Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গণপতিপিল্লাই গঙ্গসের পোন্নামবালাম (৮ নভেম্বর ১৯০১ - ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১) ছিলেন একজন শ্রীলঙ্কান রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং মন্ত্রী। তিনি 'অল সীলন তামিল কংগ্রেস' নামের একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজনৈতিক দল তামিল জাতিদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে।
মাননীয় জি জি পোন্নামবালাম সংসদ সদস্য, আইনসভার সদস্য, রাজ্যসভা সদস্য | |
---|---|
ஜி. ஜி. பொன்னம்பலம் | |
শিল্প, শিল্প গবেষণা এবং মৎস্যসম্পদ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ – ২২ অক্টোবর ১৯৫৩ | |
পূর্বসূরী | সি সিত্তাম বালাম |
উত্তরসূরী | কান্দিয়া ভাইদিয়ানাদান |
স্টেট কাউন্সিল অব সিলনের সদস্য পয়েন্ট পেড্রো | |
কাজের মেয়াদ ১৯৩৪ – ১৯৪৭ | |
জাফনা নির্বাচনী এলাকা আসনের সীলনিজ সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৪৭ – ১৯৬০ | |
উত্তরসূরী | আলফ্রেড দুরাইআপ্পা |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৫ – ১৯৭০ | |
পূর্বসূরী | আলফ্রেড দুরাইআপ্পা |
উত্তরসূরী | সি এক্স মার্টিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৮ ডিসেম্বর ১৯০১ |
মৃত্যু | ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ ৭৫) | (বয়স
রাজনৈতিক দল | অল সীলন তামিল কংগ্রেস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ফিটসউইলিয়াম কলেজ, ক্যামব্রিজ |
জীবিকা | আইনজীবী |
ধর্ম | হিন্দু |
সম্প্রদায় | তামিল |
১৯০১ সালের ৮ নভেম্বর পোন্নাম্বালামের জন্ম হয়।[1][2][3][4] তার পিতা গঙ্গসের একজন পোস্টমাস্টার ছিলেন।[4] তিনি সেন্ট প্যাট্রিক্স কলেজ জাফনা এবং সেন্ট জোসেফ'স কলেজ কলম্বোতে পড়েন।[4][5][6] সরকারী বৃত্তি নিয়ে পোন্নামবালাম ফিটসউইলিয়াম কলেজ, ক্যাম্ব্রিজে চলে যান এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানে ফার্স্ট ক্লাস ডিগ্রি অর্জন করেন।[4][7][8][9] ক্যামব্রিজ থেকে তিনি এমএ এবং এলএলবিও পাশ করেন।[5]
পোন্নাম্বালাম রোজ আলাগুমানি ক্লাউ নামের এক নারীকে বিয়ে করেন, তাদের এক মেয়ে এবং এক ছেলে হয়।[4]
পোন্নামবালাম লন্ডনের লিঙ্কন'স ইন এ ডাক পান।[10] তিনি ফ্রান্স ভ্রমণ শেষে ১৯২৭ সালে সিলন চলে আসেন এবং এ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।[4][7] পোন্নাম্বালাম একজন ভালো যুক্তিবিদ হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি পেয়ে যান এবং তিনি অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কাজ করা শুরু করে দেন।[4] ১৯৫৪ সালে তিনি রঞ্জন নামের এক সন্ত্রাসীকে আইনে লড়াইয়ে বাঁচিয়ে দেন।[2][11] বড় বড় অপরাধীদের পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে সিলন থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি সিঙ্গাপুর চলে যান এবং ওখানেও একই ধরনের কাজ করা শুরু করেন।[12]
পোন্নামবালাম একজন তামিল ছিলেন এবং শ্রীলঙ্কায় তামিলদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি 'অল সিলন তামিল কংগ্রেস' নামের একটি রাজনৈতিক দল বানান ১৯৪৪ সালে।[2][13] তিনি ঐ রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[13]
শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পরে পোন্নাম্বালাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন, তার দল অল সিলন তামিল কংগ্রেস পার্লামেন্টে ঢুকতে পারলেও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী জাতিদের দ্বারা অপমানিত এবং ভারতের দালাল বলে আখ্যায়িত হন।[14]
প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডি এস সেনানায়ক শ্রীলঙ্কায় বসবাসরত সকল তামিলদেরকে ভারতীয় বলে আখ্যায়িত করে তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার উদ্যোগ নেন। পোন্নামবালাম আন্দোলনের ডাক দিলে ডি এস সেনানায়ক গোল টেবিল বৈঠকে বসেন এবং পোন্নামবালামকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে এবং ১২ শতাংশ তামিলদেরকে শ্রীলঙ্কান (তখন সিলনিজ) ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান, পোন্নামবালাম রাজি হয়ে যান।[15] ১৯৫৩ সালে তিনি মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি পান এবং পরের বছর এক সন্ত্রাসীর পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর কারণে জন কোটলাওয়ালা সরকার কর্তৃ্ক লাঞ্ছিত হন, তাকে ১৯৫৬ সালে সিলন ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তিনি এরপর সিঙ্গাপুর চলে যান।[2][5] মাঝখান দিয়ে তিনি কয়েকবার সিলন এসে নির্বাচনে অংশ নিতে আসেন কিন্তু তাকে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে ১৯৭১ সালে ফিরে এসে পোন্নামবালাম সারা দেশে তামিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ডাক দেন এবং গ্রেফতার হন। জেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ১৯৭৬ সালে ছেড়ে দেওয়া হয়, ১৯৭৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি তার গ্রামে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।[3][16]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.