সিমলা চুক্তি, ১৯১৪
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সিমলা চুক্তি (ইংরেজী:Simla Accord) বা ব্রিটেন-চীন-তিব্বত চুক্তি, সিমলা (ইংরেজী:Convention Between Great Britain, China, and Tibet, [in] Simla[১]) বলতে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের সিমলা শহরে চীন প্রজাতন্ত্র, তিব্বত এবং ব্রিটিশ ভারত সরকারের প্রতিনিধিদল দ্বারা তিব্বতের অবস্থা নির্ধারণকারী একটি চুক্তিকে বোঝানো হয়ে থাকে।
![Thumb](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/c/c0/Simla_Conference_1913.jpg/320px-Simla_Conference_1913.jpg)
চুক্তি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4c/Wikisource-logo.svg/38px-Wikisource-logo.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
উইকিমিডিয়া কমন্সে সিমলা চুক্তি, ১৯১৪ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা তিব্বতের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণের জন্য সিমলা শহরে একটি সভার আহ্বান করে।[২] এই সভায়ব্রিটেনের প্রতিনিধিদল ছাড়াও নবগঠিত চীন প্রজাতন্ত্র এবং তিব্বত সরকার থেকে প্রতিনিধিদল যোগ দেয়।[১] ব্রিটিশ প্রতিনিধি স্যার হেনরি ম্যাকমহোন তিব্বতকে বহিঃ তিব্বত এবং অন্তঃ তিব্বতে ভাগ করার পরামর্শ দেন।[১] তার পরামর্শ অনুযায়ী দ্বুস-গ্ত্সাং এবং পশ্চিম খাম্স অঞ্চল নিয়ে গঠিত বহিঃ তিব্বতের প্রশাসন লাসা শহরে অবস্থিত তিব্বত সরকারের স্বায়ত্ত্বশাসনে এবং আমদো এবং পূর্ব খাম্স অঞ্চল নিয়ে গঠিত অন্তঃ তিব্বত সরাসরি চীনা প্রশাসনের অধীনে থাকে। চুক্তিতে স্থির হয় যে, বহিঃ তিব্বতের প্রশাসনিক কাজকর্মে তিব্বত সরকার সমস্ত আধিকারিক নিযুক্ত করবে এবং তাতে চীন সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।[৩]:৭৫ বহিঃ তিব্বতের প্রশাসনে চীন সরকার হস্তক্ষেপ না করলেও এই চুক্তির ফলে স্থির হয় যে সমগ্র তিব্বতই চীনের অংশ বিশেষ। চুক্তিতে এও স্থির হয় যে, তিব্বতীরা দলাই লামা নির্বাচন করার পরে চীন সরকারকে জানাতে বাধ্য থাকবে ও লাসা শহরে স্থিত চীনা প্রশাসনিক আধিকারিক তাকে উপাধি প্রদান করবেন।
আলোচনায় চীন ও তিব্বতের মধ্যে সীমান্তরেখা ছাড়াও তিব্বত ও ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়। চীনা প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে ব্রিটিশ ও তিব্বতী প্রতিনিধিদলের মধ্যে ভারত-তিব্বত সীমান্ত নির্ধারিত হয়। আলোচনার সময় ভারত-তিব্বত সীমান্ত নির্ধারণকারী একটি মানচিত্র চুক্তির খসড়ার সঙ্গে যোগ করা হয়।[n ১][n ২]
কিন্তু তিব্বত ও চীনের সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা ব্যর্থ হয়।[৬]:৫ চীনা প্রতিনিধি ইভান চেন সভা ছেড়ে চলে গেলে ব্রিটিশ ও তিব্বতী প্রতিনিধিরা চুক্তিটিকে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে চীনকে কোন রকম সুবিধা প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নেন।[৩] এই সময় তারা ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তিকে পাল্টে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[৭]
পাদটীকা
- The line was marked on a large-scale (eight miles to the inch) map. On a much smaller-scale map, which was used in the discussions of the Inner Tibet-Outer Tibet boundary, the McMahon-Tibetan boundary (which would become the McMahon Line) was shown as a sort of appendix to the boundary between Inner Tibet and China proper.[৫]
তথ্যসূত্র
আরো পড়ুন
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.