ধি করায়।[৫১]
সরেন কেরেকগার্ড তার ১৮৪৪ সালের ফিলোসফিক্যাল ফ্র্যাগমেন্টস বইতে বলেনঃ[৫২]
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads
