ত্রিশ বছরের যুদ্ধ (ইংরেজি ভাষায়: Thirty Years' War) (১৬১৮ - ১৬৪৮) প্রধানত জার্মানিতে সংঘটিত হয়েছিল যদিও বিভিন্ন সময়ে ইউরোপের প্রায় সকল দেশই এর সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত ছিল। এটি ইউরোপের ইতিহাসে দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ। ৩০ বছর ধরে একটানা চলা এই যুদ্ধকে পৃথিবীর আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
দ্রুত তথ্য ৩০ বছরের যুদ্ধ, তারিখ ...
৩০ বছরের যুদ্ধ |
---|
জাক কাল্লোটের অঙ্কিত লে গ্র্যান্দেস মিসেরেস দে লা গেরে (যুদ্ধের অসহনীয় দুর্দশা), ১৬৩২। |
তারিখ | ১৬১৮–১৬৪৮ |
---|
অবস্থান | ইউরোপ (প্রধানত বর্তমানে জার্মানি) |
---|
ফলাফল |
ভেস্টফালিয়ার শান্তি
- হাবসবুর্গের একাধিপত্য হ্রাস
- বোরবন রাজবংশের উত্থান
- সুয়েডীয় সম্রাজ্যের উত্থান
- সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়[1]
- পুণ্য রোমান সম্রাজ্যের বিকেন্দ্রীকরণ
- ১৬৫৯ পর্যন্ত ফ্রাংকো-স্পেনীয় যুদ্ধ
- ক্যাথলিক চার্চের শক্তি ও প্রভাবের উল্লেখযোগ্য অবনতি
|
---|
|
বিবাদমান পক্ষ |
---|
প্রোটেস্ট্যান্ট রাষ্ট্র ও মিত্রবৃন্দ
সুইডেন
ফ্রান্স[2]
বোহেমিয়া
ডেনমার্ক-নরওয়ে (১৬২৫-২৯)[3]
স্যাক্সনি
United Provinces
ইলেক্টোল পাল্যাটিনাট
ব্রুন্সুইক-লুনেবুর্গ
ইংল্যান্ড[4]
স্কটল্যান্ড
ব্রান্ডেনবুর্গ-প্রুশিয়া
ট্রানসিলভানিয়া
হাঙ্গেরিয় হাবসবুর্গ-বিরোধী বিদ্রোহী[5]
Zaporozhian Cossacks[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উসমানীয় সাম্রাজ্য |
রোমান ক্যাথলিক রাষ্ট্র ও মিত্রবৃন্দ
পুণ্য রোমান সম্রাজ্য[6]
- ক্যাথলিক লীগ
- অস্ট্রিয়া
- বাভারিয়া
স্পেন ও তার অধিকৃতরা
ডেনমার্ক-নরওয়ে (১৬৪৩-১৬৪৫)[3] |
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী |
---|
গুস্তাভুস II এডোলফুস †
জোহান বানের
লেনার্ট টোস্টেন্সোন
কার্ল গুস্তাফ রাঞ্জসl
চার্লস X গুস্তাভ
ফ্রান্সের লুইস XIII
কার্ডিনাল রিচলীউ
মাকি দে ফিউকুয়াস †
লুইস II দে বোরবন
ভিকোমটি দে টুরেন
ফ্রেদ্রিক V
জিন্দ্রিচ মাটিয়াস থারন
আনহাল্ট-বেনবুর্গের ক্রিস্তিয়ান I
ডেনমার্কের ক্রিস্তিয়ান IV
বের্নহার্ড অফ স্যাক্স-ভাইমার
স্যাক্সনির ইয়োহান গেয়র্গ I
মোরিস অফ নাসাউ
পিয়েত পিয়েতেরসজোন হেইন
উইলিয়াম অফ নাসাউ
ফ্রেদ্রিক হেন্ড্রিক অফ অরেঞ্জ
মার্টেন ত্রোম্প
আর্নস্ট কাসিমির
হেন্ড্রিক কাসিমির I
বাকিংহামের ডিউক
লেভেনের আর্ল
গাব্রিয়েল বেথলেন
আর্নেস্ট ফন ম্যান্সফেল্ড
ক্রিস্টিয়ান অফ ব্রুন্সউক
বোহডান খমেলন্যস্ক্য[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ইয়োহান সেক্লেস, কাউন্ট অফ টিলি †
আলব্রেশ্ট ভন ভালেনস্টাইন
ফার্দিনান্দ II
ফার্দিনান্দ III
ফ্রান্ত্জ ভন মার্সি †
ইয়োহান ভন ওয়ের্থ
গটফ্রিড হাইনরিখ গ্রাফ জু পাপেনহেইম
ম্যাক্সিমিলিয়ান I
স্পেনের ফিলিপ IV
কাউন্ট-ডিউক অফ ওলিভারস
গোনসালো ফের্নান্দেজ দে কোরডোবা
আমব্রোসিও ইস্পিনোলা
কার্ডিনাল-ইনফান্তে ফার্দিনান্দ
গোমেজ সুয়ারেজ দে ফিগুয়েরোয়া
ফাদ্রিক ভ্যারেজ দে টোলেডো
আঁতনিউ দে ওকেন্দো
ফ্রান্সিসকো দে মেলো
দিয়েগো ফেলিপেজ দে গুসমান |
শক্তি |
---|
৬৬১,০০০ যোদ্ধা:
- ১৫০,০০০ সুয়েডীয়
- ৫০,০০০ ডেনীয় ও নরওয়েজীয়
- ৭৫,০০০ ডাচ
- আনুমানিক: ১০০-১৫০,০০০ জার্মান
- ১৫০,০০০ ফরাসি
- ২০-৩০,০০০ হাঙ্গেরীয় (হাবসবুর্গ-বিরোধী হাঙ্গেরীয় বিপ্লবী)
- ৬,০০০ ট্রান্সিলভানীয়[7]
|
৪৫০,০০০ যোদ্ধা:
- ৩০০,০০০ স্পেনীয় (স্পেনীয় নেদারল্যান্ড ও ইতালি সহ)
- ১০০-২০০,০০০ জার্মান
- আনুমানিক: ২০,০০০ হাঙ্গেরীয় ও ক্রোয়েশীয় অশ্বারোহী[8]
|
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি |
---|
৮,০০০,০০০, বেসামরিক মানুষ সহ।[9] |
বন্ধ
টেমপ্লেট:Campaignbox Thirty Years' War
টেমপ্লেট:Campaignbox Palatinate campaign
টেমপ্লেট:Campaignbox Anglo–Spanish War (1625–1630)
যুদ্ধের উৎপত্তি এবং অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা বেশ কঠিন এবং একটিমাত্র বিষয়কে যুদ্ধের কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করাও যায় না। প্রাথমিকভাবে এটি ছিল পুণ্য রোমান সম্রাজ্যের প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ক্যাথলিকদের মধ্যকার একটি ধর্মযুদ্ধ যদিও সম্রাজ্যের মধ্যকার রাজনীতি নিয়ে বিরোধ এবং শক্তির ভারসাম্যেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাতে। ধীরে ধীরে এটি আরও সাধারণ যুদ্ধে রূপ নেয় যাতে ইউরোপের অধিকাংশ শক্তি অংশ নিতে বাধ্য হয়।[10][11] এই সাধারণ পর্যায়ে যুদ্ধে ধর্মের চেয়েও অনেক বড় হয়ে দেখা দেয় ইউরোপের প্রধান শক্তি হওয়ার জন্য ফ্রান্স-হাবসবুর্গ বিরোধ যার ফলশ্রুতিতে ফ্রান্স ও হাবসবুর্গ শক্তির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।[12]
ত্রিশ বছরের যুদ্ধের একটি বড় প্রভাব ছিল অনেক বড় বড় অঞ্চল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া যার কারণ ছিল তথাকথিত বেল্লুম সে ইপসুম আলেত (Bellum se ipsum alet), অর্থাৎ অধিকৃত অঞ্চলের মানুষদের সম্পত্তি দিয়ে সৈন্যদের ভরণপোষণ ও যুদ্ধ অর্থায়ন। লাতিন ভাষায় বেল্লুম সে ইপসুম আলেত এর অর্থ "যুদ্ধ নিজেই নিজের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে"। দুর্ভিক্ষ ও রোগশোক বোহেমিয়া, নিম্ন অঞ্চলসমূহ এবং ইতালির মত অঞ্চলগুলোর জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিল। দেউলিয়া হয়েছিল যুদ্ধরত অধিকাংশ শক্তি। প্রতিটি সেনাবাহিনীর মধ্যকার রেজিমেন্টগুলো ভাড়াটে ছিল না অর্থাৎ অর্থের জন্য তারা দল পরিবর্তন করতো না, কিন্তু রেজিমেন্টের মধ্যকার সৈন্যদের অধিকাংশই ছিল ভাড়াটে। তাছাড়া সে সময়কার সেনাবাহিনীর অর্থায়নের প্রক্রিয়ার কারণে নিয়মানুবর্তিতার ঘাটতি ঘটেছিল। তখন সেনাবাহিনীগুলোর অর্থ আসতো মূলত লুট করা সম্পত্তি এবং অধিকৃত অঞ্চল থেকে জোরপূর্বক আদায়কৃত সম্মানী থেকে। এ কারণে অধিকৃত অঞ্চলের মানুষদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। যুদ্ধের অনেকটা সময় ধরে কিছু বিতর্কের অবসান হয়নি। অবশেষে ত্রিশ বছরের যুদ্ধ শেষ হয় ওজনাব্র্যুক এবং ম্যুনস্টার এর চুক্তির মাধ্যমে যা ছিল বৃহত্তর ভেস্টফালিয়ার শান্তির অংশ।[13]
George Ripley, Charles Anderson Dana, The American Cyclopaedia, New York, 1874, p. 250, "...the standard of France was white, sprinkled with golden fleur de lis...". * The original Banner of France was strewn with fleurs-de-lis. *:on the reverse of this plate it says: "Le pavillon royal était véritablement le drapeau national au dix-huitième siecle...Vue du chateau d'arrière d'un vaisseau de guerre de haut rang portant le pavillon royal (blanc, avec les armes de France)." "Flag"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।: "The oriflamme and the Chape de St Martin were succeeded at the end of the 16th century, when Henry III., the last of the house of Valois, came to the throne, by the white standard powdered with fleurs-de-lis. This in turn gave place to the famous tricolour." France entered the war in 1635.
1625–1629. Aligned with the Catholic Powers 1643–1645.
At war with Spain 1625–30 (and France 1627–29).
Scores Hungarians was fall into line with army of Gabriel Bethlen in 1620. Ágnes Várkonyi: Age of the Reforms, Magyar Könyvklub publisher, 1999. আইএসবিএন ৯৬৩ ৫৪৭ ০৭০ ৩
"Flag"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।: "The Austrian imperial standard has, on a yellow ground, the black double-headed eagle, on the breast and wings of which are imposed shields bearing the arms of the provinces of the empire. The flag is bordered all round, the border being composed of equal-sided triangles with their apices alternately inwards and outwards, those with their apices pointing inwards being alternately yellow and white, the others alternately scarlet and black ." Also, Whitney Smith, Flags through the ages and across the world, McGraw-Hill, England, 1975 আইএসবিএন ০-০৭-০৫৯০৯৩-১, pp.114 – 119, "The imperial banner was a golden yellow cloth...bearing a black eagle...The double-headed eagle was finally established by Sigismund as regent...".
Gabriel Bethlen's army numbered 5,000 Hungarian pikeman and 1,000 German mercenary, with the anti-Habsburg Hungarian rebels numbered together approx. 35,000 men. László Markó: The Great Honors of the Hungarian State (A Magyar Állam Főméltóságai), Magyar Könyvklub 2000. আইএসবিএন ৯৬৩ ৫৪৭ ০৮৫ ১
László Markó: The Great Honors of the Hungarian State (A Magyar Állam Főméltóságai), Magyar Könyvklub 2000. আইএসবিএন ৯৬৩ ৫৪৭ ০৮৫ ১
Norman Davies, Europe, p.568
Wilson, Peter. "Europe's Tragedy". Penguin, 2009, p.735-755