মৃত সাগর
লবনাক্ত হ্রদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লবনাক্ত হ্রদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মৃত সাগর (হিব্রু ভাষায়: יָם הַמֶּלַח, Yam ha-Melah, "Sea of Salt", আবার হিব্রু ভাষায়: יָם הַמָּוֶת, Yam ha-Mavet, "The Sea of Death", এবং আরবি: البحر الميت ), এর পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল , পূর্বে জর্ডান । জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার(১,৩৭৮ ফিট) নিচে এটি পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি ।[4] এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত ।[5]
মৃত সাগর | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩১°৩০′ উত্তর ৩৫°৩০′ পূর্ব |
ধরন | এন্ডোরেয়িক হাইপার-স্যালাইন |
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | জর্দান নদী |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | বাষ্পায়ন |
অববাহিকা | ৪০,৬৫০ কিমি২ (২৫,২৫৮ sq mi)[1] |
অববাহিকার দেশসমূহ | জর্ডান ইসরায়েল ফিলিস্তিন |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৬৭ কিমি |
সর্বাধিক প্রস্থ | ১৫ কিমি (৯.৩ মা)[2] |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৮১০ কিমি২ |
গড় গভীরতা | ১২০ মিটার (৩৯৪ ft) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৩৩০ মিটার (১,০৮৩ ফিট) |
পানির আয়তন | ১৪৭ কিমি৩ (৩৫ cu mi) |
উপকূলের দৈর্ঘ্য১ | ১৩৫ কিমি(৮৪ মাইল) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | -−৪৩০ মি (−১,৪১১ ফু)[3][সন্দেহপূর্ণ ] |
১ উপকূলের দৈর্ঘ্য ভাল সংজ্ঞায়িত পরিমাপ হয়নি। |
প্রায় তিরিশ লক্ষ বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগরের পানিতে বারবার প্লাবিত হত। এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয়। উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত ছিল ।
প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়।
৭০,০০০ বছর পূর্ব থেকে ১২,০০০ বছর পূর্ব পর্যন্ত ডেড সি'র পানির উচ্চতা বর্তমান উচ্চতার চাইতে ১০০ থেকে ২৫০ মিটার বেশি ছিল। ২৬,০০০ বছর পূর্বে এটির পানি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে। প্রায় ১০,০০০ বছর পূর্বে এর পৃষ্ঠ উচ্চতা নাটকীয় ভাবে হ্রাস পেতে শুরু করে, যা সম্ভবত বর্তমান পৃষ্ঠ উচ্চতার চাইতেও কম ছিল। গত কয়েক হাজার বছর ধরে এর পানির পৃষ্ঠ উচ্চতা মোটামুটি ৪০০ মিটারের আশেপাশে অবস্থান করছে।
ইসলাম বিশ্বাস করে এ সাগরটি লুত নবীর দাওয়াত অস্বীকার করার কারণে এবং সমকামিতা পাপের দরুণ জিবরাঈল ফেরেশতা তার দু‘ডানা সাদুম ও এর আশপাশ এলাকার মাটিতে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ এলাকাটি শূণ্যে তুলে ধরে উপরকে নিচে এবং নিচকে উপরে তুলে স্বজোরে ফেলে দেন। ফলে যে সাগরের সৃষ্টি হয় তাই বর্তমান মৃত সাগর।[6]
মৃত সাগর-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ২৬.৪ (৭৯.৫) |
৩০.৪ (৮৬.৭) |
৩৩.৮ (৯২.৮) |
৪২.৫ (১০৮.৫) |
৪৫.০ (১১৩.০) |
৪৬.৪ (১১৫.৫) |
৪৭.০ (১১৬.৬) |
৪৪.৫ (১১২.১) |
৪৩.৬ (১১০.৫) |
৪০.০ (১০৪.০) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
২৮.৫ (৮৩.৩) |
৪৭.০ (১১৬.৬) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২০.৫ (৬৮.৯) |
২১.৭ (৭১.১) |
২৪.৮ (৭৬.৬) |
২৯.৯ (৮৫.৮) |
৩৪.১ (৯৩.৪) |
৩৭.৬ (৯৯.৭) |
৩৯.৭ (১০৩.৫) |
৩৯.০ (১০২.২) |
৩৬.৫ (৯৭.৭) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
২৬.৯ (৮০.৪) |
২১.৭ (৭১.১) |
৩০.৪ (৮৬.৭) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৬.৬ (৬১.৯) |
১৭.৭ (৬৩.৯) |
২০.৮ (৬৯.৪) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৯.৪ (৮৪.৯) |
৩২.৬ (৯০.৭) |
৩৪.৭ (৯৪.৫) |
৩৪.৫ (৯৪.১) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
২৮.৬ (৮৩.৫) |
২৩.১ (৭৩.৬) |
১৭.৯ (৬৪.২) |
২৬.১ (৭৯.০) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১২.৭ (৫৪.৯) |
১৩.৭ (৫৬.৭) |
১৬.৭ (৬২.১) |
২০.৯ (৬৯.৬) |
২৪.৭ (৭৬.৫) |
২৭.৬ (৮১.৭) |
২৯.৬ (৮৫.৩) |
২৯.৯ (৮৫.৮) |
২৮.৩ (৮২.৯) |
২৪.৭ (৭৬.৫) |
১৯.৩ (৬৬.৭) |
১৪.১ (৫৭.৪) |
২১.৯ (৭১.৪) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ৫.৪ (৪১.৭) |
৬.০ (৪২.৮) |
৮.০ (৪৬.৪) |
১১.৫ (৫২.৭) |
১৯.০ (৬৬.২) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
২৬.০ (৭৮.৮) |
২৬.৮ (৮০.২) |
২৪.২ (৭৫.৬) |
১৭.০ (৬২.৬) |
৯.৮ (৪৯.৬) |
৬.০ (৪২.৮) |
৫.৪ (৪১.৭) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ৭.৮ (০.৩১) |
৯.০ (০.৩৫) |
৭.৬ (০.৩০) |
৪.৩ (০.১৭) |
০.২ (০.০১) |
০.০ (০.০) |
০.০ (০.০) |
০.০ (০.০) |
০.০ (০.০) |
১.২ (০.০৫) |
৩.৫ (০.১৪) |
৮.৩ (০.৩৩) |
৪১.৯ (১.৬৫) |
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় | ৩.৩ | ৩.৫ | ২.৫ | ১.৩ | ০.২ | ০.০ | ০.০ | ০.০ | ০.০ | ০.৪ | ১.৬ | ২.৮ | ১৫.৬ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৪১ | ৩৮ | ৩৩ | ২৭ | ২৪ | ২৩ | ২৪ | ২৭ | ৩১ | ৩৩ | ৩৬ | ৪১ | ৩২ |
উৎস: ইসরাইল আবহাওয়া সংস্থা[7] |
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে , মহাসাগরের পানির তুলনায় ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর পার্থক্য আছে । মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড , ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড , ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে ।
এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০% । ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার ।উচ্চ প্লবতার দরুন যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে । এই আচরণ যুক্তরাষ্ট্র-এর ইউটাহ তে অবস্থিত গ্রেট সল্ট লেক এর মত
মৃত সাগর অঞ্চলটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণাস্থল হয়ে উঠেছে । এর মূলে রয়েছে হ্রদের পানিতে খনিজ দ্রব্যাদির বিপুল উপস্থিতি, বাতাসে এলার্জি উৎপাদক দ্রব্য এবং পরাগরেণুর স্বল্পতা , উচ্চ ভূ-মণ্ডলীয় চাপ, সৌর বিকিরণে অতি বেগুনি উপাদানের কম উপস্থিতি । উচ্চ বায়ুমন্ডলীয় চাপ , শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।[8]
চর্মরোগ সোরিয়াসিস( psoriasis) এর জন্য দীর্ঘসময় সূর্যস্নান বেশ উপকারী । এ অঞ্চলে অতি বেগুনি রশ্মির স্বল্পতা সূর্যস্নানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে । এছাড়া রোগটি নিরাময়ে জন্য মৃত সাগরের লবণও বেশ উপকারী বলে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় দাবী করা হয়েছে।[9]
এ হ্রদে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাঁচে না বলেই মূলত একে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে । কেবল সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায় ।[10]
মৃত সাগর তীরবর্তী পাহাড়ী অঞ্চলে উট, খরগোশ , খেকশিয়াল এমনকি চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। অতীতে জর্দান নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে প্যাপিরাস এবং পাম গাছে সমৃদ্ধ বনভূমির অবস্থান ছিল । জোসেফাস তার লেখনীতে জেরিকো কে জুদিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে উর্বরভূমি রুপে উল্লেখ করেন । রোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময় ইক্ষু , সিকামোর এবং হেনা এ অঞ্চলের উদ্ভিদ বৈচিত্রে সমৃদ্ধি এনে দেয় । জেরিকোতে বালসাম গাছের রস থেকে প্রস্তুত করা হত উন্নত মানের পারফিউম এবং সুগন্ধি । ১৯ শতকের মধ্যে জেরিকোর উর্বরতা অতীত ইতিহাসে পরিণত হয়।
মৃত সাগরের তীরবর্তী এলাকায় একাধিক ক্ষুদ্র জনবসতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যেে এইন গেদি, নেভে যোহার এবং মিজিলট রিজিওনাল কাউন্সিলের অন্তভূক্ত কালইয়া, মিজপে, শালেম ও আভনাতের ইসরায়েরী জনবসতিগুলো উল্লেখযোগ্য। এইন গেদিতে একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগার ও একাধিক হোটেল রয়েছে যেগুলো নেভে যোহারের নিকটবর্তী এইন বোকেক শহরের দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এছাড়াও ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তা ও বিশ্বের সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে ‘হাইওয়ে ৯০’ ইসরায়লী সীমানার মধ্যে উত্তর-দক্ষিণে মিচুলা শহর থেকে লেবাননের সীমান্ত ঘেঁষে দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে ৫৬৫ কি.মি. (৩৫১ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে লোহিত সাগরের তীরবর্তী মিশরের ইলাত বন্দরে গিয়ে শেষ হয়। এটি সমুদ্র সমতল থেকে ৩৯৩ মিটার নিচে অবস্থিত। মৃত সাগরের তীরে জর্ডান অধ্যসিত এলাকায় পোতাস সিটি ও সুয়েইমা সহ বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে। জর্ডানের ‘হাইওয়ে ৬৫’ উত্তর- দক্ষিণ বরাবর জর্ডান সীমানার মাঝে মৃত সাগর পার দিয়ে আকাবা বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইসরায়েলের আরাদ এর নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রধান হোটেলগুলোর নির্মাণ শুরু হয় বিশ শতকের ৬০ এর দশক থেকে। সমসাময়িককালে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ফলে জর্ডান উপকূলও ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
খ্রিষ্টীয় আমল
মৃত সাগরের কাছাকাছি গুহায় বসবাস করা হিব্রু বাইবেলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে ইস্রায়েলীয়রা কেনান আসার আগে এবং রাজা ডেভিডের সময় ব্যাপকভাবে ঘটেছিল। মৃত সাগরের ঠিক উত্তর -পশ্চিমে জেরিকো । কোথাও, সম্ভবত দক্ষিণ -পূর্ব তীরে, আদিপুস্তক গ্রন্থে উল্লিখিত শহরগুলি থাকবে যা আব্রাহামের সময়ে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে বলা হয়েছিল: সদোম এবং গোমোরা (আদিপুস্তক ১৮) এবং অন্য তিনটি "সমতল শহর", আদমাহ, জোবিন এবং জোয়ার (দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:২৩)। জোয়ার ধ্বংস থেকে রক্ষা পায় যখন ইব্রাহিমের ভাতিজা লুত সোডম থেকে জোয়ারে পালিয়ে যায় (আদিপুস্তক ১৯: ২১-২২)। ধ্বংসের আগে, মৃত সাগর ছিল একটি প্রাকৃতিক উপরিভাগে ভরা উপত্যকা, যাকে বলা হতো সিদ্দিমের উপত্যকা । রাজা ডেভিডকে শৌলের কাছ থেকে আইন গেডিতে কাছাকাছি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ইজেকিয়েল ৪৭:৮-৯ এ একটি সুনির্দিষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যে সমুদ্র "সুস্থ হয়ে সতেজ হয়ে উঠবে", যা সামুদ্রিক জীবনকে সমর্থন করতে সক্ষম একটি সাধারণ হ্রদে পরিণত হবে। জাকারিয়া ১৪:৮ -এ অনুরূপ ভবিষ্যদ্বাণী বলা হয়েছে, যা বলে যে, " জেরুজালেম থেকে জীবন্ত জল বেরিয়ে যাবে, তার অর্ধেক পূর্ব সাগরে [সম্ভবত মৃত সাগর] এবং অর্ধেক পশ্চিম সাগরে [ ভূমধ্যসাগরীয় ]।"
অ্যারিস্টটল উল্লেখযোগ্য জল সম্পর্কে লিখেছিলেন। নাবাটিনস এবং অন্যদের প্রাকৃতিক মানচিত্র আবিষ্কৃত পিচ যে ক্রমাগত পৃষ্ঠ যেখানে তারা জাল দিয়ে চাষ করা যেতে পারে বাড়ালো। মিশরীয়রা অবিচলিত গ্রাহকদের ছিল তারা পিচ ব্যবহৃত এমবালমিং প্রক্রিয়ায় নির্মিত যে মমি । প্রাচীন রোমানরা মৃত সাগরকে " পালুস অ্যাসফালাইটস" [11] (অ্যাসফাল্ট লেক) নামে জানত। মৃত সাগর ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ, যেখানে লবণ, অ্যাসফল্ট এবং কৃষিপণ্য বহনকারী জাহাজ ছিল। একাধিক নোঙ্গর সমুদ্র উভয় পক্ষের চলছিলো যার সহ আইন গদী, খিরবেট মেজিন (যেখানে একটি ধ্বংসাবশেষ হাসমোয়ান -যুগ শুষ্ক ডক অবস্থিত হয়), নুমাইরাএবং কাছাকাছি মাসাদা । [12][13] রাজা হেরোদ মৃত সাগরের পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকটি দুর্গ এবং প্রাসাদ নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল মাসাদা, যেখানে ৭০ খ্রিস্টাব্দে ইহুদি একটি ছোট গ্রুপ জেলটরা ধ্বংস পতনের পর পালিয়ে দ্বিতীয় মন্দির । CE০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জেলোটরা বেঁচে ছিল, যখন এক্স লিজিয়নের একটি অবরোধ তার 60০ জন অধিবাসীর আত্মহত্যার মাধ্যমে মারা যায়। আরেকটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ছিল মেকেরিয়াস (מכוור), ইস্টার্ন ব্যাংক, যেখানে, জোসেফাস অনুযায়ী, উপর জন ব্যাপটিস্ট করে কারাগারে পাঠায় হেরোদ এন্টিপাস এবং মারা যান। [14] এছাড়াও রোমান যুগে, কিছু এসেনী মৃত সাগরের পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করেছিল; প্লিনি দ্য এল্ডার তাদের অবস্থানকে এই শব্দ দিয়ে চিহ্নিত করে, "মৃত সাগরের পশ্চিম পাশে, উপকূল থেকে দূরে ... [উপরে] এঙ্গেদা শহর" ( প্রাকৃতিক ইতিহাস, Bk ৫.৭৩); এবং তাই এটি আজ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অনুমান, সেই একই এসেনেসগুলি কুমরানে বসতি স্থাপনকারীদের সাথে অভিন্ন এবং ২০ তম শতাব্দীতে কাছাকাছি গুহায় আবিষ্কৃত " ডেড সি স্ক্রল" তাদের নিজস্ব গ্রন্থাগার ছিল। জোসেফাস প্রাচীন বাইবেলের শহর সদোমের ভৌগোলিক সান্নিধ্যে মৃত সাগরকে চিহ্নিত করেছিলেন। যাইহোক, তিনি হ্রদটিকে তার গ্রিক নাম, অ্যাসফালাইটস দ্বারা উল্লেখ করেছিলেন। [15] ইহুদিদের বিভিন্ন সম্প্রদায় মৃত সাগরকে উপেক্ষা করে গুহায় বসতি স্থাপন করেছিল। এগুলোর পরিচিত ছিল ইসেনিস এবং কুমরান নামে। যা একটি বিশাল পাঠাগার বাম ডেড সী স্ক্রোলগুলো । [16] শহরে আইন গদী, অনেক বার উল্লেখ মিশনা উৎপাদিত, খেজুর মন্দিরের এর সুবাস এবং রপ্তানির জন্য একটি গোপন রেসিপি ব্যবহার করে। "Sodomite লবণ" মন্দিরের পবিত্র ধূপের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ ছিল, কিন্তু বলা হয়েছিল যে এটি বাড়ির ব্যবহারের জন্য বিপজ্জনক এবং অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। [17] মাসাদাকে ঘিরে রোমান শিবিরগুলি ইহুদি দাসদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যা হ্রদের আশেপাশের শহরগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। এই শহরে Ein Feshcha স্প্রিংস এবং আশেপাশের অন্যান্য মিঠাপানির স্প্রিংস থেকে পানীয় জল ছিল। [18]
জুডিয়ান মরুভূমির সাথে তার উত্তর -পশ্চিম এবং পশ্চিমে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত, মৃত সাগর ছিল পালানোর এবং আশ্রয়ের জায়গা। বাইজেন্টাইন যুগ থেকে এই অঞ্চলের দূরবর্তীতা গ্রীক অর্থোডক্স সন্ন্যাসীদের আকর্ষণ করেছিল। তাদের মঠ, যেমন ওয়াদি কেল্টে সেন্ট জর্জ এবং জুডিয়ান মরুভূমিতে মার সাবা, তীর্থস্থান ।
উনিশ শতকে জর্ডান নদী এবং মৃত সাগরটি ১৮৩৫ সালে ক্রিস্টোফার কস্টিগান, ১৮৪৭ সালে থমাস হাওয়ার্ড মলিনেক্স, ১৮৪৮ সালে উইলিয়াম ফ্রান্সিস লিঞ্চ এবং ১৮৬৯ সালে জন ম্যাকগ্রেগর [19] ডব্লিউএফ লিঞ্চের ১৯৪৯ বইয়ের সম্পূর্ণ পাঠ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান 'জর্ডান নদী এবং মৃত সাগরের অভিযান' অনলাইনে পাওয়া যায়। চার্লস লিওনার্ড ইরবি এবং জেমস ম্যাঙ্গেলস ১৮১৭-১৮ সালে ইতিমধ্যেই মৃত সাগরের তীরে ভ্রমণ করেছিলেন, কিন্তু এর জলে চলাচল করেননি। [20] গবেষকরা এবং বিজ্ঞানীরা খনিজ পদার্থ বিশ্লেষণ করতে এবং অনন্য জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করতে এসেছিলেন। ১৮৬৮ সালে মৃত সাগরের পূর্বে মালভূমিতে "মোয়াবাইট পাথর " খুঁজে পাওয়ার পর , মোসা উইলহেলম শাপিরা এবং তার সঙ্গী সেলিম আল-খৌরি জালিয়াতি করেছিলেন এবং অনুমিত "মোয়াবাইট" পুরাকীর্তির একটি সম্পূর্ণ পরিসর বিক্রি করেছিলেন এবং ১৮৮৩ সালে শাপিরা যা উপস্থাপন করেছিলেন বর্তমানে "শাপিরা স্ট্রিপস" নামে পরিচিত, চামড়ার স্ট্রিপগুলিতে লেখা একটি অনুমিত প্রাচীন স্ক্রোল যা তিনি দাবি করেছিলেন যা মৃত সাগরের কাছে পাওয়া গেছে। স্ট্রিপগুলি জালিয়াতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং শাপিরা অপমানের সাথে তার নিজের জীবন নিয়েছিল। ১৯৪০ -এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৫০ -এর দশকের গোড়ার দিকে, ১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী শত শত ধর্মীয় নথিপত্র মৃত সাগরের উত্তর -পশ্চিম তীর থেকে প্রায় এক মাইল (১.৬ কিলোমিটার) অভ্যন্তরে কুমারানের প্রাচীন বসতির কাছে গুহায় পাওয়া যায়। পশ্চিম তীর). তারা মৃত সাগর স্ক্রোলস হিসাবে পরিচিত এবং বিখ্যাত হয়ে ওঠে।বিশ্বের সর্বনিম্ন রাস্তা, হাইওয়ে ৯০, মৃত সাগরের ইসরায়েলি এবং পশ্চিম তীরের তীরে, জর্ডানের পাশে ৩৯৩ মি (১,২৮৯ ফু) সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে।
ব্রিটিশ ম্যান্ডেট পিরিয়ড সুদোম এবং গোমারাহ নামে একটি গল্ফ কোর্স ব্রিটিশরা উত্তর তীরে কালিয়ায় তৈরি করেছিল। ইসরাইল প্রথম প্রধান ইসরায়েলি হোটেলের নিকটবর্তী তৈরী করা হয়েছে অরাদ এর পাশে এবং ১৯৬০ সাল থেকে ইন বোকেক রিসোর্ট কমপ্লেক্স। মৃত সাগরের তীরে ইসরায়েলের ১৫ টি হোটেল রয়েছে, যা থেকে ২০১২ সালে মোট ২৯১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। মৃত সাগরের বেশিরভাগ ইসরায়েলি হোটেল এবং রিসর্ট দক্ষিণ তীরের ছয়-কিলোমিটার (৩.৭-মাইল) অবস্থিত[21] জর্দান জর্ডানের পাশে, নয়টি আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মৃত সাগরের পূর্ব তীরে কিং হুসেইন বিন তালাল কনভেনশন সেন্টারের কাছে সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট হোটেল, রিসোর্ট অ্যাপার্টমেন্ট সহ খোলা হয়েছে। জর্ডানের পাশে হোটেলগুলোকে ২ ২০০ রুমে উন্নীত করেছে। [22] ২২ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে, ডেড সি প্যানোরামা রাস্তাটি জর্ডানের ৪০ টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের সাথে গুগল স্ট্রিট ভিউতে লাইভ হওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[23] পশ্চিম তীর মৃত সাগর উপকূলের যে অংশটি সম্ভবত ফিলিস্তিনিরা শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করতে পারে তা প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ। বিশ্বব্যাংকের অনুমান যে এই ধরনের মৃত সাগর পর্যটন শিল্প প্রতিবছর $ ২৯০ মিলিয়ন ডলার আয় এবং ২৯০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। [21] যাইহোক, ফিলিস্তিনিরা মৃত সাগরে পর্যটন-সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগের জন্য নির্মাণ অনুমতি পেতে পারেনি। [21] বিশ্বব্যাংকের মতে, ফিলিস্তিনের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন যে এই ধরনের পারমিটের জন্য আবেদন করার একমাত্র উপায় হল অসলো চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত যৌথ কমিটির মাধ্যমে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কমিটি ২০০০ সাল থেকে নিয়মিততার কোনো ডিগ্রি পূরণ করেনি। [21]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.