ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
তামান্না ভাটিয়া[ক] (সিন্ধি: تمنا ڀاٽيا, হিন্দি: तमन्ना भाटिया, উচ্চারিত [t̪əmənːɑː bʱaːʈɪjɑː] (; জন্ম: ২১শে ডিসেম্বর ১৯৮৯) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত )তেলুগু ও তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি চাঁদ সা রোশন চেহরা ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং একই বছর তেলুগু ও তামিল ছবিতে কাজ শুরুর আগে ইন্ডিয়ান আইডম প্রথম আসরের বিজয়ী অভিজিত সাবন্তের ‘আপকা অভিজিত’ অ্যালবামের ‘লফ্জোঁ মেঁ’ নামক একটি গানে তাকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। সে বছর শ্রী ছবিটি দিয়ে প্রথমবারের মতন তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তী বছর তিনি তার প্রথম তামিল ছবি কেদিতেও নাম লেখান।[১][২]
তামান্না ভাটিয়া | |
---|---|
জন্ম | বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত | ২১ ডিসেম্বর ১৯৮৯
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ২০০৫–বর্তমান |
২০০৭ সালে তিনি কলেজ জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তেলুগু ছবি হ্যাপি ডেজ ও তামিল ছবি কল্লূরী নামের নাট্যচিত্রেও অভিনয় করেন। তার কাজগুলো হলো তামিল ছবি অয়ন (২০০৯), পাইয়া (২০১০) এবং সিরুথাই (২০১১)। ২০১১ সালে তিনি ১০০% লাভ (২০১১) করে তেলুগু ছবিতে ফিরে আসেন। তার অন্যান্য ছবিগুলো হলো রাছা (২০১২), ক্যামেরামান গঙ্গা থো রামবাবু (২০১২), থাডাকা (2013), আগাডু (২০১৪), বাহুবলীঃ দ্য বিগিনিং, বেঙ্গল টাইগার (২০১৫),ওপিরি (২০১৬) এবং 'বাহুবলী ২ঃ দ্য কনক্লুশন (২০১৭)। অতঃপর তিনি নিজেকে তেলুগু ছবিতে একজন সমসাময়িক অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
তামান্না ভাটিয়া ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ সালে মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারতে সন্তোষ ও রজনীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার বড় ভাই হলেন আনন্দ। তাঁর পিতা হলেন একজন ডায়মন্ড ব্যবসায়ী। তিনি হলেন একজন সিন্ধি বংশধর।[২] তিনি তার স্কুল জীবন শেষ করেন ম্যাকেঞ্জি কুপার এডুকেশনাল ট্রাস্ট স্কুল, জুহু, মুম্বাই থেকে। পরে তিনি তার নাম গণনাবিদ্যা (নুমেরোলজি) অনুসারে কিছুটা পরিবর্তন করে ‘তামান্নাহ্’ রাখেন।[৩][৪] তিনি ১৩ বছর বয়স থেকে কর্মজীবন শুরু করেন এবং স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে একটি মূল চরিত্র করেন, যা তাঁকে পরিচিতি প্রদান করেন এবং পরে মুম্বাইয়ের পৃৃৃৃথ্বী থিয়েটারে এক বছর কাজ করেন। ২০০৫ সালে প্রকাশিত ইন্ডিয়ান আইডল বিজয়ী অভিজিত সাওয়ান্তের ‘আপ্কা অভিজিত’ এ্যালবামের ‘লাফ্জো মে’ নামের গানেও তাঁকে দেখা যায়।[৫]
তামান্না ভাটিয়া ২০০৫ সালে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে এবং নায়িকা হিসেবে চান্দ সা রোশান চেহ্রাতেই অভিনয় করেন। পরে ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে বক্স অফিসে সফলতা পেতে ব্যর্থ হয়।[৬] একই বছরে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্রে তার প্রথম তেলুগু ছবি ‘শ্রী’ করেন, পরের বছর ২০০৬ সালে তামিল ছবি কেদি করেন। যদিও ছবিদ্বয় বাণিজ্যিকভাবে আলোর মুখ দেখেনি,[৬] তথাপি তাঁর অভিনয় কর্ম তাঁকে অনেক প্রশংসা এনে দেয়।
২০০৯ সালে তিনি তামিল ফিল্ম পাডিক্কাদাভানে অভিনয় করেন, মিশ্র পর্যালোচনা সত্ত্বেও প্রশংসা পান। তিনি কনচেম ইশতাম কনচেম কাশতাম -এও অভিনয় করেছিলেন, একটি চলচ্চিত্র যা সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল কিন্তু বক্স অফিসে শুধুমাত্র মাঝারি সাফল্য অর্জন করেছিল। সুরিয়ার সাথে অয়ন ছবিটি একটি বাণিজ্যিক হিট ছিল। যাইহোক, আনন্দ তান্ডবম এই সময়ের মধ্যে তার একমাত্র বাণিজ্যিক ধাক্কা হিসাবে চিহ্নিত, যদিও তার অভিনয় প্রশংসা অর্জন করেছিল। কান্দেন কাধলাই, বলিউডের হিট জাব উই মেটের রিমেক, তার প্রশংসা এবং একটি সাউথ স্কোপ পুরস্কার এনেছে।এই পর্যায়ে, তিনি তামিল সিনেমার একজন শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। ২০১০ সালে, তিনি তামিল রোড মুভি Paiyaa -তে অভিনয় করেন, ইতিবাচক পর্যালোচনা এবং বাণিজ্যিক সাফল্য পান। যাইহোক, সুরা এবং থিল্লাঙ্গাদি বক্স অফিস হতাশা প্রমাণিত হয়েছে।
২০১১ সালে তিনি তামিল চলচ্চিত্র সিরুথাইতে অভিনয় করেন এবং তার ভূমিকা সমালোচনার সম্মুখীন হলেও ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। তিনি কো তে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ব্লকবাস্টার 100% লাভের সাথে তেলুগু প্রত্যাবর্তন করেন, প্রশংসা এবং পুরস্কার অর্জন করেন। বদ্রীনাথ মিশ্র পর্যালোচনা পেয়েছিল কিন্তু বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। ভেংহাই তাকে মিশ্র সমালোচনামূলক অভ্যর্থনা সহ একটি ভূমিকায় দেখান,যখন ওসারভেলি বক্স অফিসে হিট হয়েছিল, এবং তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। ২০১২ সালে, তিনি চারটি তেলুগু ছবিতে বিশিষ্টভাবে অভিনয় করেছিলেন। রাচা একটি বাণিজ্যিক হিট হিসাবে আবির্ভূত হয়, তার অভিনয় প্রশংসা অর্জনের সাথে। এন্ডুকান্তে প্রেমন্ত এবং রেবেল বক্স অফিসে বিপর্যস্ত হতে পারে, কিন্তু তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। ক্যামেরাম্যান গঙ্গাথো রামবাবু তাকে একটি টমবয়িশ চরিত্রে দেখেছিলেন। ২০১৩ এর মধ্যে অব্যাহতভাবে, তিনি ফ্লপ হিম্মতওয়ালাতে অভিনয় করেছিলেন,কিন্তু তেলুগু চলচ্চিত্র তাদাখাতে সাফল্য পান। ২০১৪ সালে হিট বীরাম দিয়ে তিনি তামিল সিনেমায় ফিরে আসেন। যাইহোক, তার কমেডি চলচ্চিত্র হামশাকালস একটি বিশাল হতাশা ছিল। তিনি আল্লুডু সেনুর বিশেষ গান "লাব্বার বোমা"-তেও তার নাচের দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। বিনোদন মাঝারি সাফল্য অর্জন করেছে,যখন আগাডু বাণিজ্যিকভাবে সংগ্রাম করেছে।
তামান্না ভাটিয়া মডেল হিসেবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক টেলিভিশন চ্যানেলে আত্মপ্রকাশের অভিজ্ঞতা রাখেন।[৭]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.