Loading AI tools
চীনা দাবাড়ু উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হৌ ইফান (চীনা: 侯逸凡; ফিনিন: Hóu Yìfán; ; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪) জিয়াংশু প্রদেশের শিংহুয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী চীনের বিখ্যাত প্রমিলা গ্র্যান্ডমাস্টার দাবাড়ু।[2][3] বর্তমানে তিনি মহিলাদের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন। এ শিরোপা লাভের ফলে তিনি সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদার অধিকারী হন। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ মহিলা দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার শিরোপা লড়াইয়ে খেলার সুযোগ পান।
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
গণচীন-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
এশিয়ান গেমস | ||
২০১০ গুয়াংজু | মহিলাদের ব্যক্তিগত | |
২০১০ গুয়াংজু | মহিলাদের দলগত |
হৌ ইফান | |||||||||||||||||||||||
চীনা | 侯逸凡 | ||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
ছয় বছর বয়স থেকেই নিয়মিতভাবে দাবা খেলতে শুরু করেন। কিন্তু তিন বছর বয়সেই খেলাটির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় তার। হৌয়ের বাবা হৌ জুজিয়ান একজন ম্যাজিস্ট্রেট।[4] প্রায়শঃই নৈশভোজন শেষে একটি গ্রন্থ বিক্রয় কেন্দ্রে শিশু কন্যাকে নিয়ে যেতেন। তিনি লক্ষ্য করতেন যে ছোট্ট কন্যা জানালার ধারে রাখা কাঁচের দাবার ঘুঁটির দিকে তাকিয়ে থাকতো। পরবর্তীতে তিনি কন্যাকে প্রথমবারের মতো দাবা সেট কিনে দেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিন বছরী কন্যা তার পিতা ও দাদীকে পরাজিত করে। ১৯৯৯ সালে তার বাবা দাবা পরামর্শক হিসেবে আন্তর্জাতিক মাস্টার তং ইউয়ানমিংকে ৫ বছর বয়সী কন্যার জন্য নিয়োগ দেন।[5] পরবর্তীকালে তং মন্তব্য করেন যে, হৌ অসম্ভব মেধাবী, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী, স্মৃতিশক্তি প্রখর, দ্রুত হিসাব-নিকাশ করার ক্ষমতাসম্পন্ন ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল ছিলেন।[5]
২০০৩ সালে চীনের জাতীয় পুরুষ ও মহিলা দাবা দলের প্রধান কোচ ই জিংচুয়ানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। দাবা মাস্টার আশ্চর্যান্বিত হয়ে যান যে, নয় বছরের মেয়েটি তার প্রায় সকল দূর্বলতাই চিহ্নিত করতে সক্ষম ছিল। তারপর তিনি জানতে পারেন যে, মেয়েটি ব্যতিক্রমধর্মী মেধাবী। ঐ বছরই জাতীয় দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মনোনীত হন ও বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশীপে অনূর্ধ্ব দশ বছর বিভাগের শিরোপা তুলে নেন। জুন, ২০০৭ সালে তিনি চীনের সর্বকনিষ্ঠ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন।[5]
দশ বছর বয়সে[6] দেশের সকল স্থান থেকে আগত তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণার্থে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন জাতীয় দাবা কেন্দ্রে ভর্তি হন।[7] সেখানে শীর্ষস্থানীয় চীনা গ্র্যান্ডমাস্টার ই জিয়াংচুয়ান ও উ শাওতেং তাদের প্রশিক্ষক ছিলেন।[8][9] দাবায় উন্নততর জীবন গড়তে তার পরিবার ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে স্থানান্তরিত হয়। হৌয়ের মা ওয়াং কিয়ান সাবেক সেবিকা ছিলেন ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মেয়ের সাথে যেতেন।[4] হৌ নিজ গৃহে অধ্যয়ন করেন।[4] পড়াশোনায় বেশ আগ্রহ তার। ববি ফিশারকে আদর্শ মানেন তিনি।[7][10]
দাবা লেখক লিওনার্ড বার্ডেন বলেছেন যে, মহিলাদের সর্বোত্তম খেলোয়াড় জুডিত পোলগারের প্রতিপক্ষ হতে চান তিনি।[11] নিজের খেলোয়াড়ী জীবন সম্পর্কে জানান যে, আমি দাবাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি কেননা আমি দাবার ঘুঁটির প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। ভবিষ্যতে আমি পেশাদার দাবাড়ু হবো অথবা চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়ন করবো।[10]
৩১ আগস্ট-১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ তারিখে অনুষ্ঠিত পুরুষদের তিয়ানজিনে চীনা দলগত দাবা চ্যাম্পিয়নশীপের ন্যায় প্রথমবারের মতো বৃহৎ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।[12] ২২৪৬ পারফরম্যান্স রেটিং নিয়ে ৩/৭ লাভ করেন।[13] অক্টোবর-নভেম্বর, ২০০৩ সালে গ্রীসের হালকিদিকিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশীপের বালিকাদের অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে প্রথম হন ও প্রথমবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেন।[14]
১২ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৬ সালে ইয়েকাতেরিনবার্গে অনুষ্ঠিত ফিদে মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে ও ২০০৬ সালে টরিনোতে অনুষ্ঠিত ৩৭তম দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নেন।[15] জুন, ২০০৭ সালে তিনি চীনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়ন হন। জানুয়ারি, ২০০৪ সালে ফিদে মাস্টার, জানুয়ারি, ২০০৭ সালে মহিলাদের গ্র্যান্ডমাস্টার এবং আগস্ট, ২০০৮ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার পদবী লাভ করেন। ১৬ বছর বয়সে তুরস্কের হাতে এলাকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। এ প্রতিযোগিতা জয়লাভের ফলে দাবার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মহিলা বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১২ সালের মহিলাদের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশীপে খুব দ্রুত বিদায় নিলেও ২০১৩ সালে আন্না উশেনিনাকে পরাজিত করে পুনরায় শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখান। এরপর ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে ২০১৫ সালে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মারিয়া মাজিচুককে পরাভূত করে শিরোপা পুণরুদ্ধার করেন।
বিশ্বের শীর্ষ ১০০ মহিলা দাবাড়ুদের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। আগস্ট, ২০১৪ সালে ফিদে রেটিং তালিকায় জুডিত পোলগার ও মাইয়া চিবুরদানিদজের পরই তার এ অবস্থান। তিনি বিশ্বের সর্বত্র সেরা সক্রিয় প্রমিলা দাবাড়ু হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।[16] বর্তমানে তিনি বিশ্বের ১ নম্বর প্রমিলা দাবাড়ু।
২৫ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে নেদারল্যান্ডসের উইক আন জিতে অনুষ্ঠিত কোরাস (গ্রুপ বি) প্রতিযোগিতায় আর্মেনিয়ার জিএম গাব্রিয়েল সারগিসিয়ানকে (২৬৭৬) পরাজিত করেন:
1. d4 e6 2. c4 Nf6 3. Nf3 b6 4. g3 Ba6
5. Qc2 Bb4+ 6. Bd2 Be7 7. e4 d5 8. cxd5 Bxf1 9. Kxf1 exd5 10. e5 Ne4 11. Nc3 Nxd2+
12. Nxd2 Qd7 13. Kg2 Nc6 14. Qa4 0-0 15. Rac1 f6?
16. f4 fxe5 17. dxe5 Bb4 18. Rhf1 Rac8 19. Ne2 Nxe5 20. Qxb4 Nd3 21. Qb3 Nxc1 22. Nxc1 Rce8 23. Nf3 Qf5 24. Rf2 c5 25. Qd3 Qe4 26. Rd2 d4 27. Qxe4 Rxe4 28. Nd3 Re6 29. h4 Rc8 30. a4 a6 31. Nfe5 b5 32. a5 g6 33. Rc2 c4 34. Nb4 Rf8 35. b3 d3 36. Rd2 Rc8 37. Rd1 Rd6 38. Kf3 d2 39. bxc4 bxc4 40. Nc2 c3 41. Ke2 Rd5 42. Ng4 Rxa5 43. Nge3 Rd8 44. Rb1 Ra2 45. Kd1 Rb2 46. Ra1 Rdb8 47. Rxa6 Rb1+ 48. Ke2 Rc1 49. Rc6 Re8 0–1
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.