Loading AI tools
নেপালের প্রধান সেনাপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভীমসেন থাপা (নেপালি: भीमसेन थापा (আগস্ট ১৭৭৫ - আগস্ট ৫, ১৮৩৯) নেপালের দ্বিতীয় এবং দীর্ঘতম মেয়াদী মুখতিয়ার (প্রধানমন্ত্রীর মতো পদ) ও নেপালের জাতীয নায়ক ছিলেন। ভীমসেন থাপা রাজা রণ বাহাদুর শাহের রাজকীয় সচিব এবং উপদেষ্টা হওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন। ভীমসেন থাপা ১৮০০ সালে রণ বাহাদুরের সাথে ভারতের বারাণসীতে নির্বাসনে বসবাস করতে গিয়েছিলেন। এই কৃতজ্ঞতার কারণেই রণ বাহাদুর শাহ নতুন সম্প্রসারিত সরকারে ভীমসেন থাপাকে কাজী (মন্ত্রীর মতো) পদে নিয়োগ করেছিলেন। ১৮০৬ সালে, যখন রণ বাহাদুর শাহ তার সৎ ভাই শের বাহাদুর শাহ কর্তৃক নিহত হন, ভীমসেন থাপা ৯৩ জনকে হত্যা করে নেপালের মুখতিয়ার (প্রধানমন্ত্রীর মতো পদ) হন। তিনি নেপালের দীর্ঘতম মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ কর্তৃক "নেপালের জাতীয় নায়কদের" মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হন।
শ্রী মুখতিয়ার জর্নেল ভীমসেন থাপা | |
---|---|
নেপালের মুখতিয়ার | |
কাজের মেয়াদ ১৮০৬ – ১৮৩৭ | |
সার্বভৌম শাসক | গীর্বাণযুদ্ধ বিক্রম শাহ রাজেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ |
পূর্বসূরী | রণবাহাদুর শাহ মুখতিয়ার পদে |
উত্তরসূরী | রণজঙ্গ পাঁডে |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বোর্লঙ, পীপল থোক গ্রাম, গোর্খা জেলা, নেপাল | আগস্ট ১৭৭৫
মৃত্যু | ৫ আগস্ট ১৮৩৯ ৬৪) ভীম মুক্তেশ্বর, কাঠমান্ডু, নেপাল | (বয়স
জাতীয়তা | নেপালি |
সম্পর্ক | মহারানি ললিত ত্রিপুরা সুন্দরি (ভাতিজি), প্র.ম মাথবরসিংহ থাপা (ভাতিজা), জঙ্গবাহাদুর রাণা (নাতি) |
সন্তান | ললিতাদেবি পাণ্ডে, জনক কুমারি পাণ্ডে এবং দীর্ঘ কুমারি পাণ্ডে[1] |
মাতা | সত্যরুপা মায়া |
পিতা | অমরসিংহ থাপা |
পুরস্কার | জাতীয নায়ক |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | নেপাল |
শাখা | নেপালি সেনাবাহিনী |
পদ | নেপালের প্রধান সেনাপতি |
কমান্ড | প্রধান সেনাপতি |
যুদ্ধ | ইংরেজ-নেপাল যুদ্ধ |
ভীমসেন থাপার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় নেপাল রাজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছিল। এ থেকে প্রমাণিত হতে পারে যে, সে সময় এই সাম্রাজ্যের সীমানা পশ্চিমে শতদ্রু নদী এবং পূর্বে তিস্তা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১৮১৪-১৮১৬ সালের বিধ্বংসী ইংরেজ-নেপাল যুদ্ধে ফলস্বরূপ নেপালকে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষর করে তার এক তৃতীয়াংশ অঞ্চল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করতে হয়েছিল। এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে নেপালে ব্রিটিশ রেসিডেন্সির স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮১৬ সালে, অল্প বয়সে রাজা গীর্বাণযুদ্ধ বিক্রম শাহের মৃত্যু, তাঁর উত্তরসূরি রাজা রাজেন্দ্র বিক্রম শাহ অল্প বয়স হওয়ার কারনে রানী ললিত ত্রিপুরা সুন্দরী (রণবাহাদুর শাহের কনিষ্ঠ স্ত্রী) এবং কিছু সভাসদের সমর্থনের কারণে, ভীমসেন থাপা ব্রিটিশ যুদ্ধে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতায় ছিলেন।
১৮৩২ সালে তাঁর সমর্থক রানী ললিত ত্রিপুরা সুন্দরীর মৃত্যু এবং রাজা রাজেন্দ্র বিক্রম শাহের যৌবনের পরে ভীমসেন থাপার শক্তি স্থিতিশীল হয়। ভীমসেন থাপাকে ১৮০৪ সালে দামোদর পাঁডের হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিরোধী সভাসদদের নানা ষড়যন্ত্র ও কার্যকলাপের কারণে ভীমসেন থাপা অবশেষে ১৮৩৯ সালে কারারুদ্ধ হন এবং সেখানেই তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে তার মৃত্যুর পরও অভ্যন্তরীণ বিতর্ক কম হয়নি এবং এর ফলে রাণা শাসনের উত্থান ঘটে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.