Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জুবিলি হিলস হায়দ্রাবাদের পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি অভিজাত শহরতলি। জুবিলি হিলস ভারতের একটি অন্যতম ব্যয়বহুল বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা যেখানে এক গজ জমির দাম প্রায় ২,০০,০০০ টাকা অবধি উঠতে পারে। ২০০৫ সালে একটি ৬ একর জমি প্রায় ৩৩,৪০,০০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়।[1] মহানগরীর তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র হাইটেক্ সিটি ও অভিজাত আবাসিক এলাকা বাঞ্জারা হিলসের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত জুবিলি হিলস।[2][3][4]
জুবিলি হিলস | |
---|---|
হায়দ্রাবাদ উপনগরীয় অঞ্চল | |
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৭.৪৩২৫° উত্তর ৭৮.৪০৭০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | তেলেঙ্গানা |
জেলা | হায়দ্রাবাদ |
মেট্রো | হায়দ্রাবাদ |
সরকার | |
• শাসক | জিএইচএমসি |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারী | তেলুগু, উর্দু |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক নং | ৫০০০৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | TS |
লোকসভা কেন্দ্র | সেকেন্দ্রাবাদ |
বিধানসভা কেন্দ্র | জুবিলি হিলস |
পরিকল্পনা সংস্থা | জিএইচএমসি |
নাগরিক সংস্থা | জিএইচএমসি |
ওয়েবসাইট | telangana |
জুবিলি হিলস নির্মাণের কল্পনা ১৯৬৩ সালে করা হয়। ১৯৬৭ সালে পদ্ম শ্রী বিজয়ী আইএএস আধিকারিক ছাল্লাগাল্লা নরসিমহনকে জুবিলি হিলসের "প্রেসিডেন্ট" রূপে কার্যকরীভাবে জায়গাটির উন্নতির দায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাদ্রাজ শহরে এমন বহু পাড়ার পরিকল্পনা ও আদতে বাস্তবায়ন করার অভিজ্ঞতা থাকার দরুন নরসিমহনকে এই কাজটির জন্য সঠিক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জুবিলি হিলস একটি পাহাড়ি এলাকা, ৮০-র দশকের পূর্বে কোনোই উন্নয়নমূলক কাজ ঐ এলাকায় হয়নি। ছাল্লাগাল্লা নরসিমহনের পরিবার জুবিলি হিলসে প্রথম বাড়ি বানিয়ে সে বাড়িতে স্থানপরিবর্তন করে থাকতে শুরু করেন ও এইভাবে তারা জুবিলি হিলসের প্রথম বাসিন্দা হয়ে যান। তবে ১৯৮০ সালের মধ্যেই জুবিলি হিলসে ৩৫০টি ঘর-বাড়ির নির্মাণ হওয়াতে অঞ্চলটির পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নের সূত্রপাত ঘটে।
তেলুগু চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির কেন্দ্রবিন্দু হলো জুবিলি হিলস। জুবিলি হিলসের একটি এলাকা ফিল্ম নগরে রামানাইডু ষ্টুডিওজ, পদ্মালয়া ষ্টুডিওজ, অন্নপূর্ণা ষ্টুডিওজ ইত্যাদি বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ষ্টুডিও অবস্থিত। বেশিরভাগ তেলুগু সিনেমার অভিনেতা, অভিনেত্রীদেরও ফিল্ম নাগারেই বসবাস।
শুধু চলচ্চিত্রই নয়, রাজনৈতিক তাৎপর্যও বিশাল এই এলাকাটির। তেলেঙ্গানা রাজ্যের শাসক দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কার্যালয় জুবিলি হিলসেই অবস্থিত তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী চন্দ্রশেখর রাও জুবিলি হিলস অঞ্চলেই বাস করেন। রাজ্য বিভাজনের পূর্বে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, শ্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও সপরিবারে এখানেই থাকতেন।
সীতা রামস্বামী মন্দির, জগন্নাথ মন্দির ও পেদ্দাম্মা মন্দির জুবিলি হিলস এলাকায় সবচেয়ে প্রখ্যাত।
পথিকরা লোটাস পন্ড ও কাসু ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি জাতীয় উদ্যানটিকে (বা সংক্ষেপে কেবিআর পার্ক) জগিং ও পায়চারি করার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। আমোদপ্রমোদের জন্য জুবিলি হিলস এলাকায় রয়েছে ফিল্ম নগর ক্লাব, হায়দ্রাবাদ জিমখানা ও জুবিলি হিলস আন্তর্জাতিক ক্লাব।
জুবিলি হিলস টিএসআরটিসি-র বাসগুলি দ্বারা শহরের প্রায় অধিকাংশ প্রান্তগুলির সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত। নিকটতম এমএমটিএস ট্রেন স্টেশনটি হলো হাই টেক্ সিটি স্টেশন। হায়দ্রাবাদ মেট্রোর নীল-লাইন জুবিলি হিলসকে মেট্রো ব্যবস্থায় সংযোগ করেছে।[5] অদূর ভবিষ্যতে রোড নং ৩৬ ও ৩৭ এর পেছনদিকে অত্যাধুনিক ফ্লাই-ওভার নির্মাণের কাজও আরম্ভ হতে চলেছে, এতে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান হবার সাথেসাথেই জুবিলি হিলসকে একটি পরিবহন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
জুবিলি হিলসের একটি উল্লাস ও আরাম করার স্থান হলো লোটাস পন্ড। এটি একটি বড়ো আকারের পুকুর যা বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.