Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মঞ্জুল ভার্গব (ইংরেজি: Manjul Bhargava) (আগস্ট ৮,১৯৭৪[1]) একজন কানাডীয়-মার্কিন গণিতবিদ। তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের R. Brandon Fradd প্রফেসর এবং তিনি নাম্বার থিওরির জন্য বিখ্যাত।
মঞ্জুল ভার্গব | |
---|---|
জন্ম | হ্যামিলটন,ওন্টারিও | ৮ আগস্ট ১৯৭৪
জাতীয়তা | যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়,প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | Gauss composition laws 15 and 290 theorems factorial function ranks of elliptic curves |
পুরস্কার | Fields Medal (2014) Infosys Prize (2012) Fermat Prize (2011) Cole Prize (2008) Clay Research Award (2005) SASTRA Ramanujan Prize (2005) Hasse Prize (2003) Morgan Prize (1996) Hoopes Prize (1996) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়,লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | এন্ড্রু উইলস |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | Michael Volpato Melanie Wood |
ভার্গব ২০১৪ সালে ‘ফিল্ডস মেডেল’ অর্জন করেছেন।[2] গণিতের উপর এটিই সর্বোচ্চ এবং সব থেকে সম্মানের পুরস্কার। মঞ্জুল হলেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত গণিতবিদ, যিনি এই বিরল সম্মানের অধিকারী হলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল শহরে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথমেটিক্যাল কনফারেন্স তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতি চার বছরে এক বার এই দিনেই গণিতজ্ঞদের এই বিশ্ব সম্মেলন হয়। এর আগেরটি হয়েছিল ভারতের হায়দরাবাদে। কারো বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে এই পুরস্কার দেওয়া হয় না।[2]
ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথমেটিক্যাল ইউনিয়নের তথ্যমতে, জ্যামিতিক সংখ্যার নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার করার জন্য মঞ্জুল ভার্গবকে এই মেডেলটি দেওয়া হয়েছে৷[3] বীজগণিতে নাম্বার থিয়োরি, গাউস উপপাদ্যের উচ্চতর মাত্রায় তার প্রতিপাদ্য গবেষণা বিখ্যাত। ভার্গবের এর্ডশ সংখ্যার মান হল ২।[4]
ভার্গবের পিতৃ নিবাস ছিল ভারতের জয়পুর।তবে তার জন্ম কানাডার হ্যামিলটন,ওন্টারিও তে।[5] তবে তার শৈশব কেটেছে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে।[5] তার মা মীরা ভার্গবও একজন গণিতজ্ঞ এবং বাবা একজন রসায়নবিদ। গণিতে ওঁর হাতেখড়ি মা মীরা ভার্গবের কাছে। মীরা নিউ ইয়র্কে হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক।
মঞ্জুল মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার হাইস্কুলের কম্পিউটার ও গণিতের কোর্স সম্পন্ন করেন।[6] এরপর তিনি Plainedge High School ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৯৬ সালে Harvard University তে ভর্তি হন। এবছরেই তার কৃতিত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য সম্মানজনক মরগান পুরস্কার পান। তিনি ২০০১ সালে প্রিন্সটন থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্জুলের পিএইচডি গাইড ছিলেন অ্যান্ড্রু ওয়াইলস, যিনি ১৯৯৫ সালে সমাধান করেছিলেন ‘ফার্মাস লাস্ট থিয়োরেম’ নামে এক ধাঁধাঁ। তার আগে সাড়ে তিনশো বছরেও কোন পণ্ডিত পারেননি ওই ধাঁধাঁর সমাধান করতে। [2]
গণিতের অধ্যাপক মঞ্জুল সঙ্গীতেও এক জন বিশেষজ্ঞ। বাজান সেতার, তবলা, গিটার এবং বেহালা। তবলায় জাকির হুসেনের ছাত্র মঞ্জুল কনসার্টে অংশ নিয়েছেন আমেরিকার বিভিন্ন শহরে।[7] সংস্কৃতের অধ্যাপক দাদুর কাছেই ওই ভাষায় হাতেখড়ি মঞ্জুলের। সেই সূত্রেই আগ্রহ জন্মায় প্রাচীন ভারতীয় গণিত সম্পর্কে। [8] সাম্প্রতিক কালে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন শ্রীনিবাস রামানুজনের গণিতচর্চার সাফল্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে।গণিতের সঙ্গে সাহিত্য- সংস্কৃতির এক সমন্বয় বিশ্বাস করেন মঞ্জুল।তার মতে, সংস্কৃতি ছাড়াও ভারতের প্রাচীন ইতিহ্য ও সাহিত্য থেকে এমন কিছু উপাদান তিনি পেয়েছেন, যা তাকে ২০০ বছরের জটিল সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। প্রাচীন গণিতজ্ঞ ব্রহ্মগুপ্তের অসাধারণ গণিত তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে মঞ্জুল বলেন, ভারতের সুপ্রাচীন ইতিহাস ইতিহ্যের মধ্যেও লুকিয়ে আছে গণিতের বহু জটিল সমস্যার সমাধান। পুরানের মত প্রাচীন গ্রন্থ এখনও হতে পারে আধুনিক গণিতের দিকদর্শন- এমনই মত পোষন করেন বিশ্বের শীর্ষ গণিতজ্ঞদের অন্যতম- অধ্যাপক মঞ্জুল ভার্গব।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.