ফাতিমা বিনতে হুজাম (আরবি: فَاطِمَة بِنْت حُزَام), যিনি উম্মুল বানিন (আরবি: أُمّ ٱلْبَنِين, অনুবাদ'ছেলেদের মা') নামে বেশি পরিচিত, তিনি ছিলেন আলী ইবনে আবি তালিব এর স্ত্রী। আলি ছিলেন চতুর্থ রাশিদুন খলিফা (শা. 656–661) এবং প্রথম শিয়া মতবাদে ইমাম। তিনি বনু কিলাব গোত্রের সদস্য ছিলেন [1] যা কায়েস গোত্রের অন্তর্গত। আলির প্রথম স্ত্রী ফাতিমা,যিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ এর কন্যা ছিলেন, তার মৃত্যুর (৬৩২) পরে উম্মুল বানিন আলিকে বিয়ে করেন।[1] তিনি আলিকে চার পুত্র সন্তান উপহার দেন, যারা সবাই কারবালার যুদ্ধ (৬৮০) তে শহীদ হন।[1]

দ্রুত তথ্য ফাতিমা বিনতে হুজাম, সমাধি ...
ফাতিমা বিনতে হুজাম
فَاطِمَة بِنْت حُزَام
সমাধিআল-বাকি কবরস্থান, মদিনা, সৌদি আরব
পরিচিতির কারণআলী ইবনে আবি তালিব এর স্ত্রী
আব্বাস ইবনে আলি এর মা
উপাধিأُمّ ٱلْبَنِين (আক্ষ.'ছেলেদের মা')
দাম্পত্য সঙ্গীআলি
সন্তান
পিতা-মাতা
  • হুজাম (পিতা)
পরিবার
তালিকা
  • বানু কিলাব (জন্মসূত্রে)
  • বানু হাশিম (বিবাহসূত্রে)
বন্ধ
উম্মুল বানিনের কবর আল-বাকি কবরস্থানে

জীবনী

তার জন্মতারিখ অজানা।[1] শিয়া ইতিহাসবিদ আবু আল-ফারাজ আল-ইসফাহানি তার মাকাতিল আল তালিবিইন বইয়ে আলীর বংশধরদের জীবনী লেখেন, সেখানে তিনি আলির সাথে তার বিয়ের কিছু তথ্য প্রদান করেছেন। তার তথ্য মতে, আলির ভাই আকিল ফাতিমা বিনতে হুজামকে আলির কাছে পরিচয় করিয়ে দেন, কারণ তার গোত্র ছিল বীরত্বের জন্য বিখ্যাত। আশা করা হয়েছিল যে, তিনি আলিকে সাহসী সন্তান উপহার দেবেন। এই বিয়ের ফলে তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন: আব্বাস, আবদুল্লাহ, জাফর এবং উসমান। ফাতিমা বিনতে হুজামের একটি কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার ছেলেদের বীরত্বের কারণেই তাকে উম্মুল বানিন (অর্থ: ছেলেদের মা) বলা হতো। এই চার পুত্র তাদের সৎভাই হুসাইন ইবনে আলি এর সাথে কারবালার যুদ্ধ (৬৮০) এ লড়াই করেন এবং তার সাথে শহীদ হন। যখন উম্মুল বানিন কারবালায় তাদের মৃত্যুর সংবাদ পান, তখন তিনি বলেছিলেন যে, তিনি তার সন্তানদের এবং পৃথিবীর সমস্ত কিছু কুরবানি দিতেন, যদি হুসাইন আবার জীবিত থাকতেন। শিয়া পণ্ডিত ইউসফি-ওশকুরি এটিকে তার আহলে বাইত অর্থাৎ মুহাম্মদের পরিবারের প্রতি তার গভীর ভক্তির নিদর্শন হিসেবে দেখেন।[1]কারবালা থেকে ফেরার পর, জয়নব বিনতে আলী ব্যক্তিগতভাবে উম্মুল বানিনের কাছে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন। তিনি নিয়মিত মদিনার আল-বাকি কবরস্থান এ যেতেন তার নাতি (উবাইদুল্লাহ) যিনি আব্বাসের পুত্রদের সাথে শোক প্রকাশ করতেন। তার কবিতা শুনে সেখানকার লোকদের চোখে অশ্রু আসতো। এমনকি উমাইয়া মারওয়ান ইবনে হাকাম এরও চোখে পানি এসে যেত।[1] তিনি আল-বাকি কবরস্থানে সমাহিত আছেন,তবে তার মৃত্যুর সাল অজানা[1]

শিয়া সংস্কৃতি

বিশেষ করে ইরান-এ শিয়া নারীরা উম্মে আল-বানিনের কাছে তাওয়াসসুলের দোয়া করে,তার আত্মাকে তাদের প্রার্থনার সঙ্গে যুক্ত করার অনুরোধ জানায়। বিশেষ করে তারা যখন চরম প্রয়োজনের মধ্যে থাকে বা কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরার জন্য সাহায্য চায়।[1]

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.