Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির ভিত দেশটিকে ক্রমশঃ বৈশ্বিক অঙ্গনে একটি নতুন শিল্পায়ত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে রফতানী পণ্যের উপর নির্ভরশীল। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশই রফতানী থেকে আসে। ২০১২ সালে থাইল্যান্ডের জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মোতাবেক জানা যায়, মোট জিডিপি ছিল ১১.৩৭৫ ট্রিলিয়ন বাত।[18] থাই অর্থনীতি ৬.৫% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.০২%।[5] মোট জিডিপি’র ০.৭% উদ্বৃত্ত থাকছে।[15] থাই অর্থনীতি ৩.৮-৪.৩% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।[19] ২০১৩ সালের প্রথমার্ধ্বে ৪.১% বৃদ্ধি পায়।[19]
মুদ্রা | থাই বাত (THB) |
---|---|
অর্থবছর | ১ অক্টোবর - ৩০ সেপ্টেম্বর |
বাণিজ্যিক সংস্থা | ডব্লিউটিও, এপেক, আইওআর-এআরসি, আসিয়ান |
পরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৬৭.২ মিলিয়ন (জুলাই, ২০১৪)[1] |
জিডিপি | US$ ১.০৫৪ ট্রিলিয়ন (পিপিপি; ২০১৫) US$ ৩৯৭.৪৭৫ বিলিয়ন (Nominal; ২০১৫ প্রাক্কলন)[2] |
জিডিপি ক্রম | ৩২তম (nominal) / ২২তম (পিপিপি) (আইএমএফ, ২০১৫) |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | ০.৩% (২০১৫)[3] |
মাথাপিছু জিডিপি | US$১৫,৩১৯ (পিপিপি; ২০১৫) US$৫,৭৭১ (Nominal.)[2] |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষি (৮.৪%), শিল্প (৩৯.২%), সেবা (৫২.৪%) (২০১২)[4] |
মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) | ৩.০২% (Headline) (২০১২)[5] ২.০৯% (Core) (২০১২)[5] |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | ১৩.১৫% (২০১১)[6] |
০.৪৮৪ (আয়) (২০১১)[6] ০.৩৭৫ (ব্যয়) (২০১১)[6] | |
শ্রমশক্তি | ৩৯.৪১ মিলিয়ন (২০১২)[7] |
বেকারত্ব | ০.৯% (২০১৪)[8] |
প্রধান শিল্পসমূহ | অটোমোবাইল ও গাড়ীর যন্ত্রাংশ (১১%), আর্থিক সেবা (৯%), বৈদ্যুতিক মালামাল ও যন্ত্রাংশ (৮%), পর্যটন (৬%), সিমেন্ট, অটো ম্যানুফেকচারিং, ভারী ও হাল্কা শিল্প কারখানা, যন্ত্র, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ, আসবাবপত্র, প্লাস্টিক, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, কৃষি উপকরণ, পানীয়, তামাক |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ক্রম | ১৮তম[9] |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | US$২২৯.১ বিলিয়ন (২০১৩)[10] |
রপ্তানি পণ্য | টেক্সটাইল, ফুটওয়্যার, মৎস উৎপাদন, চাউল, রাবার, অলঙ্কার, অটোমোবাইল, কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিক মালামাল |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | China ১১.৭% Japan ১০.২% United States ৯.৯% Hong Kong ৫/৭% Malaysia ৫.৪% Indonesia ৪.৯% Singapore ৪.৭% Australia ৪.৩% (২০১২ প্রাক্কলন)[11] |
আমদানি | US$২২৩ বিলিয়ন (২০১৩)[10] |
আমদানি পণ্য | প্রধান ও অন্তর্বর্তীকালীন মালামাল, কাঁচামাল, মালামাল, জ্বালানী |
প্রধান আমদানি অংশীদার | Japan ২০.০% China ১৪.৯% United Arab Emirates ৬.৩% Malaysia ৫.৩% United States ৫.৩% (২০১২ প্রাক্কলন)[12] |
এফডিআই স্টক | US$২০৮.৩ বিলিয়ন (২০১৪)[13] |
মোট বৈদেশিক ঋণ | US$১৩৪,১৮০ মিলিয়ন (জানুয়ারি, ২০১৩)[14] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | জিডিপি’র ৪৩.৩% (কিউ১/২০১৩)[15] |
রাজস্ব | THB২,১৫৭.৬ বিলিয়ন (২০১৩)[15] |
ব্যয় | THB২,৪০২ বিলিয়ন (২০১৩)[15] |
অর্থনৈতিক সহযোগিতা | নেই |
ঋণ পরিশোধে ঝুঁকির মূল্যায়ন |
|
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | US$১৬৮.২ বিলিয়ন (১৮ জুলাই, ২০১৪)[17] |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
শিল্পায়ত ও সেবা খাতই থাইল্যান্ডের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রধান চালিকা শক্তি। এরপরই কৃষি, ব্যবসা, যোগাযোগ খাতে রয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো ও খনি খাত দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও, আর্থিক, শিক্ষা, হোটেল ও রেস্তোঁরা খাতে দেশের জিডিপিতে ভূমিকা রাখছে ২৪.৯%।[4]
‘শ্যাম’ নামে পরিচিত থাইল্যান্ড শিল্পায়নের পূর্বে বিদেশীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। শুরুর দিকে পারস্য, আরব দেশ, ভারত ও চীনের বণিকদের সাথে অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলে। আয়ুথ্যদের উত্থানে ১৪শ শতকে চীনাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ও রাজ্যটি এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
১৯শ শতকে রাজ্যের রাজধানী ব্যাংককে স্থানান্তর করা হলে বিদেশী বাণিজ্য বিশেষতঃ চীনাদের সাথে সরকারের গভীর সম্পর্ক লক্ষণীয়। চীনা বণিকরা ব্যবসার জন্য আসলেও অনেকেই দেশে বসতি গড়ে ও আনুষ্ঠানিক পদ গ্রহণ করে।
১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়। মার্কিন বিনিয়োগ হ্রাস পায়, বাজেট ঘাটতি দেখা দেয়, তেলের ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। ঘরোয়া রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে কম্বোডিয়ায় ভিয়েতনামীদের আগ্রাসনের সূচনা ঘটে। এসময় সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর বিপক্ষে থাইল্যান্ডকে মুখোমুখি হতে হয়। তিনটি সমাজতান্ত্রিক দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ও জেনারেল নে উইনের সাম্যবাদী বার্মা সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে রফতানী ও পর্যটন খাতকে দাঁড় করানো হয় যা অদ্যাবধি থাই অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।[20]
ধান দেশের প্রধান খাদ্য শস্য। দীর্ঘদিন দেশটি চাউল রফতানীতে শীর্ষস্থানে থাকলেও সাম্প্রতিককালে ভারত ও ভিয়েতনামের কাছ থেকে পিছিয়ে পড়ে।[21]
থাইল্যান্ড বিশ্বের সর্বাধিক চাউল রপ্তানীকারক দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কৃষিখাতে ৪৯% থাই নাগরিক কর্মরত রয়েছেন।[22] ১৯৬০-এর দশকে শিল্পায়ত অর্থনীতি থেকে দূরে সরে দেশটি কৃষিখাতের দিকে মনোনিবেশ ঘটায়।[22] ১৯৮০ সালে কৃষিতে ৭০% লোক জড়িত ছিল।[22] ২০০৮ সালে কৃষি, বন ও মৎস্যখাত থেকে মোট জিডিপি’র ৮.৪% আসে। গ্রামীণ এলাকায় গড়ে উঠা খামারে অর্ধেক লোক নিয়োজিত।
চিংড়ি রপ্তানীতেও দেশটি এগিয়ে রয়েছে। অন্যান্য শস্যের মধ্যে নারিকেল, রাবার, সয়াবিন, ইক্ষু উৎপাদন অন্যতম।[23] বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক খাদ্য রফতানী করে থাকে। থাই হিমায়িত খাদ্য সংস্থার মতে, ২০১৪ সালে ৩ বিলিয়ন ডলারের মাছ রফতানী করে। এ খাতে তিন লক্ষাধিক ব্যক্তি সম্পৃক্ত রয়েছেন।[24]
ইন্দোনেশিয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের অবস্থান।[18] ২০১২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৫,৩৯০ মার্কিন ডলার। কিন্তু, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই ও মালয়েশিয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে মাঝারি সারিতে অবস্থান করছে। ১৯ জুলাই, ২০১৩ তারিখে থাইল্যান্ডে ১৭১.২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষিত আছে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সিঙ্গাপুরের পর দ্বিতীয় স্থানে।[17] এছাড়াও, সিঙ্গাপুরের পর বহিঃবাণিজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।[25]
সামাজিক ও উন্নয়নের সূচকে অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাংক দেশটিকে অন্যতম ‘বৃহৎ উন্নয়নের সফলতার গল্প’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।[26] মানব উন্নয়ন সূচকে দেশের অবস্থান ৮৯তম ও এনইএসডিবি’র নতুন দারিদ্র নির্দেশিকায় উল্লিখিত বিষয়ে ১৯৮৮ সালে যেখানে ৬৫.২৬% জাতীয় দারিদ্র রেখা ছিল তা ২০১১ সালে ১৩.১৫% এসে দাঁড়িয়েছে।[27] ২০১৪ সালের প্রথমদিকে ০.৯% বেকারত্বের হার ছিল।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.