Loading AI tools
স্কটল্যান্ডীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্যার টমাস শন কনারি (ইংরেজি: Sir Thomas Sean Connery; ২৫ আগস্ট, ১৯৩০ - ৩১ অক্টোবর, ২০২০) একজন স্কটল্যান্ডীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন। তিনি ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট জেমস বন্ডের নাম ভূমিকায় বন্ড চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত লাভ করেছেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি মোট ৭টি বন্ড ছবিতে অভিনয় করেছেন।[2][3][4] এছাড়াও মেরিন, ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড, দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর, ড্রাগনহার্ট, দ্য রক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
শন কনারি | |
---|---|
জন্ম | টমাস শন কনারি ২৫ আগস্ট ১৯৩০[1] |
মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ২০২০ ৯০) নাসাউ, বাহামা দ্বীপপুঞ্জ | (বয়স
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৫৪–২০০৩, ২০১২ |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | জেসন কনারি |
আত্মীয় | নিল কনারি (ভাই) |
ওয়েবসাইট | seanconnery |
কনারি ১৯৮৮ সালে দি আনটাচেবলস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[5] এছাড়া তিনি তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার ও একটি হেনরিয়েটা পুরস্কারসহ তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, বাফটা ফেলোশিপসহ দুটি বাফটা পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৮৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে অর্দ্র দে আর্ত অ লেত্রের কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ১৯৯৯ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি সেন্টার সম্মাননায় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্র ও নাট্যকলায় তার অবদানের জন্য ২০০০ সালের নববর্ষ সম্মাননায় তিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হন।[6]
টমাস শন কনারি ১৯৩০ সালের ২৫শে আগস্ট স্কটল্যান্ডের এডিনবরার ফাউন্টেনব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল টমাস।[7] তার মাতা ইউফেমিয়া "এফি" ম্যাকবেইন ম্যাকলিন একজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিলেন। তার পিতা নিল ম্যাকলিন এবং মাতা হেলেন ফোর্বস রস। তার পিতামহী ইউফেমিয়া ম্যাকবেইনের নামানুসারে তার নামকরণ করা হয়েছিল। ইউফেমিয়া জন ম্যাকলিনের স্ত্রী এবং উইলিয়াম ম্যাকবেইনের কন্যা ছিলেন।[8][9][10] কনারির পিতা জোসেফ কনারি ফ্যাক্টরি কর্মী ও লরি চালক ছিলেন।[10][11]
গুপ্তচর হিসেবে জেমস বন্ডের নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের নজরে আসেন শন কনারি। বন্ড চলচ্চিত্রের প্রথম পাঁচটি ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিগুলো হলো - ড. নো (১৯৬২), ফ্রম রাশিয়া উইদ লাভ (১৯৬৩), গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪), থাণ্ডারবল (১৯৬৫) এবং ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস (১৯৬৭)। তারপর পুনরায় তিনি ডায়মণ্ডস আর ফরএভার (১৯৭১) এবং নেভার সে নেভার এগেইন (১৯৮৩) ছবিতে বন্ড হিসেবে পুনরায় অংশগ্রহণ করেন। বন্ড ধারাবাহিকের সাতটি চলচ্চিত্রই বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল।
১৯৮৭ সালে কনারি ব্রায়ান দে পালমার দি আনটাচেবলস চলচ্চিত্রে একজন কঠোর আইরিশ-মার্কিন পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে এলিয়ট নেস চরিত্রে কেভিন কসনার এবং অন্যান্য প্রধান চরিত্রে চার্লস মার্টিন স্মিথ, প্যাট্রিশিয়া ক্লার্কসন, অ্যান্ডি গার্সিয়া, এবং আল কাপোন চরিত্রে রবার্ট ডি নিরো অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি সমালোচনামূলকভাবে এবং বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করে। অনেক সমালোচক কনারি অভিনয়ের প্রশংসা করেন। সমালোচক রজার ইবার্ট লিখেন, "এই চলচ্চিত্রের সেরা অভিনয় করেছেন কনারি... তিনি তার চরিত্রে মানবীয় গুণাবলি তুলে ধরেছেন, তিনি আনটাচেবলসের কিংবদন্তি ছাড়াও নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি যখন পর্দায় এসেছেন আমরা অল্প সময়ের জন্য বিশ্বাস করেছি নিষিদ্ধকরণ যুগেও মানুষ বসবাস করত, ব্যঙ্গকৌতুক নয়।"[12] কনারি তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[13]
কনারি ৩১শে অক্টোবর, ২০২০ তারিখে ৯০ বছর বয়সে ঘুমন্ত অবস্থায় বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাসাউ শহরে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[2][3] তাঁর পুত্রের মতে তিনি "বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন।"[14][15]
সাল | শিরোনাম | ভূমিকা | মন্তব্য |
---|---|---|---|
১৯৬২ | ড. নো | জেমস বন্ড | |
১৯৬৭ | দ্য বোলার এন্ড দ্য বানেট | স্বয়ং | (পরিচালক; প্রামাণ্যচিত্র) |
১৯৮১ | আউটল্যান্ড | মার্শাল উইলিয়াম টি. ও'নীল | মনোনয়ন — সেরা অভিনেতা, স্যাটার্ণ এ্যাওয়ার্ড |
১৯৮৩ | নেভার সে নেভার এগেইন | জেমস বন্ড | (অনানুষ্ঠানিক জেমস বন্ড) |
১৯৮৬ | দ্য নেম অব দ্য রোজ (ফিল্ম) | উইলিয়াম অব বাস্কেরভিল | কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য বাফটা সেরা অভিনেতা পুরস্কার |
১৯৮৭ | দি আনটাচেবলস্ (ফিল্ম) | জিম ম্যালোন | সেরা সহ-অভিনেতা হিসেবে একাডেমী পুরস্কার, সেরা সহ-অভিনেতা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - মোশন পিকচার, এনবিআর কর্তৃক সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.