জেনারেল প্রাণ নাথ থাপার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান ছিলেন ১৯৬১ সালের ৮ মে থেকে ১৯৬২ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।[1]

দ্রুত তথ্য জেনারেলপ্রাণ নাথ থাপার, সেনাবাহিনী প্রধান ...
জেনারেল
প্রাণ নাথ থাপার
Thumb
সেনাবাহিনী প্রধান
কাজের মেয়াদ
৮ মে ১৯৬১  ১৯ নভেম্বর ১৯৬২
পূর্বসূরীজেনারেল কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়া
উত্তরসূরীজেনারেল জয়ন্ত নাথ চৌধুরী
আফগানিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
আগস্ট ১৯৬৪  ১ জানুয়ারী ১৯৬৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯০৬-০৫-০৮)৮ মে ১৯০৬
মৃত্যু২৩ জানুয়ারি ১৯৭৫(1975-01-23) (বয়স ৬৮)
হোয়াইট গেটস, ছত্রপুর, নতুন দিল্লী
দাম্পত্য সঙ্গীবিম্লা থাপার
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য ব্রিটিশ ভারত
 ভারত
শাখা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী
 ভারতীয় সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯২৬ - ১৯ নভেম্বর ১৯৬২
পদজেনারেল
ইউনিট ১ম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট
কমান্ড সেনাবাহিনী প্রধান
ওয়েস্টার্ন কমান্ড
সাউদার্ন কমান্ড
১৬১ ভারতীয় পদাতিক ব্রিগেড
১ম ব্যাটেলিয়ন, ১ম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট
যুদ্ধদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ভারত-চীন যুদ্ধ
বন্ধ

সৈনিক জীবন

লাহোরের সরকারী কলেজ থেকে পাশ করার পর প্রাণ ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট বিদ্যাপীঠে যোগদান করেন এবং ওখান থেকে ১৯২৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হন। তার ব্যাচমেটদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সেনাপ্রধান কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়াও ছিলেন।[2] প্রাণ কমিশন পাবার পর ব্রিটেনেই ছিলেন এবং তার পরের বছর ভারতে ব্রিটিশ সৈনিকদের দ্বারা গঠিত একটি ব্যাটেলিয়নে নিয়োগ পান। ১৯২৭ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'প্রকৃত' কর্মকর্তা হওয়ার সম্মান অর্জন করেন অর্থাৎ তার কমিশন নিয়মিত করা হয়।[3] ৪ মে ১৯২৮ তারিখে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পান।[4] তিনি তার চাকরি জীবনের প্রথম ১০ বছর ১ম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটেলিয়নে কাটান, এবং বর্তমান পাকিস্তানস্থিত 'কোয়েটা স্টাফ কলেজ' এ স্টাফ কোর্স করেন, এছাড়াও তিনি ব্রিটেনের 'মিনলি ম্যানোর' এলাকায় পদাতিক যুদ্ধ বিষয়ক একটি কোর্স করেন।[5] ১৯৩৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ক্যাপ্টেন হন।[6]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে তিনি বার্মায় ছিলেন এবং পরে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইতালীতে যান। ১৯৪২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি একটি ব্রিগেডের ব্রিগেড-মেজর হিসেবে দায়িত্ব পান।[7] ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ তারিখে তিনি মেজর হন এবং ১৯৪৫ সালে সহকারী সামরিক সচিব পদে নিয়োগ পান।[8] ১৯৪৬ সালে তিনি ১ম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটেলিয়নের (তার কমিশনের ইউনিট) অধিনায়কত্ব করেন, ব্যাটেলিয়নটিকে তখন ইন্দোনেশিয়াতে পাঠানো হয়েছিলো এবং পরে পূর্ববঙ্গে ১৬১ পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। ভারত বিভাজনের সময় প্রাণ সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে মিলিটারি অপারেশন্স এন্ড ইন্টেলিজেন্স পরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন।

১৯৪৭ সালের নভেম্বরে প্রাণ মেজর-জেনারেল পদবীতে উন্নীত হন। কয়েক মাস তিনি চীফ অব দ্যা জেনারেল স্টাফ এবং পরে ১৯৪৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিলিটারি সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন; এই মাসেই তিনি মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি একটি পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়কত্ব করেন এবং ঐ বছরই লেফটেন্যান্ট-জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে একটি কোরের অধিনায়ক হন। ১৯৫৫ সালে তিনি লন্ডনের 'ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজ' এ পড়ার সুযোগ পান এবং ওখান থেকে পড়ে পাশ করে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ড এর অধিনায়ক (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ) হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৬১ সালের ৮ মে তিনি তারই স্যান্ডহার্স্ট কোর্সমেট জেনারেল কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়া'র কাছ থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব বুঝে নেন। তিনি রাজপুতনা রাইফেলসের 'কর্নেল অব দ্যা রেজিমেন্ট' এর সম্মান পেয়েছিলেন।

চীন-ভারত যুদ্ধ

১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরাজয়ের পর জেনারেল প্রাণ সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন ১৯ নভেম্বর ১৯৬২ তারিখে।

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.